০১:৪৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫, ১৩ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বাঁশখালীতে বৈলগাঁও দমদমার দিঘি এলাকায় চলছে আবাদি জমির মাটি কাটার মহোৎসব, হারাচ্ছে উৎপাদন ক্ষমতা।

  • প্রকাশিত ১২:০৯:৪৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫
  • ২৯ বার দেখা হয়েছে

মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম চট্টগ্রাম বাঁশখালী প্রতিনিধি।

পশ্চিমে সাগর পূর্বে পাহাড় ঘেসা বাঁশখালীর অধিকাংশ মানুষই কৃষি ও মৎস্য আহরণের উপর নির্ভরশীল। কিন্তু অবৈধভাবে ভরাট ও অপরিকল্পিতভাবে স্থাপনা নির্মাণ করায় কমে যাচ্ছে এসব কৃষি জমি। এর ওপর অধিকাংশ বসতি পাকা ভবন নির্মাণ হওয়ার কারণে বেড়েছে ইটের চাহিদা। যার ফলে বছরের এই সময়টাতে ইটভাটায় ব্যবহারের জন্য অবাধে কাটা হচ্ছে ফসলি জমির ওপরি অংশের উর্বর মাটি। এতে খাদ্য উৎপাদন হুমকি এবং জমির উর্বরতা হারাচ্ছে, মতামত কৃষি বিভাগের। এদিকে নানা সীমাবদ্ধতার মধ্যেও এসব বন্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে বলে দাবী প্রশাসনের।
চট্টগ্রামে বাঁশখালী উপজেলার পুকুরিয়া এলাকায় ফসলী জমি দিন দিন সাবাড় করা হচ্ছে। কয়েকদিন ধরে উপজেলার পুকুরিয়া ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের হাজিগাও এলাকায় তৌহিদুল ইসলাম সাঈদী নামের এক ব্যাক্তি এভাবে আবাদি ফসলি জমি কাটছে এ যেন পুকুর খননের মহোৎসব। ফলে এখানে যেমন কমছে কৃষি জমি, তেমনি পুকুর আর জলাশয়ের কারণে ফসলের মাঠে সৃষ্টি হচ্ছে জলাবদ্ধতা।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উপজেলার পুকুরিয়া ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের হাজীগাও এলাকায় আবাদি কৃষি জমিতে স্থানীয় আবু তাহের সাঈদীর পুত্র তৌহিদুল ইসলাম সাঈদী নামের এক ব্যক্তি দমদমা দিঘির পাশে সিন্নি ছড়া সড়কের পাশে আবাদি কৃষি জমি খনন করে মাছের প্রজেক্ট বা জলাশয় তৈরি করতে দেখা যায় এ বিষয়ে স্থানীয়রা অনেক প্রতিবাদ করলেও তিনি মাটি কাটার কাজ গায়ের জোরে চালিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ করেন স্থানীয়রা।

এলাকাবাসীরা জানান, ৫ ই আগস্ট এর আগে স্বৈরাচার সরকারের অনেক নেতার সাথে তৌহিদুল ইসলাম সাঈদীর সাঈদীর ছবি থাকলেও ৫ই আগস্ট এর পরে তিনি নিজেকে স্থানীয় জামাত নেতা পরিচয় দেয়। অন্যদিকে তার এক চাচাতো ভাই বিএনপি নেতা হওয়ার সুবাদে কোন কিছুকে তোয়াক্কা না করে সরকারি বিধি নিষেধ না মেনে আবাদি কৃষি জমি খনন করে জলাশয় তৈরি করতেছে।

স্থানীয় মোরশেদ, নাছির উদ্দিন ও আব্বাস উদ্দীন অভিযোগ করে বলেন, আমাদের এলাকায় তৌহিদ আবাদি কৃষি জমি দিন দুপুরে খনন করে মাছের প্রজেক্ট তৈরি করতেছে এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে পুকুর খননের বিষয়ে নিষেধ করার পরেও ওই কৃষি জমিতে খনন কাজ করে যাচ্ছে। আমরা এ বিষয়ে এলাকাবাসীর পক্ষে উপজেলা প্রশাসনকে বারবার বললে তারা কোন ধরনের পদক্ষেপ নেয়নি। তাই এই এলাকা অপরিকল্পিত পুকুর খননে জলাবদ্ধতা হয়ে জনদুর্ভোগের সৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।

এ বিষয়ে তৌহিদুল ইসলাম সাঈদীর থেকে জানতে চাইলে তিনি জানান, আবাদি কৃষি জমিগুলো আমাদের পৈতৃক সম্পত্তি উপজেলা ভূমি কর্মকর্তার এক স্টাফের কাছ থেকে মৌখিক অনুমোদন নিয়েছি তারা বলেছে আপনার কাজ আপনি করেন কোন মাটি বিক্রি করবেন না। আমাদের জমিনে আমরা পুকুর করব নাকি খাল করবো নাকি আবাদি রাখবো এটা কারো দেখার বিষয় নয়।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ জামশেদুল আলম জানান,
পুকুরিয়া ইউনিয়নের হাজীগাঁও এলাকার কাউকে আবাদি কৃষি জমি থেকে কাউকে মাটি কাটার অনুমতি দেওয়া হয়নি। এ বিষয়ে কেউ লিখিত বা মৌখিক কোন অভিযোগ পাইনি। বিষয়টি শীঘ্রই তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Tag :
জনপ্রিয়

