০৩:৩০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৬ জুন ২০২৫, ২৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পোড়া মাংস নয়, সিদ্ধ মাংসই বেশি নিরাপদ

  • প্রকাশিত ১১:৩৭:৪৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ জুন ২০২৫
  • ৭ বার দেখা হয়েছে

দৈনিক স্বদেশবিচিত্রা লাইফস্টাইল ডেস্ক : ঈদ মানেই বাহারি খাবারের আয়োজন। আর সেটা যদি কোরবানির ঈদ হয়, তাহলে বাহারি নানা পদের সঙ্গে যোগ হবে হরেক রকম মাংসের পদ। এবারের কোরবানির ঈদটা পড়ছে জ্যৈষ্ঠের একদম শেষের ভাগে, তাই প্রচুর গরম বা রোদ-বৃষ্টির ফাঁদে পড়াটা স্বাভাবিক। গরমের কারণে অনেকেরই গরু বা খাসির মাংসে সমস্যা হয়। সেটা মাথায় রেখেই খাওয়াদাওয়া করতে হবে।

ঈদে কম বেশি সবারই গরু বা খাসির মাংস খাওয়া হয়ে থাকে। এটি খেতে যেমন সুস্বাদু, তেমনি এতে রয়েছে উচ্চ মানের প্রোটিন। গরু, খাসি, উট, দুম্বা, মহিষ বা ভেড়ার মাংসকে রেড মিট বলে। এতে রক্তস্বল্পতা রোধ, শারীরিক শক্তি বৃদ্ধি, ত্বক ও চুলের স্বাস্থ্যের উন্নতি, রোগ প্রতিরোধসহ নানা ধরনের উপকারিতা রয়েছে।

তবে অবশ্যই পরিমিত পরিমানে মাংস খেতে হবে। কেননা গরমে লাল মাংস একটানা দীর্ঘদিন ধরে খেলে শরীরে বাসা বাঁধতে পারে নানা রোগ- এমনটাই বলছেন রাজবাড়ীর সিভিল সার্জন ডা. এস এম মাসুদ।

তিনি জানানা, গরু, খাসি, মহিষ, ভেড়ার মাংসকে লাল মাংস বা রেড মিট বলা হয়ে থাকে। এসব মাংসে মায়োগ্লোবিন নামক উপাদান বেশি থাকার কারণে মাংস লাল হয়। এই মাংসে উচ্চমাত্রার চর্বি ও কোলেস্টেরল থাকায় খাওয়ার ক্ষেত্রে কিছুটা ঝুঁকি থেকে যায়।

ঈদুল আজহার সময় অনেকেই গরু বা খাসি কোরবানি দিয়ে থাকে। কিন্তু কোরবানির সময় গরুর মাংস খাওয়ার বিষয়ে সবাইকে সচেতন থাকতে হবে। গরুর মাংস একটি চর্বিযুক্ত খাবার। এর প্রত্যেকটি আঁশের মধ্যেই চর্বি থাকে।

সিভিল সার্জন ডা. এস এম মাসুদ বলছেন, গরুর মাংসের চর্বি অতিরিক্ত খেয়ে ফেললে সেটা রক্তনালীর মধ্যে জমা হয়। এর ফলে স্ট্রোক ও হৃদরোগের মতো জটিল রোগ হতে পারে। আবার অতিরিক্ত চর্বি খেলে মানুষ মোটা হয়ে যেতে পারে।

কোরবানির সময় নানাভাবে বাড়িতে মাংস রান্না হয়ে থাকে। অনেকেই গরুর মাংসটা ঠিক মতো প্রক্রিয়াজাতকরণ না করে কাবাবের মতো পুড়িয়ে খেয়ে থাকে। সেটা অনেক সময় মারাত্মক পরিণতি ডেকে আনতে পারে।

ডা. এস এম মাসুদ জানান, মাংস পুরোপুরি সিদ্ধ করে খেলে করলে যতটা নিরাপদ হয়, আগুনে পোড়ালে ততটা নিরাপদ হয় না। তাই সঠিকভাবে মাংস রান্না করে খাওয়ার দিকে নজর দিতে হবে। সেইসঙ্গে একবার খেতে বসলে ৩/৪ টুকরার বেশি না খাওয়া ভালো। একটু গ্যাপ দিয়ে খাওয়া যেতে পারে। কারণ একটা মাংসে যখন ফ্যাট থাকে তা হজম হতে ৬/৭ ঘন্টার বেশি সময় লাগে।
দৈনিক স্বদেশবিচিত্রা/এআর

