০১:০৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৩ অগাস্ট ২০২৫, ১৯ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

প্রবাসী বিনিয়োগকারীর ৮ কোটি টাকার মালামাল লুট : আইডিবি’র সিইও’র বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ

  • প্রকাশিত ০৩:৪৯:০৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩ অগাস্ট ২০২৫
  • ৯ বার দেখা হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : সম্প্রতি রাজধানীর সেগুনবাগিচাস্থ ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ২৯ জুলাই ২০২৫, মঙ্গলবার দুপুর ১১ ঘটিকায় এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে আমেরিকা প্রবাসী ব্যবসায়ী মোঃ আখতারুজ্জামান খান অভিযোগ করেন, তার ২৭ বছরের গড়া দুটি কম্পিউটার প্রতিষ্ঠানে ভয়াবহ লুটপাট, দখলদারিত্ব ও সম্পত্তি আত্মসাতের শিকার হয়েছেন তিনি। তিনি জানান, ঢাকার শেরে বাংলা নগরের আইডিবি ভবনের বিসিএস কম্পিউটার সিটির এস.জি.আর ৩১ ও ২২ নম্বর দোকানে “iMart Computer Technology Ltd.” ও “Computer Mart Inc.” নামের দুইটি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে তিনি দীর্ঘদিন ধরে ব্যবসা করে আসছিলেন। তার দাবি অনুযায়ী, প্রায় ১০ কোটি টাকার পণ্যসামগ্রীর মালিক তিনি। কিন্তু ২০১৬ সালের ৩১ আগস্ট, রাজনৈতিক মতভেদ ও ক্ষমতাসীন গোষ্ঠীর পৃষ্ঠপোষকতায় ইসলামিক ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের (আইডিবি) প্রধান নির্বাহী জনাব নিয়াজ খান তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দখল করেন। লুট হওয়া মালামালের বিবরণ: HP ল্যাপটপ – ৪৬০টি – ৩,৬৮,০০,০০০ টাকা, DELL ল্যাপটপ – ১৮০টি – ১,২৬,০০,০০০ টাকা, ACER ল্যাপটপ – ৮০টি – ৪৮,০০,০০০ টাকা, Lenovo ল্যাপটপ – ৬০টি – ৪২,০০,০০০ টাকা, Desktop কম্পিউটার – ৪০টি – ২৪,০০,০০০ টাকা, HP প্রিন্টার – ১৩০টি – ২৮,৬০,০০০ টাকা, অন্যান্য এক্সেসরিজ – আনুমানিক ১,২৮,০০,০০০ টাকা মোট ক্ষতি: ৮,৮১,৬০,০০০ টাকা।

তিনি জানান, ভাড়ার চুক্তি ৩০ জুন ২০১৬ পর্যন্ত থাকলেও তা নবায়ন না করে জুলাই-আগস্ট মাসের ভাড়া গ্রহণের পর কোনো ধরনের নোটিশ ছাড়াই দোকান দুটি তালাবদ্ধ করে দেওয়া হয় এবং রাতের আঁধারে মালামাল লুট করে নেওয়া হয়। তিনি বলেন, “আমি আমেরিকায় অবস্থান করায় সরাসরি প্রতিরোধ করতে পারিনি। দেশে ফিরে ৫ আগস্ট ২০২৪ তারিখে আমি জনাব নিয়াজ খানের বিরুদ্ধে একটি সিআর মামলা দায়ের করি, যা বর্তমানে পিবিআই তদন্ত করছে। তিনি সংবাদ সম্মেলনে লুটপাট ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে সরকারের সুদৃষ্টি কামনা করে তিনি কয়েকটি দাবি তুলে ধরেন: দায়ীদের বিরুদ্ধে দ্রুত বিচার, ক্ষতিপূরণ প্রদান। ভবিষ্যতে এ ধরনের অনাচার প্রতিরোধে রাষ্ট্রীয় পদক্ষেপ।“এটি শুধু আমার ক্ষতি নয়; একজন প্রবাসী বিনিয়োগকারী হিসেবে এর মাধ্যমে দেশের ভাবমূর্তিও ক্ষুণ্ণ হয়েছে।

