০৫:২১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ জুন ২০২৫, ১৫ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
মোঃ আমিন হোসেন :

প্রকৃত বন্ধু বন্ধুই থাকে বন্ধুদের দূরত্ব নেই

  • প্রকাশিত ০৩:০৭:৩২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ জুন ২০২৫
  • ১৩ বার দেখা হয়েছে

আমাদের শৈশবের দিনগুলো ছিল ঠিক যেনো এক রঙিন স্বপ্ন। কাদা-মাটি, নদীর ঘাট, স্কুল পালানো, বিকেলে পুকুরে ঝাঁপ দেওয়া, হা-ডু-ডু খেলা তো থাকতোই —সবকিছুই ছিল প্রাণের মত আপন। সেই সময়ের বন্ধুদের কথা আজও মনে পড়ে, তবে যাদের কথা সবচেয়ে বেশি মনে পড়ে, সবার মধ্যে আমার প্রাণের বন্ধুরা যারা,তাদের মধ্যে অন্যতম কিছু নাম সব সময় মনে পড়ে তারা হলো —হানিফ আলী, আব্দুর রউফ, জসিম, আইয়োব, আশরাফুল, শাহিনুর, রফিক, হেলাল, জলিল, আরো নাম না জানা অনেকে,

আমরা সবাই ছিলাম এক সময় গ্রামের একটি ব্যাচ। স্কুল জিবনের সেই দুরন্তপনা আর একে-অপরের প্রতি অগাধ ভালোবাসা ছিল আমার জীবনের সেরা সময় সবচেয়ে বেশি কাটাতাম তাদের মধ্যে অন্যতম আইয়ুব, জসিম, রূপ, বিশেষ করে হা-ডু-ডু খেলার পার্টনার ছিল আমার মামা, আজিজ ডাক্তার, এবং ফিরোজ মাস্টার, এরা ছিল আমাদের দলের সবচেয়ে চঞ্চল আর মজার ছেলে। দুঃখে-সুখে, পরীক্ষায় না পড়ে , প্রেমে ব্যর্থতায়—সব সময় পাশে থাকত।

কিন্তু সময় তো আর থেমে থাকে না। ঘড়ির কাটার মত সময় কিভাবে যে জীবনের ৪৮ টা বছর কেটে গেল জীবনটা নানা রকম একটা চা দাও টিস্যু দাও এভাবেই চলে গেল সময়, বিকেল হলে জুলহাসের দোকানে ফরহাদের দোকানে চা না খেলে যেন তৃপ্তিই লাগতো না। দিন চলে যায় কিন্তু দিনের কথাগুলো স্মৃতিতে কাঁদায় সবার জীবনের তাগিদে একেক জন একেক জায়গায় আমরা চলে যায় অনেক দূরে,কেউ বিদেশে। আবার কেউ দেশে বিভিন্ন কর্মসংস্থান নিয়ে ব্যস্ততা শুনি মাঝেমধ্যে অনেক সুখে আছে, আমাদের বন্ধুদের সবার পরিবার, বউ-বাচ্চা এবং মা বাবা নিয়ে গুছিয়ে নিয়েছে জীবন। আমি মাঝে মাঝে সবার ফেসবুক পোস্টে দেখি হাসিমুখ, অনেকের ছেলে মেয়েরা অনেক বড় হয়েছে কেউ আবার ছেলে মেয়ে বিয়ে দিয়ে নাতিনাতকুরের মুখ দেখে ফেলেছে স্ত্রীর সঙ্গে স্বামীদের অগাধ ভালোবাসা এ যেন এক অফুড়ান্ত নিয়ামত শুনলেই ভালো লাগে মনে হয়, সবার জীবনটা এখন সত্যিই পরিপূর্ণ।

আমরা, একসাথে চলতাম কেউ বন্ধু কেউ চাচা কেউ ভাই কেউবা আবার সমবয়স্ক এখনও প্রতি রমজানে,ঈদে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে সবাই একসাথে হওয়ার চেষ্টা করি কিন্তু ওই যে কর্মব্যস্ততা একটা না একটা থেকেই যায় তাই আমরা সবাই যার যার জায়গা থেকে আল্লাহর কাছে দোয়া প্রার্থনা ছাড়া কিছুই করতে পারিনা। তাই সবার বউ বাচ্চা মা বাবা, সবাই যদি কোনদিন দলবেদে একসাথে হতে পারি তাহলে
,, আমরা ঠিক আবার দল বেঁধে বসবো। পুরনো গান গাইবো। হয়তো পুকুরপাড়ে আবার গল্প হবে। আবার সেই দক্ষিণ চকের বিকেল বেলা সড়কের মেঠো পথে বসে আড্ডা দিব আর তখন বুঝবো—বন্ধুত্ব দূরত্ব মানে না। হৃদয়ের বন্ধন কখনো ফিকে হয় না।তাই আমি সাংবাদিক মোঃ আমির হোসেন, আমরা যে যেখানেই থাকি মনের যে একটা আত্মতৃপ্তি মুঠো ফুনে যোগাযোগ করে পাই এটাই যেন আমাদের সারা জীবনের সঙ্গী আমার মনে হয় একদিন হয়তো পৃথিবীতে থাকবো না স্মৃতিগুলি থেকে যাবে।

