আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে পিরোজপুর জেলার ৭ টি উপজেলায় চলছে প্রতিমা তৈরির ব্যস্ততা। হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় এই উৎসবকে ঘিরে জেলায় মোট ৪৫৬টি পূজামণ্ডপে প্রতিমা তৈরির কাজ চলছে। জেলা পূজা উদ্যাপন পরিষদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, পিরোজপুর সদর উপজেলায় ৫৮টি, নাজিরপুরে ১২৬টি, স্বরূপকাঠী (নেছারাবাদ) উপজেলায় ১০১টি, ইন্দুরকানী (জিয়ানগর) উপজেলায় ২৩টি, কাউখালীতে ২৫টি, ভান্ডারিয়ায় ৪৮টি এবং মঠবাড়িয়ায় ৭৫টি মন্দিরে এবার দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। শহরের পালপাড়া এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, প্রতিমাশিল্পীরা প্রতিমা তৈরির কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন। স্থানীয় শিল্পী সঞ্জয় পাল জানান, “এ বছর অনেক আগে থেকেই মণ্ডপগুলো থেকে অর্ডার এসেছে। এখন প্রতিমার মাটির কাজ শেষ, সাদা খড়ি দেওয়া চলছে।” দুর্গাপূজার মূল আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে ২৮ সেপ্টেম্বর ষষ্ঠী পূজার মধ্য দিয়ে। এরপর যথাক্রমে ২৯ সেপ্টেম্বর সপ্তমী, ৩০ সেপ্টেম্বর মহাষ্টমী, ১ অক্টোবর নবমী এবং ২ অক্টোবর বিজয়া দশমী ও প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হবে এ উৎসব। তবে ২১ সেপ্টেম্বর মহালয়ার মধ্য দিয়ে শুরু হবে পূজার আগমনী। পূজাকে কেন্দ্র করে জেলা প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা। পুলিশ সুপার খাঁন মুহাম্মদ আবু নাসের জানান, “নির্বিঘ্ন এবং শান্তিপূর্ণভাবে দুর্গাপূজা উদ্যাপন নিশ্চিত করতে সাড়ে ৪০০ পুলিশ সদস্যসহ নানা স্তরের নিরাপত্তা প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। গোটা জেলায় থাকবে কড়া নজরদারি।” জেলা পূজা উদ্যাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক দোলা গুহ বলেন, “আমরা আশাবাদী-শান্তিপূর্ণ পরিবেশেই জেলার সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব দুর্গোৎসব সম্পন্ন হবে।” তিনি আরও জানান, পূজার সফল আয়োজনের জন্য জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে পূজা কমিটির সঙ্গে সমন্বয়ের কাজ চলমান রয়েছে। সদর পূজা উদ্যাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নির্মল কুমার চট্টোপাধ্যায় জানান, এবারের দুর্গোৎসব যাতে সুষ্ঠুভাবে ও আনন্দঘন পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়, সেজন্য প্রতিটি পূজামণ্ডপে স্বেচ্ছাসেবক দল, সিসি ক্যামেরা, আলোকসজ্জা ও স্যানিটেশন ব্যবস্থাও নিশ্চিত করার চেষ্টা চলছে।
০৫:২২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৭ নভেম্বর ২০২৫, ২৩ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম









