জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলায় ১ নং ওয়ার্ডের ৭ নং মেরুরচর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মোঃ জিয়াউর রহমানের বিরুদ্ধে বৃদ্ধ চাচা ও তার পরিবারকে মারধর করেছে বলে ফেসবুকে একটি আইডি থেকে মিথ্যা অপপ্রচার করা হয়। যেখানে উল্লেখ্য রয়েছে, আট হাজার টাকার বিনিময়ে ইউপি সদস্য তার স্ত্রীর নামে ভিজিএফ এর কার্ড বৃদ্ধ চাচা তোফাজ্জল হক ভিক্ষু (৭০) কে দেয়। ভিক্ষু দুই বছর যাবত এই কার্ডের সুবিধা ভোগ করেন এখন মেম্বার মোঃ জিয়াউর রহমান তাকে আর কার্ড দেয় না এমনকি চাইতে গেলে তার নিজ বাসায় মারধর করেছে বলে অভিযোগে জানায়।
এর প্রতিবাদে গত ৩০শে মে (শুক্রবার) সকাল ১১টায় তার নিজ বাড়িতে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন মেম্বার মোঃ জিয়াউর রহমান ও তার পরিবার।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম জামালপুরের প্রকাশিত সংবাদ (ফেইসবুকে) এই মিথ্যাচার প্রচারের ফলে ইউপি সদস্য জিয়াউর রহমান ও মেরুরচর ইউনিয়ন পরিষদের মানহানি হয়েছে বলে দাবী করেন তিনি।
জিয়াউর রহমান (জিয়া) মেম্বার জানান, এই লুৎফর ও লুৎফরের চাচা ভিক্ষু কে নিয়ে আমার বিরুদ্ধে মান সম্মানহানি অভিযোগ করেছে, তারা বলেছে আমি নাকি চালের কার্ড বানিয়ে দেওয়ার কথা বলে ৮০০০ টাকা নিয়েছি। যা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট এর পরিপ্রেক্ষিতে ওরা আমার বাড়িতে এসে ঝাড়ু দিয়ে আমাকে মারধর করে এতে আমি কিছু না বলে তাদেরকে ফিরিয়ে দেই। এই ভিক্ষু সাধুরপাড়া ইউনিয়নের ভোটার ছিল। সে নদীভাঙ্গা এলাকার লোক, আমি পরবর্তীতে তার কার্ডটি ট্রান্সফার করে মেরুরচর এলাকায় নিয়ে আসি এবং বয়স্ক ভাতার কার্ড বানিয়ে দিই, আমি তাকে মাসে মাসে চালের ব্যবস্থা করে করি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কে বলে একটি কার্ড বানিয়ে দেই। এবার সে আমার কাছে চালের কার্ড চাইতে আসে যেহেতু কার্ডটাতো কারো নামের না তাই আমি তাকে কার্ড দিতে পারি নাই নাম ঠিকানা সিরিয়াল নাম্বারও জানিনা। যেহেতু তাদের সাথে আমার জায়গা জমি নিয়ে পূর্বে শত্রুতা ছিল, এতেই ক্ষিপ্ত হয়ে তার ভাতিজা লুৎফর এ বিষয়টি মিটমাট করবে বলে পঞ্চাশ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে তাতে আমি রাজি না হলে আমার সহজ সরল বোনকে টাকার লোভ দেখিয়ে ফুসলিয়ে আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক মানহানিকর বক্তব্য মোবাইলে ভিডিও ধারণ করে ফেইসবুকে ছড়িয়ে দেয়। যা আমার মান সম্মানে ব্যাপক আঘাত লেগেছে। আমি এহেন কর্মকান্ডের তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানানোর পাশাপাশি প্রশাসনের নিকট তদন্ত পূর্বক সুষ্ঠ বিচারের দাবি জানাই। এ সময় ফেসবুকে অপপ্রচারের বক্তব্য যে ভিডিও ধারণ করা হয় সে বিষয়ে মোছাঃ অনিমা বেগম নিজে সংবাদ সম্মেলনে বলেন, আমি এই ভিডিও ধারনের ব্যাপারে কিছুই জানি না আমাকে নিয়ে যে ভিডিও বক্তব্য ধারণ করা হয়েছে তা মিথ্যা এবং বানোয়াট এর তীব্র নিন্দা জানাই। মেম্বার একজন সৎ ব্যক্তি তাকে ফাঁসানোর জন্য এই ব্যবস্থা করা হয়েছে। এলাকাবাসী এর তীব্র নিন্দা জানিয়ে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে প্রশাসনের নিকট সুবিচার দাবি করেন।