Tag :
জনপ্রিয়

শ্রমিক দল নেতা শেখ আহমদ আলী রানার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা: উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়রানির অভিযোগ

মোঃ আমিন হোসেন :

প্রকৃত বন্ধু বন্ধুই থাকে বন্ধুদের দূরত্ব নেই

প্রকাশিত ০৩:০৭:৩২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ জুন ২০২৫

আমাদের শৈশবের দিনগুলো ছিল ঠিক যেনো এক রঙিন স্বপ্ন। কাদা-মাটি, নদীর ঘাট, স্কুল পালানো, বিকেলে পুকুরে ঝাঁপ দেওয়া, হা-ডু-ডু খেলা তো থাকতোই —সবকিছুই ছিল প্রাণের মত আপন। সেই সময়ের বন্ধুদের কথা আজও মনে পড়ে, তবে যাদের কথা সবচেয়ে বেশি মনে পড়ে, সবার মধ্যে আমার প্রাণের বন্ধুরা যারা,তাদের মধ্যে অন্যতম কিছু নাম সব সময় মনে পড়ে তারা হলো —হানিফ আলী, আব্দুর রউফ, জসিম, আইয়োব, আশরাফুল, শাহিনুর, রফিক, হেলাল, জলিল, আরো নাম না জানা অনেকে,

আমরা সবাই ছিলাম এক সময় গ্রামের একটি ব্যাচ। স্কুল জিবনের সেই দুরন্তপনা আর একে-অপরের প্রতি অগাধ ভালোবাসা ছিল আমার জীবনের সেরা সময় সবচেয়ে বেশি কাটাতাম তাদের মধ্যে অন্যতম আইয়ুব, জসিম, রূপ, বিশেষ করে হা-ডু-ডু খেলার পার্টনার ছিল আমার মামা, আজিজ ডাক্তার, এবং ফিরোজ মাস্টার, এরা ছিল আমাদের দলের সবচেয়ে চঞ্চল আর মজার ছেলে। দুঃখে-সুখে, পরীক্ষায় না পড়ে , প্রেমে ব্যর্থতায়—সব সময় পাশে থাকত।

কিন্তু সময় তো আর থেমে থাকে না। ঘড়ির কাটার মত সময় কিভাবে যে জীবনের ৪৮ টা বছর কেটে গেল জীবনটা নানা রকম একটা চা দাও টিস্যু দাও এভাবেই চলে গেল সময়, বিকেল হলে জুলহাসের দোকানে ফরহাদের দোকানে চা না খেলে যেন তৃপ্তিই লাগতো না। দিন চলে যায় কিন্তু দিনের কথাগুলো স্মৃতিতে কাঁদায় সবার জীবনের তাগিদে একেক জন একেক জায়গায় আমরা চলে যায় অনেক দূরে,কেউ বিদেশে। আবার কেউ দেশে বিভিন্ন কর্মসংস্থান নিয়ে ব্যস্ততা শুনি মাঝেমধ্যে অনেক সুখে আছে, আমাদের বন্ধুদের সবার পরিবার, বউ-বাচ্চা এবং মা বাবা নিয়ে গুছিয়ে নিয়েছে জীবন। আমি মাঝে মাঝে সবার ফেসবুক পোস্টে দেখি হাসিমুখ, অনেকের ছেলে মেয়েরা অনেক বড় হয়েছে কেউ আবার ছেলে মেয়ে বিয়ে দিয়ে নাতিনাতকুরের মুখ দেখে ফেলেছে স্ত্রীর সঙ্গে স্বামীদের অগাধ ভালোবাসা এ যেন এক অফুড়ান্ত নিয়ামত শুনলেই ভালো লাগে মনে হয়, সবার জীবনটা এখন সত্যিই পরিপূর্ণ।

আমরা, একসাথে চলতাম কেউ বন্ধু কেউ চাচা কেউ ভাই কেউবা আবার সমবয়স্ক এখনও প্রতি রমজানে,ঈদে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে সবাই একসাথে হওয়ার চেষ্টা করি কিন্তু ওই যে কর্মব্যস্ততা একটা না একটা থেকেই যায় তাই আমরা সবাই যার যার জায়গা থেকে আল্লাহর কাছে দোয়া প্রার্থনা ছাড়া কিছুই করতে পারিনা। তাই সবার বউ বাচ্চা মা বাবা, সবাই যদি কোনদিন দলবেদে একসাথে হতে পারি তাহলে
,, আমরা ঠিক আবার দল বেঁধে বসবো। পুরনো গান গাইবো। হয়তো পুকুরপাড়ে আবার গল্প হবে। আবার সেই দক্ষিণ চকের বিকেল বেলা সড়কের মেঠো পথে বসে আড্ডা দিব আর তখন বুঝবো—বন্ধুত্ব দূরত্ব মানে না। হৃদয়ের বন্ধন কখনো ফিকে হয় না।তাই আমি সাংবাদিক মোঃ আমির হোসেন, আমরা যে যেখানেই থাকি মনের যে একটা আত্মতৃপ্তি মুঠো ফুনে যোগাযোগ করে পাই এটাই যেন আমাদের সারা জীবনের সঙ্গী আমার মনে হয় একদিন হয়তো পৃথিবীতে থাকবো না স্মৃতিগুলি থেকে যাবে।