০৫:০৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ এপ্রিল ২০২৫, ১ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বান্দরবানে মারমাদের ‘সাংগ্রাই’ উৎসব উদ্বোধন

  • প্রকাশিত ০৬:৪৭:২৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ এপ্রিল ২০২৫
  • ৮ বার দেখা হয়েছে

স্বদেশ বিচিত্রা প্রতিবেদক : জেলায় আজ বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে সপ্তাহব্যাপী সাংগ্রাই উৎসব উদ্বোধন করা হয়েছে। আজ সকাল ৮টায় বান্দরবানের রাজার মাঠ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে এ শোভাযাত্রা শুরু হয়।শোভাযাত্রা উদ্বোধন করেন বান্দরবানের জেলা প্রশাসক শামীম আরা রিনি।

পরে উৎসব উদযাপন পরিষদের আয়োজনে স্থানীয় রাজার মাঠ থেকে এক বর্ণাঢ্য র‌্যালি বের করা হয়। শোভাযাত্রাটি শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে বান্দরবান ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠী সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউটে গিয়ে শেষ হয়। চাকমা, মারমা, ত্রিপুরা, তঞ্চঙ্গ্যা, চাক, ম্রো, খিয়াং, খুমি, বমসহ ১১টি জাতিগোষ্ঠী নিজ নিজ ঐতিহ্যবাহী পোশাকে এ শোভাযাত্রায় অংশ নেন।

শোভাযাত্রায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের সদস্য কে এস মং মারমা, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মারুফা সুলতানা খান হীরামনি-সহ বিভিন্ন দফতর ও প্রতিষ্ঠানের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা।

শোভাযাত্রা শেষে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউটে আয়োজন করা হয় বয়োজ্যেষ্ঠ পূজা। এসময় ৬৫ বছরের অধিক বয়স্কদের মোমবাতি, ধূপকাঠি দিয়ে পূজা করা হয়।

বান্দরবান সাংগ্রাই উৎসব উদযাপন পরিষদের সভাপতি চুনুমং মারমা জানান, এদিন ঐতিহ্যবাহী পোষাক পরিধান করে ১১টি জাতিগোষ্ঠীর নানা বয়সী মানুষ অংশ নিয়েছেন। বুদ্ধস্নান, পিঠা তৈরি উৎসব, লোকজ ক্রীড়া, মৈত্রী পানি বর্ষণ সহ নানা আয়োজন ছিল।

তিনি জানান, আগামী ১৮ এপ্রিল মৈত্রী পানিবর্ষণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে সপ্তাহব্যাপী সাংগ্রাই উৎসব শেষ হবে।

সাংগ্রাই উৎসব মূলত থেরবাদী বৌদ্ধদের নববর্ষ উৎসব। মিয়ানমারে এ উৎসব ‘থিংইয়ান’ নামে পরিচিত, যা প্যাগান সাম্রাজ্য (৯ম- ১৩শ শতাব্দী) থেকে পালিত হয়ে আসছে। তবে, তারও আগে আরাকান রাজ্যে এর চর্চা ছিল।
স্বদেশ বিচিত্রা/এআর

Tag :
জনপ্রিয়

ফিলিস্তিনে খুনি ইসরায়েলের গণহত্যার প্রতিবাদে নাচোল জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি’র মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ

বান্দরবানে মারমাদের ‘সাংগ্রাই’ উৎসব উদ্বোধন

প্রকাশিত ০৬:৪৭:২৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ এপ্রিল ২০২৫

স্বদেশ বিচিত্রা প্রতিবেদক : জেলায় আজ বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে সপ্তাহব্যাপী সাংগ্রাই উৎসব উদ্বোধন করা হয়েছে। আজ সকাল ৮টায় বান্দরবানের রাজার মাঠ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে এ শোভাযাত্রা শুরু হয়।শোভাযাত্রা উদ্বোধন করেন বান্দরবানের জেলা প্রশাসক শামীম আরা রিনি।

পরে উৎসব উদযাপন পরিষদের আয়োজনে স্থানীয় রাজার মাঠ থেকে এক বর্ণাঢ্য র‌্যালি বের করা হয়। শোভাযাত্রাটি শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে বান্দরবান ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠী সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউটে গিয়ে শেষ হয়। চাকমা, মারমা, ত্রিপুরা, তঞ্চঙ্গ্যা, চাক, ম্রো, খিয়াং, খুমি, বমসহ ১১টি জাতিগোষ্ঠী নিজ নিজ ঐতিহ্যবাহী পোশাকে এ শোভাযাত্রায় অংশ নেন।

শোভাযাত্রায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের সদস্য কে এস মং মারমা, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মারুফা সুলতানা খান হীরামনি-সহ বিভিন্ন দফতর ও প্রতিষ্ঠানের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা।

শোভাযাত্রা শেষে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউটে আয়োজন করা হয় বয়োজ্যেষ্ঠ পূজা। এসময় ৬৫ বছরের অধিক বয়স্কদের মোমবাতি, ধূপকাঠি দিয়ে পূজা করা হয়।

বান্দরবান সাংগ্রাই উৎসব উদযাপন পরিষদের সভাপতি চুনুমং মারমা জানান, এদিন ঐতিহ্যবাহী পোষাক পরিধান করে ১১টি জাতিগোষ্ঠীর নানা বয়সী মানুষ অংশ নিয়েছেন। বুদ্ধস্নান, পিঠা তৈরি উৎসব, লোকজ ক্রীড়া, মৈত্রী পানি বর্ষণ সহ নানা আয়োজন ছিল।

তিনি জানান, আগামী ১৮ এপ্রিল মৈত্রী পানিবর্ষণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে সপ্তাহব্যাপী সাংগ্রাই উৎসব শেষ হবে।

সাংগ্রাই উৎসব মূলত থেরবাদী বৌদ্ধদের নববর্ষ উৎসব। মিয়ানমারে এ উৎসব ‘থিংইয়ান’ নামে পরিচিত, যা প্যাগান সাম্রাজ্য (৯ম- ১৩শ শতাব্দী) থেকে পালিত হয়ে আসছে। তবে, তারও আগে আরাকান রাজ্যে এর চর্চা ছিল।
স্বদেশ বিচিত্রা/এআর