গতকাল সকাল নয়টার দিকে বাঁশখালী উপজেলার কালীপুর ইউনিয়নের পশ্চিম গুনাগরী এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে। সরজমিনের গিয়ে দেখা যায়, স্থানীয় আহমদ হোছন, বিগত ৩৫ বছর পূর্বে এওয়াজ বদল পূর্বক ও বায়না নামা মূলে পুরাতন বাড়ি থেকে লাভুর দোকান সংলগ্ন এলাকায় বসতি স্থাপন করেছেন, সেখানে একসময় ডেভা ছিল, সেই ডেভা ও অনাবাদী জায়গায় আস্তে আস্তে অনেক কষ্ট করে ছোট্ট একটি ঘর করে সংসার করতে করতে তিন মেয়ে ও চার ছেলের জন্ম হয়েছে। জমি গুলোর মূল মালিক ছিল মৃত লাতু মিয়াগং বা বর্তমানে দিদারুল আলম গং। জমির মূল মালিক গণ আরএস খতিয়ান ও বিএস নামজারি খতিয়ান প্রাপ্ত হওয়ায় তাহারা ঐ জমি বিক্রি করার জন্য মনস্থির করলে আহমদ হোছেন বর্তমানে দখলে আছে বিধায় ঐ জমি বাজার ভাউ মূল্যে তাহা ক্রয় করার জন্য সিদ্ধান্ত নেন এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গের মতামতের ভিত্তিতে। সেটা জানাজানি হলে মৃত আব্দুল হাকিমের ছেলে জকরিয়া ও জকরিয়ার ছেলে সাইফুল ইসলাম সায়েম এসে আহমদ হোসেনকে জায়গা ক্রয় করিতে পারিবে না বলে শাসিয়ে যায়, এমনকি জায়গা ক্রয় করিলে প্রানে মেরে ফেলারও হুমকি দেন। এ বিষয়ে আহমদ হোছেন এর স্ত্রী পারেছা বেগম বলেন, তপশীলোক্ত সম্পত্তি দিদারুল আলম গং এর কাছ থেকে বায়নামূলে খরিদা মালিক হই। আমি নিম্ন তপশীলোক্ত জায়গা দিদারুল আলম গং এর কাছ থেকে বায়না করিবার পর হইতে জকরিয়া ও সায়েম আমার উপর অক্রোশ পোষণ করে এবং আমাকে প্রায় সময় উক্ত জায়গা খরিদা না করিবার জন্য হুমকি প্রদর্শন করে। অদ্য ঘটনার তারিখে আমি দিদারুল আলম গং থেকে নিম্ন তপশীলোক্ত জায়গার রেজিস্ট্রি হওয়ার কথা ছিল। তাই আমি অদ্য ঘটনার তারিখ ও সময়ে আমার স্বামী সহ রেজিষ্ট্রি খরচ বাবদ তিনটি গরু বিক্রি করে ও বিদেশ থেকে আমার ছেলে কর্তৃক দেওয়া মোট ৪,০০,০০০ (চার লক্ষ) টাকা নিয়ে ঘর থেকে বাহির হওয়ার সময় বিবাদীগণ পূর্ব প্রস্তুতি লইয়া বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্রে সজ্জিত হইয়া আমার ঘরে অনাধিকার প্রবেশ করে। একপর্যায়ে জকরিয়া ও তার ছেলে সায়েম আমাকে বলে যে, “তোরা এই জায়গা ক্রয় করিতে পারিবে না”। এমতাবস্থায় আমি জকরিয়াকে জায়গা কেনো কিনিবো না জিজ্ঞেস করিলে তারা আমার উপর ক্ষিপ্ত হয়। জকরিয়া তার ছেলে সায়েম আমার উপর ক্ষিপ্ত হইয়া তাহাদের হাতে থাকা দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্র এবং ধারালো দা কিরিচ দ্বারা আমার ঘরের টিনের বেঁড়ায় কোপ মারিয়া কাঁটিয়া ভাঙ্গচুর করে। ফ্রিজ ভেঙে ফেলে, বৈদ্যুতিক তার কেটে দিয়ে আমাকে মারতে থাকে। এক পর্যায়ে জকরিয়া ও তার ছেলে সায়েম একজোট হইয়া আমার বেগে থাকা জায়গা ক্রয়ের ৪,০০,০০০/- (চার লক্ষ) টাকা এবং আমার ঘরে থাকা আলমারি ভাঙ্গিয়া ০২ ভরি স্বর্ণালংকার জোর পূর্বক ছিনাইয়া নেয়। এরপর জকরিয়া আমাকে চড় থাপ্পর মারে এবং আমাকে গাছের লাঠি দ্বারা মারিয়া শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাত প্রাপ্ত করে। একপর্যায়ে আমার শোর চিৎকারে আশে পাশের লোকজন এগিয়ে আসিলে বিবাদীগণ তৎক্ষনাত ঘটনাস্থল ত্যাগ করিয়া চলিয়া যায়। বিবাদীগণ ঘটনাস্থল ত্যাগ করিবার সময় আমাকে সহ ০১ নং সাক্ষীকে উক্ত বিষয় নিয়ে কোনো ধরনের আইনী পদক্ষেপ গ্রহণ করিলে বিবাদীগণ আমাদের প্রাণে মারিয়া লাশগুম করিয়া ফেলিবে মর্মে হুমকি প্রদর্শন করে। এ বিষয়ে বাঁশখালী থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন ভুক্তভোগী পারেছা বেগম। অভিযোগের ভিত্তিতে এএসআই জাকির হোসেন থানা থেকে দায়িত্ব প্রাপ্ত হইয়া ঘটনা স্থল পরিদর্শন করেন এবং ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, জায়গা জমি নিয়ে বিরোধ থাকলে স্থানীয় ভাবে সমাধান করা যায় তাই বলে ঘর বাড়ি ভাঙচুর ও লুটপাট কোনো মতেই কাম্য নয়। এই বিষয়ে সায়েমের মোটোফোন কথা বললে জানান, এটা জায়গাটা আমার আব্বুর জায়গা তাদেরকে অনেক বলার পরও দিচ্ছে না তাই ভেঙে ফেলছি।
১০:১৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৮ জুন ২০২৫, ৪ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম