০৫:১১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৭ নভেম্বর ২০২৫, ২৩ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
আবু রায়হান (বাউফল প্রতিনিধি)-

বাউফলে সুদের টাকার চাপে রিক্সা শ্রমিকের কীটনাশক পানে আত্মহত্যা।

  • প্রকাশিত ০৬:২৭:১২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ অক্টোবর ২০২৪
  • ৩১৬ বার দেখা হয়েছে

পটুয়াখালীর বাউফলে সুদের টাকার চাপ সইতে না পেরে আবদুল মান্নান গাজী (৬৫) নামের এক রিক্সা শ্রমিক কীটনাশক পান করে আত্মহত্যা করেছেন। বুধবার দুপুরে বাউফল সদর ইউনিয়নের যৌতা গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে।সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, প্রায় ১ বছর আগে মান্নান গাজী একটি রিক্সা ক্রয়ের জন্য স্থানীয় আলমগীর হোসেন এর কাছ থেকে সুদের বিনিময়ে ২০ হাজার টাকা ধার নেন। রিক্সা চালিয়ে ইতিমধ্যে তিনি সুদে আসলে ৩৬ হাজার টাকা পরিশোধ করেন। আলমগীর হোসেন নতুন করে আরও ২২ হাজার টাকা দাবী করেন। সুদের টাকা পরিশোধের জন্য বুধবার দুপুরে অলিপুরা বাজারে শালিস বৈঠকের আয়োজন করেন আলমগীর হোসেন। শালিস বৈঠকে উপস্থিত হওয়ার জন্য মান্নান গাজীকে খবর দেওয়া হয়। খবর পেয়ে দুপুরে মান্নান গাজী ঘরে থাকা কীটনাশক পান করেন। দ্রূত তাকে বাউফল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে বেলা আড়াইটার দিকে কর্তব্যরত চিকিৎসক মান্নান গাজী মৃত ঘোষণা করেন। পরে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পটুয়াখালী হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে।
মান্নান গাজীর ভাতিজা লিটন গাজী সাংবাদিকদের জানান, সুদে আসলে টাকা পরিশোধ করার পরও তার চাচাকে নতুন করে ২২ হাজার টাকা দেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছিল আলমগীর হোসেন। সুদের টাকার চাপ সইতে না পেরেই বিষপান করে আত্মহত্যা করেন তিনি।অবশ্য সুদ ব্যবসার অভিযোগ অস্বীকার করে আলমগীর হোসেন বলেন, আমি তাকে পাওনা টাকার জন্য চাপ প্রয়োগ করিনি।এ প্রসঙ্গে বাউফল থানার ওসি (তদন্ত) আতিকুল ইসলাম বলেন, তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Tag :
জনপ্রিয়

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আশ্বাসে অনশন ভঙ্গ ১৮ তম নিবন্ধন প্রত্যাশীরা

আবু রায়হান (বাউফল প্রতিনিধি)-

বাউফলে সুদের টাকার চাপে রিক্সা শ্রমিকের কীটনাশক পানে আত্মহত্যা।

প্রকাশিত ০৬:২৭:১২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ অক্টোবর ২০২৪

পটুয়াখালীর বাউফলে সুদের টাকার চাপ সইতে না পেরে আবদুল মান্নান গাজী (৬৫) নামের এক রিক্সা শ্রমিক কীটনাশক পান করে আত্মহত্যা করেছেন। বুধবার দুপুরে বাউফল সদর ইউনিয়নের যৌতা গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে।সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, প্রায় ১ বছর আগে মান্নান গাজী একটি রিক্সা ক্রয়ের জন্য স্থানীয় আলমগীর হোসেন এর কাছ থেকে সুদের বিনিময়ে ২০ হাজার টাকা ধার নেন। রিক্সা চালিয়ে ইতিমধ্যে তিনি সুদে আসলে ৩৬ হাজার টাকা পরিশোধ করেন। আলমগীর হোসেন নতুন করে আরও ২২ হাজার টাকা দাবী করেন। সুদের টাকা পরিশোধের জন্য বুধবার দুপুরে অলিপুরা বাজারে শালিস বৈঠকের আয়োজন করেন আলমগীর হোসেন। শালিস বৈঠকে উপস্থিত হওয়ার জন্য মান্নান গাজীকে খবর দেওয়া হয়। খবর পেয়ে দুপুরে মান্নান গাজী ঘরে থাকা কীটনাশক পান করেন। দ্রূত তাকে বাউফল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে বেলা আড়াইটার দিকে কর্তব্যরত চিকিৎসক মান্নান গাজী মৃত ঘোষণা করেন। পরে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পটুয়াখালী হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে।
মান্নান গাজীর ভাতিজা লিটন গাজী সাংবাদিকদের জানান, সুদে আসলে টাকা পরিশোধ করার পরও তার চাচাকে নতুন করে ২২ হাজার টাকা দেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছিল আলমগীর হোসেন। সুদের টাকার চাপ সইতে না পেরেই বিষপান করে আত্মহত্যা করেন তিনি।অবশ্য সুদ ব্যবসার অভিযোগ অস্বীকার করে আলমগীর হোসেন বলেন, আমি তাকে পাওনা টাকার জন্য চাপ প্রয়োগ করিনি।এ প্রসঙ্গে বাউফল থানার ওসি (তদন্ত) আতিকুল ইসলাম বলেন, তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।