Tag :
জনপ্রিয়

মাদক নিরাময় কেন্দ্র ‘বীকন’-এর বিরুদ্ধে অভিযোগ, নাজরাতান নাঈম রাতুল বাঁচতে চায়

প্রবাসী বিনিয়োগকারীর ৮ কোটি টাকার মালামাল লুট : আইডিবি’র সিইও’র বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ

প্রকাশিত ০৩:৪৯:০৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩ অগাস্ট ২০২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক : সম্প্রতি রাজধানীর সেগুনবাগিচাস্থ ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ২৯ জুলাই ২০২৫, মঙ্গলবার দুপুর ১১ ঘটিকায় এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে আমেরিকা প্রবাসী ব্যবসায়ী মোঃ আখতারুজ্জামান খান অভিযোগ করেন, তার ২৭ বছরের গড়া দুটি কম্পিউটার প্রতিষ্ঠানে ভয়াবহ লুটপাট, দখলদারিত্ব ও সম্পত্তি আত্মসাতের শিকার হয়েছেন তিনি। তিনি জানান, ঢাকার শেরে বাংলা নগরের আইডিবি ভবনের বিসিএস কম্পিউটার সিটির এস.জি.আর ৩১ ও ২২ নম্বর দোকানে “iMart Computer Technology Ltd.” ও “Computer Mart Inc.” নামের দুইটি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে তিনি দীর্ঘদিন ধরে ব্যবসা করে আসছিলেন। তার দাবি অনুযায়ী, প্রায় ১০ কোটি টাকার পণ্যসামগ্রীর মালিক তিনি। কিন্তু ২০১৬ সালের ৩১ আগস্ট, রাজনৈতিক মতভেদ ও ক্ষমতাসীন গোষ্ঠীর পৃষ্ঠপোষকতায় ইসলামিক ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের (আইডিবি) প্রধান নির্বাহী জনাব নিয়াজ খান তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দখল করেন। লুট হওয়া মালামালের বিবরণ: HP ল্যাপটপ – ৪৬০টি – ৩,৬৮,০০,০০০ টাকা, DELL ল্যাপটপ – ১৮০টি – ১,২৬,০০,০০০ টাকা, ACER ল্যাপটপ – ৮০টি – ৪৮,০০,০০০ টাকা, Lenovo ল্যাপটপ – ৬০টি – ৪২,০০,০০০ টাকা, Desktop কম্পিউটার – ৪০টি – ২৪,০০,০০০ টাকা, HP প্রিন্টার – ১৩০টি – ২৮,৬০,০০০ টাকা, অন্যান্য এক্সেসরিজ – আনুমানিক ১,২৮,০০,০০০ টাকা মোট ক্ষতি: ৮,৮১,৬০,০০০ টাকা।

তিনি জানান, ভাড়ার চুক্তি ৩০ জুন ২০১৬ পর্যন্ত থাকলেও তা নবায়ন না করে জুলাই-আগস্ট মাসের ভাড়া গ্রহণের পর কোনো ধরনের নোটিশ ছাড়াই দোকান দুটি তালাবদ্ধ করে দেওয়া হয় এবং রাতের আঁধারে মালামাল লুট করে নেওয়া হয়। তিনি বলেন, “আমি আমেরিকায় অবস্থান করায় সরাসরি প্রতিরোধ করতে পারিনি। দেশে ফিরে ৫ আগস্ট ২০২৪ তারিখে আমি জনাব নিয়াজ খানের বিরুদ্ধে একটি সিআর মামলা দায়ের করি, যা বর্তমানে পিবিআই তদন্ত করছে। তিনি সংবাদ সম্মেলনে লুটপাট ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে সরকারের সুদৃষ্টি কামনা করে তিনি কয়েকটি দাবি তুলে ধরেন: দায়ীদের বিরুদ্ধে দ্রুত বিচার, ক্ষতিপূরণ প্রদান। ভবিষ্যতে এ ধরনের অনাচার প্রতিরোধে রাষ্ট্রীয় পদক্ষেপ।“এটি শুধু আমার ক্ষতি নয়; একজন প্রবাসী বিনিয়োগকারী হিসেবে এর মাধ্যমে দেশের ভাবমূর্তিও ক্ষুণ্ণ হয়েছে।