মধুপুরে সর্বস্তরের জনতার ব্যানারে সওদাগরদের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত

বাঁশখালীতে বৈলগাঁও দমদমার দিঘি এলাকায় চলছে আবাদি জমির মাটি কাটার মহোৎসব, হারাচ্ছে উৎপাদন ক্ষমতা।

প্রকাশিত ১২:০৯:৪৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫

মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম চট্টগ্রাম বাঁশখালী প্রতিনিধি।

পশ্চিমে সাগর পূর্বে পাহাড় ঘেসা বাঁশখালীর অধিকাংশ মানুষই কৃষি ও মৎস্য আহরণের উপর নির্ভরশীল। কিন্তু অবৈধভাবে ভরাট ও অপরিকল্পিতভাবে স্থাপনা নির্মাণ করায় কমে যাচ্ছে এসব কৃষি জমি। এর ওপর অধিকাংশ বসতি পাকা ভবন নির্মাণ হওয়ার কারণে বেড়েছে ইটের চাহিদা। যার ফলে বছরের এই সময়টাতে ইটভাটায় ব্যবহারের জন্য অবাধে কাটা হচ্ছে ফসলি জমির ওপরি অংশের উর্বর মাটি। এতে খাদ্য উৎপাদন হুমকি এবং জমির উর্বরতা হারাচ্ছে, মতামত কৃষি বিভাগের। এদিকে নানা সীমাবদ্ধতার মধ্যেও এসব বন্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে বলে দাবী প্রশাসনের।
চট্টগ্রামে বাঁশখালী উপজেলার পুকুরিয়া এলাকায় ফসলী জমি দিন দিন সাবাড় করা হচ্ছে। কয়েকদিন ধরে উপজেলার পুকুরিয়া ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের হাজিগাও এলাকায় তৌহিদুল ইসলাম সাঈদী নামের এক ব্যাক্তি এভাবে আবাদি ফসলি জমি কাটছে এ যেন পুকুর খননের মহোৎসব। ফলে এখানে যেমন কমছে কৃষি জমি, তেমনি পুকুর আর জলাশয়ের কারণে ফসলের মাঠে সৃষ্টি হচ্ছে জলাবদ্ধতা।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উপজেলার পুকুরিয়া ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের হাজীগাও এলাকায় আবাদি কৃষি জমিতে স্থানীয় আবু তাহের সাঈদীর পুত্র তৌহিদুল ইসলাম সাঈদী নামের এক ব্যক্তি দমদমা দিঘির পাশে সিন্নি ছড়া সড়কের পাশে আবাদি কৃষি জমি খনন করে মাছের প্রজেক্ট বা জলাশয় তৈরি করতে দেখা যায় এ বিষয়ে স্থানীয়রা অনেক প্রতিবাদ করলেও তিনি মাটি কাটার কাজ গায়ের জোরে চালিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ করেন স্থানীয়রা।

এলাকাবাসীরা জানান, ৫ ই আগস্ট এর আগে স্বৈরাচার সরকারের অনেক নেতার সাথে তৌহিদুল ইসলাম সাঈদীর সাঈদীর ছবি থাকলেও ৫ই আগস্ট এর পরে তিনি নিজেকে স্থানীয় জামাত নেতা পরিচয় দেয়। অন্যদিকে তার এক চাচাতো ভাই বিএনপি নেতা হওয়ার সুবাদে কোন কিছুকে তোয়াক্কা না করে সরকারি বিধি নিষেধ না মেনে আবাদি কৃষি জমি খনন করে জলাশয় তৈরি করতেছে।

স্থানীয় মোরশেদ, নাছির উদ্দিন ও আব্বাস উদ্দীন অভিযোগ করে বলেন, আমাদের এলাকায় তৌহিদ আবাদি কৃষি জমি দিন দুপুরে খনন করে মাছের প্রজেক্ট তৈরি করতেছে এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে পুকুর খননের বিষয়ে নিষেধ করার পরেও ওই কৃষি জমিতে খনন কাজ করে যাচ্ছে। আমরা এ বিষয়ে এলাকাবাসীর পক্ষে উপজেলা প্রশাসনকে বারবার বললে তারা কোন ধরনের পদক্ষেপ নেয়নি। তাই এই এলাকা অপরিকল্পিত পুকুর খননে জলাবদ্ধতা হয়ে জনদুর্ভোগের সৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।

এ বিষয়ে তৌহিদুল ইসলাম সাঈদীর থেকে জানতে চাইলে তিনি জানান, আবাদি কৃষি জমিগুলো আমাদের পৈতৃক সম্পত্তি উপজেলা ভূমি কর্মকর্তার এক স্টাফের কাছ থেকে মৌখিক অনুমোদন নিয়েছি তারা বলেছে আপনার কাজ আপনি করেন কোন মাটি বিক্রি করবেন না। আমাদের জমিনে আমরা পুকুর করব নাকি খাল করবো নাকি আবাদি রাখবো এটা কারো দেখার বিষয় নয়।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ জামশেদুল আলম জানান,
পুকুরিয়া ইউনিয়নের হাজীগাঁও এলাকার কাউকে আবাদি কৃষি জমি থেকে কাউকে মাটি কাটার অনুমতি দেওয়া হয়নি। এ বিষয়ে কেউ লিখিত বা মৌখিক কোন অভিযোগ পাইনি। বিষয়টি শীঘ্রই তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।