০৫:২০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১১ এপ্রিল ২০২৫, ২৮ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বন্যার্ধ আয়োজনে পিঠা মেলার সমাপনী দিন আজ

  • প্রকাশিত ০২:৫৩:১১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • ৫৯ বার দেখা হয়েছে

 

রঞ্জন পাল

ঢাকা, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি— বাঙালির ঐতিহ্যবাহী পিঠা সংস্কৃতিকে উদযাপন করতে আয়োজিত ‘বন্যার্ধ পিঠা মেলা’ আজ সমাপ্তির পথে। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির উদ্যোগে আয়োজিত এই মেলা নানা স্বাদের দেশীয় পিঠার সমারোহে পরিণত হয়েছিল এক বর্ণিল উৎসবে।

গত এক সপ্তাহ ধরে চলা এ মেলায় দেশজুড়ে বিভিন্ন অঞ্চলের সুপরিচিত পিঠার স্বাদ নিতে ভিড় জমিয়েছিলেন হাজারো দর্শনার্থী। চিতই, পাটিসাপটা, ভাপা, দুধ চিতই, নারকেল নারীবর্ষা, রসের পিঠাসহ বিভিন্ন ঐতিহ্যবাহী পিঠার সম্ভার ছিল দর্শনার্থীদের জন্য বিশেষ আকর্ষণ।

পিঠা মেলার সমাপনী দিনে উপস্থিত ছিলেন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, শিল্পী, খাদ্য বিশেষজ্ঞ এবং বিপুলসংখ্যক দর্শনার্থী। আয়োজকদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এ ধরনের আয়োজন ভবিষ্যতেও চালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে, যাতে নতুন প্রজন্ম বাঙালির ঐতিহ্যবাহী খাদ্যসংস্কৃতি সম্পর্কে আরও আগ্রহী হয়ে ওঠে।

সমাপনী অনুষ্ঠানে ছিল সংগীতানুষ্ঠান, লোকনৃত্য ও পিঠা তৈরির বিশেষ প্রদর্শনী। অংশগ্রহণকারী পিঠা নির্মাতাদের মধ্যে সেরা পিঠা প্রস্তুতকারীদের পুরস্কৃত করা হয়। দর্শনার্থীদের উচ্ছ্বাস ও অংশগ্রহণ প্রমাণ করে, পিঠা শুধুই একটি খাদ্য নয়, এটি আমাদের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের অবিচ্ছেদ্য অংশ।

এই মেলার মাধ্যমে বাঙালির গ্রামবাংলার ঐতিহ্যকে নতুনভাবে শহুরে জীবনে তুলে ধরার প্রয়াস সফল হয়েছে বলে মনে করেন আয়োজকরা।

Tag :
জনপ্রিয়

বন্যার্ধ আয়োজনে পিঠা মেলার সমাপনী দিন আজ

প্রকাশিত ০২:৫৩:১১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

 

রঞ্জন পাল

ঢাকা, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি— বাঙালির ঐতিহ্যবাহী পিঠা সংস্কৃতিকে উদযাপন করতে আয়োজিত ‘বন্যার্ধ পিঠা মেলা’ আজ সমাপ্তির পথে। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির উদ্যোগে আয়োজিত এই মেলা নানা স্বাদের দেশীয় পিঠার সমারোহে পরিণত হয়েছিল এক বর্ণিল উৎসবে।

গত এক সপ্তাহ ধরে চলা এ মেলায় দেশজুড়ে বিভিন্ন অঞ্চলের সুপরিচিত পিঠার স্বাদ নিতে ভিড় জমিয়েছিলেন হাজারো দর্শনার্থী। চিতই, পাটিসাপটা, ভাপা, দুধ চিতই, নারকেল নারীবর্ষা, রসের পিঠাসহ বিভিন্ন ঐতিহ্যবাহী পিঠার সম্ভার ছিল দর্শনার্থীদের জন্য বিশেষ আকর্ষণ।

পিঠা মেলার সমাপনী দিনে উপস্থিত ছিলেন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, শিল্পী, খাদ্য বিশেষজ্ঞ এবং বিপুলসংখ্যক দর্শনার্থী। আয়োজকদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এ ধরনের আয়োজন ভবিষ্যতেও চালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে, যাতে নতুন প্রজন্ম বাঙালির ঐতিহ্যবাহী খাদ্যসংস্কৃতি সম্পর্কে আরও আগ্রহী হয়ে ওঠে।

সমাপনী অনুষ্ঠানে ছিল সংগীতানুষ্ঠান, লোকনৃত্য ও পিঠা তৈরির বিশেষ প্রদর্শনী। অংশগ্রহণকারী পিঠা নির্মাতাদের মধ্যে সেরা পিঠা প্রস্তুতকারীদের পুরস্কৃত করা হয়। দর্শনার্থীদের উচ্ছ্বাস ও অংশগ্রহণ প্রমাণ করে, পিঠা শুধুই একটি খাদ্য নয়, এটি আমাদের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের অবিচ্ছেদ্য অংশ।

এই মেলার মাধ্যমে বাঙালির গ্রামবাংলার ঐতিহ্যকে নতুনভাবে শহুরে জীবনে তুলে ধরার প্রয়াস সফল হয়েছে বলে মনে করেন আয়োজকরা।