প্রকাশ ঘোষ বিধান, পাইকগাছা: দীর্ঘ সময় পাওয়ার পরও সংস্কার না করায় পাইকগাছা-সাতক্ষীরা সড়কের বাঁকা ব্রীজটি চরম ঝুকিতে রয়েছে। যে কোন সময় কপোতাক্ষ নদে ব্রীজটি ভেঙ্গে পড়ে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হতে পারে। ব্রিজটি ভেঙে পড়ার আশঙ্কা প্রবল।
দুর্ঘটনা ও ঝুঁকি এড়াতে ভারী যানবাহন ট্রাক বাস মিনিবাসসহ সকল ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে পাইকগাছা উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে। দরগাহপুর ও বাঁকা বাজার সড়ক সংযোগ ব্রিজটি ঝুঁকিপূর্ণ থাকায় ব্রিজের দুই পাশে রাস্তার মাঝ খানে গাছ পুতে দিয়ে আপাতত ভারি যানবাহন না যায় সে ব্যবস্থা করেছে কর্তৃপক্ষ। সাতক্ষীরা ও আশাশুনি থেকে সকল প্রকার যানবাহন বাঁকা রোড দরগাপুর রুটে চলাচল বন্ধ, যারা ভারি যানবাহন নিয়ে পাইকগাছা উপজেলায় প্রবেশ করবে তাদের জন্য আশাশুনি বড়দল শাহাপাড়া চাঁদখালী ব্রিজ সংযোগ সড়ক দিয়ে প্রবেশ করার অনুরোধ জানানো হয়েছে।
খুলনা জেলার পাইকগাছা উপজেলার বাঁকা বাজারের সাথে সাতক্ষীরা জেলার আশাশুনি উপজেলার দরগাহপুরের সংযোগকারী অত্যন্ত ব্যাস্ততম ব্রীজটির দুই প্রান্তে পিলারের নিচের মাটি নদের তীব্র স্রোতে ধসে যাওয়ায় ব্রীজটি নদের গর্ভে বিলীন হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। কপোতাক্ষ নদ খনন প্রকল্প দুই এর আওয়াতায় আশাশুনির বড়দল থেকে তালা উপজেলার শালিখা পর্যন্ত নতুন করে কপোতাক্ষ নদ খনন করা হয়। নদের এই অংশটুকু সাতক্ষীরা এবং খুলনা জেলার অন্তর্ভুক্ত হলেও এটি কেশবপুর- যশোর পানি উন্নয়ন বোর্ডের অধীনে এবং কপোতাক্ষ নদ খনন প্রকল্পের আওতায় খনন করা হয়। গত ২০২৪ সালে প্রকল্পের কাজ সমাপ্ত হয়। দরগাহপুর এবং বাঁকা বাজার পয়েন্টে সাতক্ষীরা এবং খুলনাকে সংযোগকারী ব্যস্ততম সড়ক থাকায় এলাকাবাসী নদীতে নতুন ব্রীজ তৈরি না হওয়া পর্যন্ত উক্ত জায়গাটি খনন করতে বাধা দেয়। ১৯৯২ সালে বাঁকায় কপোতাক্ষ নদের উপর এ ব্রিজটি তৈরি করা হয়। গত বর্ষায় অধিক প্লাবনের কারণে এলাকাবাসী বৃষ্টির পানি সরে যাওয়ার জন্য ব্রীজের নিচ দিয়ে ছোট একটি ক্যানেল তৈরি করে উভয় পাশে সংযুক্ত করে দেয়। পরবর্তীতে এই ছোট ক্যানেলটি এখন গলার কাটা হয়ে দাড়িয়েছে। ক্যানেলটি প্রবল স্রোতে পূর্ণাঙ্গ খরস্রোত নদীতে রূপান্তরিত হয়েছে। ফলে এর পার্শ্ববর্তী অনেক ঘর, বসতভিটা ও দোকান নদের গর্ভে বিলীন হয়ে গিয়েছে। অবশিষ্ট রয়েছে ব্রীজটি। কিন্তু ব্রীজের অবস্থা এতই খারাপ যে, প্রবল স্রোতের কারণে নিচে মাটি ধ্বসে এমন অবস্থা হয়েছে যে কোন সময় ভেঙে পড়তে পারে ব্রীজ।
এ বিষয়ে যশোর জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী পলাশ কুমার ব্যানার্জী জানান, আমরা ইতিমধ্যে সব রকম ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি, ব্রিজের ড্যাম্পিং এর কাজ শুরু হয়েছে। যে সকল জায়গায় ধস নেমেছে সে স্থানে সংস্কার করা হবে।