বৈশাখের আগমনে।
গাজী আব্দুল আলীম।
তুমি এসো শুভেচ্ছার দূত হয়ে বাংলার ঘরে ঘরে
রুপসী বাংলায় লাল সূর্যের আলো নিয়ে সরোবরে ,
কাক ডাকা ভোরে ,শিশীর ভেজা ঘাসে নগ্ন পায়ে
মাটির সোঁদা গন্ধে মন মহুয়ার শুভ্রতায় হৃদয়ালয়ে।
আকাশে তুলো মেঘ,দেয় উড়াল হাওয়ায় হাওয়ায় ভাসে
স্বপ্ন গুলো ঢেকে যায় নির্মমতার যাঁতাকলে ফ্যাকাশে
কোন এক সময় বৃষ্টি ঝরায়,শান্ত মনের দক্ষিণা হাওয়ায়
নীভু মনের প্রতিচ্ছবি,জাগায় পিছু ফেরা স্মৃতির মায়ায়।
মনের বীনায় উঠলো যে সুর , কোন সে প্রানের ছোঁয়ায়
নূপুরের নিক্কন বাজিয়ে বাসন্তী রঙের শাড়িতে গায়ের বধু যায়।
এই বাংলার অপরূপা প্রকৃতি চোখ মেলে যেন ডাকছে তোমায়,
তুমি এসো প্রানের গভীরে আলপনা একে রাঙিয়ে হৃদয়
তুমি এসো ফসলের মাঠে কৃষকের ঘর্মাক্ত দেহের রক্ত কোনায়।
সমুদ্র সৈকতে আঁকিবুঁকি করে লেখা নাম ধুইয়ে যাওয়া জলের ধারায়।
শৈশব কৈশোর যৌবনের দূরন্ত ভাললাগার স্পর্শের ছোঁয়ায ।
গ্রাম্য মেলায়, নৌকাবাইচ, ঘোড়দৌড়, ষাঁড়ের লড়াই ,
ষ্টলে ষ্টলে রকমারি প্রসাধনী, নাগরদোলা, বাঁশের বাঁশীর সানাই।
মাটির সানকীতে পান্তা ভাত, পোড়া ঝাল ইলিশ মাছের রসাই।
সবুজ পত্র পল্লবে নব রূপে নব কল্লোলে বৈশাখী হাওয়ায়।
আমার হৃদয়ের না বলা অব্যক্ত বেদনার কথা মালা বৈশাখী মেলায়।