পহেলা বৈশাখ বাংলা সনের প্রথম এই দিনটি বাংলাদেশে নববর্ষ হিসাবে পালিত হয়। এটি বাঙালি সার্বজনীন একটি লোক উৎসব। অতীতের ভুলত্রুটি ও ব্যর্থতার গ্লানি ভুলে নতুন করে সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনায় উদযাপিত হয়।
বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প কর্পোরেশন বিসিক ও বাংলা একাডেমি যৌথভাবে আশির দশকে থেকে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গনে বৈশাখী মেলা আয়োজন করে আসছে। নববর্ষকে উৎসবমুখর করে তোলে এই বৈশাখী মেলা’, মূলত সর্বজনীন লোকজ মেলা। এই মেলা অত্যন্ত আনন্দ ঘন হয়ে থাকে। বর্তমানে এটি বাংলাদেশের জাতীয় উৎসব ১৪ এপ্রিল পালিত হয়।
জাতীয়ভাবে চৈত্র সংক্রান্তি ও বাংলা নববর্ষ এবং চাকমা, মারমা, ত্রিপুরা, গারো ও অন্যান্য জাতিগোষ্ঠী নববর্ষ ১৪৩২ উদযাপন উপলক্ষে বাংলা একাডেমি এবং বাংলাদেশ ক্ষুদ্র কুটির শিল্প কর্পোরেশন (বেসিক) কর্তৃক বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে আগামী ১ বৈশাখ হইতে ৭ বৈশাখ পর্যন্ত সাত দিন ১৪৩২ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। প্রতিদিন সকাল১০ দশটা থেকে রাত ৮ আটটা পর্যন্ত সকলের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। এতে প্রধান অতিথি জনাব আদিলুর রহমান খান, মাননীয় উপদেষ্টা,শিল্প মন্ত্রনালয় এবং জনাব মোস্তফা সরোয়ার ফারুকী, মাননীয় উপদেষ্টা সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করবেন অধ্যাপক মোহাম্মদ আজম মহাপরিচালক বাংলা একাডেমি।অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করবেন সাইফুল ইসলাম,চেয়ারম্যান বেসিক, এছাড়া অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন অধ্যাপক আবুল কাশেম ফজলুল হক সভাপতি বাংলা একাডেমী মফিদুর রহমান সচিব সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়,ওবায়দুর রহমান সচিব,শিল্প মন্ত্রণালয়।
এই মেলায় কারো পণ্য, লোকশিল্প জাত পন্য, পাটজাত পণ্য চামড়া জাত পন্যা, জিআই পণ্য, যেমন জামদানি, শতরঞ্জি ও শীতল পাটি শিল্প জাত সামগী পাওয়া যাবে। মেলায় মোট ৯৮ টি স্টল থাকবে।যার মধ্যে জামদানি শাড়ি ৫ পাঁচটি নকশী কাথা২ দুটি, পাট জাত ৫টি জুয়েলারি সামগ্রী ৪ চারটি, চামড়া জাত পণ্যের৪ চারটি বাশ জাত পণ্যের দুটি মৃৎশিল্প১টি বস্ত্রজাত ৩১ টি, খাদ্যজাত পণ্যের২০ স্টল থাকবে। প্রান্তিক কারু শিল্পীদের সুবিধার্থে বিনামূল্যে দশ টি স্টল বরাদ্দ করা হয়েছে। এছাড়া বাংলা
একাডেমির জন্য ৮ আর্টি স্টল বরাদ্দ রয়েছে। মেলায় বিনোদনের ব্যবস্থা থাকবে।