স্বদেশ বিচিত্রা প্রতিবেদক : ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে দেলোয়ার হোসেন দুলু নামে এক যুবক হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত ও প্রকৃত আসামিদের গ্রেফতারের দাবিতে মানববন্ধন ও সড়ক অবরোধ কর্মসূচি পালন করেছে পরিবার ও এলাকাবাসী। শনিবার বেলা ১০টা থেকে বোয়ালমারী পৌরসদরস্থ ওয়াপদা মোড়ে মাঝকান্দি-ভাটিয়াপাড়া আঞ্চলিক মহাসড়ক প্রায় ৩ ঘণ্টা অবরোধ করে রাখে তারা। এ সময় সড়কের দুই পাশে শত শত গাড়ি আটকে পড়ে। পরে বোয়ালমারী থানা পুলিশের আশ্বাসে অবরোধ তুলে নেয় তারা।
জানা যায়, জমিজমা নিয়ে বিরোধের জেরে গত ২১ মার্চ প্রতিবেশী চাচাতো ভাইয়ের ছুরির আঘাতে মারাত্মক আহত হয় দুলু মোল্যা, পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় টানা ১৬ দিন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে ৬ এপ্রিল মৃত্যুবরণ করেন তিনি।
নিহত দেলোয়ার হোসেন দুলু মোল্যা বোয়ালমারী পৌরসভাধীন পূর্ব কামারগ্রাম মোল্যা পাড়ার বাসিন্দা। তার বাবার নাম মৃত নুরুল হক মোল্যা। নিহত দুলু মোল্যা ও তার ভাই আমির হোসেন মোল্যার ওপর হামলার ঘটনায় গত ২৭ মার্চ বোয়ালমারী থানায় একটি মামলা হয়। এতে ৬ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৪-৫ জনকে আসামি করা হয়।
নিহত দুলু মোল্যার বড় ভাই মামলার বাদী আব্দুল মান্নান মোল্যা বলেন, পরিকল্পিত ও নৃশংসভাবে আমার ভাইকে খুন করা হয়েছে। আমরা থানায় বারবার হত্যায় জড়িত আরও দুটি নাম এজাহারে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য লিখিত দিলেও অজ্ঞাত কারণে তাদের অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে না। এমনকি আসামিদের গ্রেফতারেও কার্যত কোনো পদক্ষেপ পরিলক্ষিত হচ্ছে না। মামলার সকল অপরাধীদের দ্রুত গ্রেফতারপূর্বক সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি করেন তিনি।
মানববন্ধনে পিতা হত্যার বিচার চেয়ে বক্তব্য রাখেন নিহতের দুই শিশু সন্তান, চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী মারিয়া ও দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী মোহাম্মদ আলী মোল্যা।
সড়ক অবরোধের খবর পেয়ে বোয়ালমারী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুল হাসান ঘটনাস্থলে পৌঁছে নিহতের পরিবার ও এলাকাবাসীকে সুষ্ঠু তদন্ত পূর্বক প্রকৃত আসামিদের গ্রেফতারের প্রতিশ্রুতি দেন। এরপর অবরোধ তুলে নেয় তারা। এ সময় ওসি বলেন, নতুন করে এজাহার নেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। তদন্তের সময় নতুন কোন আসামির সম্পৃক্ততা পাওয়া গেলে তিনি স্বাভাবিক নিয়মেই চার্জশিটে অন্তর্ভুক্ত হবেন। নতুন করে দুই জনকে এজাহারে অন্তর্ভুক্তির আবেদন জানিয়েছে বাদীপক্ষ। তদন্ত সাপেক্ষে তাদের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। মামলার সব আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।
স্বদেশ বিচিত্রা/এআর