পিরোজপুর জেলা যুবদলের বহিষ্কৃত আহবায়ক মারুফ হাসান ওরফে মারুফ পোদ্দার (৪৮) চাঁদাবাজি মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছেন। শুক্রবার (৮ আগস্ট) বিকেলে সেনাবাহিনী ও পুলিশের যৌথ অভিযানে শহরের আবাসিক বিলাস হোটেল থেকে তাকে আটক করা হয়।
এর আগে একই দিন সকালে পিরোজপুর সদর থানায় বালু ব্যবসায়ী জুয়েল শেখ চাঁদাবাজির অভিযোগে মারুফসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। মামলার অন্য আসামিরা হলেন মিরন, মিলন এবং অজ্ঞাতনামা আরও দুই থেকে তিনজন।
পিরোজপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ রবিউল ইসলাম গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলার অভিযোগ
এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর থেকে মারুফ বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের কাছে চাঁদা দাবি করে আসছিলেন। এ কারণে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে ২০২৪ সালের ১০ আগস্ট কেন্দ্রীয় যুবদল মারুফসহ জেলার আরও তিন নেতাকে প্রাথমিক সদস্য পদ ও দলীয় সব পদ থেকে বহিষ্কার করে। সেই সঙ্গে তাদের কোনো অপকর্মের দায়ভার সংগঠন নেবে না বলে সতর্ক বার্তাও দেয়া হয়।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, কিছুদিন ধরে মারুফ ব্যবসায়ী জুয়েল শেখ এবং তার সহযোগী রিপনের কাছে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে আসছিলেন। পাশাপাশি প্রতি মাসে আরও ১ লাখ টাকা দেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছিলেন। টাকা না দেওয়ায় তাদের ওপর ক্ষিপ্ত হন তিনি।
গত ৫ আগস্ট দুপুরে বলেশ্বর ব্রিজ সংলগ্ন জুয়েলের মালিকানাধীন ‘মেসার্স রুমু এন্টারপ্রাইজ’ অফিসের সামনে মারুফ, মিরন ও মিলনসহ আরও কয়েকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে জুয়েলের কাছে পূর্বের দাবীকৃত ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। জুয়েল অস্বীকৃতি জানালে, মারুফ হকস্টিক দিয়ে এলোপাতাড়ি পেটাতে থাকেন। জুয়েলকে বাঁচাতে গেলে তার সহযোগী রিপনও মারধরের শিকার হন।
পরবর্তীতে হামলাকারীরা অফিসে প্রবেশ করে জুয়েলের হাত-পা বেঁধে পুনরায় মারধর করে এবং পরিবার থেকে টাকা আনার জন্য চাপ দিতে থাকেন। জুয়েলের চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে এলে হামলাকারীরা প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে চলে যায়। পরে তারা হুমকি দেয়, দাবীকৃত চাঁদা না দিলে জুয়েলের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খুলতে দেবে না।
পুলিশ জানিয়েছে, মামলার অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।