বিপ্লব মাতব্বর (সিনিয়র রিপোর্টার) ঢাকা।
এন এস আই এর ভয় দেখিয়ে উলুদাহ ,বাদালদি ও উত্তরা এলাকার আতঙ্ক ভূমিদস্যু নাজমুলের বিরুদ্ধে যে সাংবাদিকই সংবাদ প্রচার করেন তাকেই বিভিন্নভাবে প্রাণনাশের হুমকি প্রদান করে।সাংবাদিক পেশা নিয়ে কটুক্তি করার প্রতিবাদে সংশ্লিষ্ট থানায় অভিযোগ এবং এনএসআই এর মহাপরিচালক বরাবর আবেদন করিলেও , অদৃশ্য শক্তির ইশারায় হুমকিদাতা নাজমুলের বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থা নেয়নি প্রশাসন।এর প্রতিবাদে আজ জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশ ও মানববন্ধন করেন
জাতীয় দৈনিক আমার প্রাণের বাংলাদেশ , দৈনিক জনজাগরণ এবং ভুক্তভোগী এলাকাবাসী।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন ভুক্তভোগী বলেন সাধারণ নাগরিক হিসেবে আমার প্রশ্ন, সরকারি অফিসার হিসেবে চাকুরীরত অবস্থায় একজন ব্যক্তি কিভাবে এই সব অনৈতিক কাজ করেন, এদের কাছে আমাদের মতো সাধারণ নাগরিক আর কতদিন জিম্মি থাকবে। এনএসআই নাজমুল হাসানের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আমি এলাকার সাধারণ নাগরিক হিসেবে জোর দাবি জানাচ্ছি। তাছাড়া একটি বিষয় খেয়াল করলে দেখবেন বর্তমান অন্তর্বর্তীকা- লীন সরকার আসার পর প্রতিটি সেক্টরে যে পরিমান রদবদল হয়েছে, সেই তুলনায় এনএসআই তে তেমন কোন পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়নি। আমি আপনাদের মাধ্যমে এনএসআই এর উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সম্মানের সাথে জানাতে চাই আপনারা দেশ রক্ষার এবং দেশের মানুষের সুরক্ষায় সবচেয়ে বড় ভূমিকার জায়গায় রয়েছেন। দয়াকরে আপনাদের মাঝে যদি দুই একজন আওয়ামী সরকারের অপরাধের সমর্থনকারী হিসেবে চিহ্নিত থাকে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলে আমরা কৃতজ্ঞ থাকবো।
বেশকিছু ভুক্তভোগিদের ভিডিও সাক্ষাৎকার এবং অভিযোগের ভিত্তিতে সরেজমিন পর্যবেক্ষণে আরো জানা যায় ১ ডিসেম্বর ২০২৪ ইংরেজী তারিখে GSPL নামক একটি স্বনামধন্য হাউজিং কোম্পানীর মালিকানাধীন ২৪.৩৪ কাঠা জমিতে বাঁশ দিয়ে অস্থায়ী সীমানা-প্রাচীর দিয়ে জমিটি দখল করে নেয় এবং তাদের কে অত্র জমির আশেপাশে না যাওয়ার জন্য নানানভাবে হুমকি দেয়া হয়। তাছাড়া উক্ত কোম্পানী বিভিন্ন ভাবে তাদের সাথে কথা বলার চেষ্টা করেও ব্যার্থ হয়। বিভিন্ন সূত্রে আরো জানা যায় যে এনএসআই নাজমুল নিজের ক্যাডার বাহিনী ও ভাড়াটে সন্ত্রাসীদের মাধ্যমে এলাকার স্থানীয় বহু মানুষের জমি অবৈধভাবে দখল ও অন্যের জমি ভরাট করে নিজের নামে দলিল করিয়ে নেয়। এমতাবস্থায় তার কাছে এক প্রকার জিম্মিই বলা চলে স্থানীয় বাসিন্দারা ।এলাকাবাসী আরো জানান অনতি বিলম্বে এই ভূমিদস্যুর হাত থেকে প্রশাসনের মাধ্যমে তাদের নিস্তার দাবি করেন। তার নামে প্রশাসনের কাছে তার বিচার দাবী করেন। এ বিষয় নিয়ে এনএসআই নাজমুল করিম এর সাথে কথা হলে তিনি জানান, আপনারা না জেনে কোন সংবাদ প্রকাশ করবেন না। আমি জমি বায়না করেছি- আপনারা না জেনে, না বুঝে সংবাদ প্রকাশ করেন টাকার জন্য, এমনকি টাকার জন্য আপনাদের মত সাংবাদিকরা নিজের বউকেও অন্যের কাছে বিক্রি করে দিতে পারেন। আমার রাগ বেশি, এখন আমি ঘুমাবো বলে ফোন কেটে দেন। পরবর্তীতে এ বিষয় নিয়ে কথা হয় হিউম্যান রাইটস অর্গানাইজেশনের পরিচালক জিয়াউল হকের সাথে, তিনি বলেন যখন যে সরকার ক্ষমতায় আসে, তারা রাষ্ট্রীয় সংস্থাকে নিজেদের ক্ষমতা টিকিয়ে রাখার জন্য ব্যবহার করেছে। ৫ই আগস্ট ছাত্র জনতা বিপ্লবের বিজয়ের পর দেশের মানুষের ভিতরে একটি প্রত্যাশা জাগ্রত হয়েছিল যে, রাষ্ট্রীয় সংস্থাগুলো সংস্কার হবে ,কিন্তু যতদিন যাচ্ছে মানুষ তত হতাশ হচ্ছে ।সংস্কারের নামে বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে আমি বলতে চাই , এক খেতের গরু অন্য খেতে পাঠিয়ে দিলে তাতে খেতের ঘাস খাওয়া বন্ধ হবে না, শুধু বদলি করলেই সংস্কার হয় না। সংস্কার করতে হলে প্রয়োজন আইনের প্রয়োগ, প্রয়োজন একটি মানুষের সার্বিক সমস্যাগুলো সরকারীভাবে দেখে তাকে পরিচালনা করা,তাহলেই হবে প্রকৃত সংস্কার।