Tag :
জনপ্রিয়

পোড়া মাংস নয়, সিদ্ধ মাংসই বেশি নিরাপদ

প্রকাশিত ১১:৩৭:৪৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৫ জুন ২০২৫

দৈনিক স্বদেশবিচিত্রা লাইফস্টাইল ডেস্ক : ঈদ মানেই বাহারি খাবারের আয়োজন। আর সেটা যদি কোরবানির ঈদ হয়, তাহলে বাহারি নানা পদের সঙ্গে যোগ হবে হরেক রকম মাংসের পদ। এবারের কোরবানির ঈদটা পড়ছে জ্যৈষ্ঠের একদম শেষের ভাগে, তাই প্রচুর গরম বা রোদ-বৃষ্টির ফাঁদে পড়াটা স্বাভাবিক। গরমের কারণে অনেকেরই গরু বা খাসির মাংসে সমস্যা হয়। সেটা মাথায় রেখেই খাওয়াদাওয়া করতে হবে।

ঈদে কম বেশি সবারই গরু বা খাসির মাংস খাওয়া হয়ে থাকে। এটি খেতে যেমন সুস্বাদু, তেমনি এতে রয়েছে উচ্চ মানের প্রোটিন। গরু, খাসি, উট, দুম্বা, মহিষ বা ভেড়ার মাংসকে রেড মিট বলে। এতে রক্তস্বল্পতা রোধ, শারীরিক শক্তি বৃদ্ধি, ত্বক ও চুলের স্বাস্থ্যের উন্নতি, রোগ প্রতিরোধসহ নানা ধরনের উপকারিতা রয়েছে।

তবে অবশ্যই পরিমিত পরিমানে মাংস খেতে হবে। কেননা গরমে লাল মাংস একটানা দীর্ঘদিন ধরে খেলে শরীরে বাসা বাঁধতে পারে নানা রোগ- এমনটাই বলছেন রাজবাড়ীর সিভিল সার্জন ডা. এস এম মাসুদ।

তিনি জানানা, গরু, খাসি, মহিষ, ভেড়ার মাংসকে লাল মাংস বা রেড মিট বলা হয়ে থাকে। এসব মাংসে মায়োগ্লোবিন নামক উপাদান বেশি থাকার কারণে মাংস লাল হয়। এই মাংসে উচ্চমাত্রার চর্বি ও কোলেস্টেরল থাকায় খাওয়ার ক্ষেত্রে কিছুটা ঝুঁকি থেকে যায়।

ঈদুল আজহার সময় অনেকেই গরু বা খাসি কোরবানি দিয়ে থাকে। কিন্তু কোরবানির সময় গরুর মাংস খাওয়ার বিষয়ে সবাইকে সচেতন থাকতে হবে। গরুর মাংস একটি চর্বিযুক্ত খাবার। এর প্রত্যেকটি আঁশের মধ্যেই চর্বি থাকে।

সিভিল সার্জন ডা. এস এম মাসুদ বলছেন, গরুর মাংসের চর্বি অতিরিক্ত খেয়ে ফেললে সেটা রক্তনালীর মধ্যে জমা হয়। এর ফলে স্ট্রোক ও হৃদরোগের মতো জটিল রোগ হতে পারে। আবার অতিরিক্ত চর্বি খেলে মানুষ মোটা হয়ে যেতে পারে।

কোরবানির সময় নানাভাবে বাড়িতে মাংস রান্না হয়ে থাকে। অনেকেই গরুর মাংসটা ঠিক মতো প্রক্রিয়াজাতকরণ না করে কাবাবের মতো পুড়িয়ে খেয়ে থাকে। সেটা অনেক সময় মারাত্মক পরিণতি ডেকে আনতে পারে।

ডা. এস এম মাসুদ জানান, মাংস পুরোপুরি সিদ্ধ করে খেলে করলে যতটা নিরাপদ হয়, আগুনে পোড়ালে ততটা নিরাপদ হয় না। তাই সঠিকভাবে মাংস রান্না করে খাওয়ার দিকে নজর দিতে হবে। সেইসঙ্গে একবার খেতে বসলে ৩/৪ টুকরার বেশি না খাওয়া ভালো। একটু গ্যাপ দিয়ে খাওয়া যেতে পারে। কারণ একটা মাংসে যখন ফ্যাট থাকে তা হজম হতে ৬/৭ ঘন্টার বেশি সময় লাগে।
দৈনিক স্বদেশবিচিত্রা/এআর