পাইকগাছায় চাঁদখালী ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডর ফতেপুর গ্রামের মো:ওমরআলী গং ৬ বছর পূর্বে কাওয়ালী গ্রামের গাজী আব্দুল আলীম এর কাছ থেকে রেকর্ডিয় ও দখলিয় সম্পত্তি ক্রয় করে সেখানে ৫টি টিনের ঘরবাড়ি সহ দোকানপাট চলমান থাকা অবস্থায় ফতেপুর গ্রামের আশরাফ সানাও তার লোকজন পূর্ব শত্রতার জের ধরে বে আইনি জনতা দলবদ্ধ ভাবে প্রকাশ্য দিবালোকে ধারালো রামদা, দা লাঠি শোঠা শাবল কূড়াল নিয়ে একযোগে২৫/৩০জনের একটি সংঘবদ্ধ চক্র মারমূখী আক্রমন করে তাদের সব দোকান ঘর বসত ঘর ভাংচুর করে ভুমির সাথে লুটিয়ে দেয়।
বাধা দিতে গেলে ওমর আলীর লোকজন প্রচন্ড হামলা মার পিটের শিকার হয়।
ওমর আলী জানান নগদ টাকা পয়সা স্বর্ন অলংকার এবং মোটর সাইকেল ভাংচুর করে বসত বাটি কে শশ্বানে পরিনত করেছে।তাদের ১০/১৫লক্ষ টাকার ক্ষতিসাধন হয়েছে।
এলাকাবাসি জানান প্রায় ৬বছর পূর্বে ওমরআলী রেকর্ডীয় সম্পত্তির মালিক গাজী আব্দুল আলীম এর কাছ থেকে ক্রয় সুত্রে এই সম্পত্তির মালিকানা হন।এবং ঘর বাড়ী দোকানপাট নির্মান করে শান্তি পূর্ণ ভাবে বসবাস করিয়া আসিতেছিল।
সাম্প্রতিক সময়ে গ্রামের কতিপয় লোকের প্ররোচনায় এবং নেতা হওয়ার বাসনায় তার ক্রয়কৃত জায়গার উপর নির্মিত ঘরে বালাদেশ জাতীয়বাদীদলের নামে একটি ক্লাব ঘরের সাইনবোর্ড লাগিয়ে জোরে সোরে রাজনৈতিক কর্মকান্ড চালিয়ে যাওয়ার নিমিত্তে এলাকার যুবসমাজের সাথে সম্পৃক্ত হওয়ায় এবং ৫ই আগস্ট সরকার পরিবর্তনের পাশাপাশি নেতাদের খোলস পাল্টিয়ে চলমান রাজনৈতিক দলের লেবাস লাগানো নেতারা ওমর আলীর এই রাজনৈতিক নেতৃত্বের অবস্হান মেনে নিতে না পারায় তাদের প্রতিহিংসার শিকারে খড়গ বলিতে ওমর আলীর জায়গা জমি কূখ্যিগত হয়েছে বলে এলাকাবাসী জানিয়েছেন।
এ ছাড়া যে সব নেতারা আওয়ামীলীগের সময়ে এম পি,উপজেলা চেয়ারম্যান, বড় বড় নেতাদের সাথে সেলফি তুলেছিল তাদের সে সব ছবি বর্তমান সময়ে ফেস বুকে পোষ্ট করায় নেতাদের বি এন পির নেতা বলে পরিচয় দিতে গিয়ে বড় অন্তরায় হওয়ার কারনে তাদের সামাজিক মর্যাদা ক্ষুন হয়েছে বলে তারা ওমর আলীর লোকজন কে সন্দেহ করে মার পিট করেছে।
এটা একটা অন্যতম কারন।
আশরাফ সানা গং জানান তাদের পূর্বপুরুষদের আমল থেকে কবরস্হানে মাটি দেওয়া হতো।বর্তমানে তাদের নামে কোন জায়গা জমি না থাকায় বর্তমান জায়গা জমির মালিকদের কাছে অনুরোধ করে ০’০৩একর জায়গা তাদের কবরস্থান হিসেবে প্রদান করা হয়। সে জায়গা তাদের গোরস্হান বলে খ্যাত।তাদের দখলে আছে।এবং সাম্প্রতিক সময়ে সেই কবরস্হানের গাছ বিক্রি করে তারা অনেক টাকা নিয়েছে।
কিন্তু কবরস্হানের পার্শ্ববর্তী জায়গা ক্রয়সুুত্রে জমির মালিক ওমর আলী।আশরাফসানা গং সূকৌশলে কবরস্হানের প্রকৃত জায়গা দখলে রেখে কবরস্হানের নাম ব্যবহার করে ওমর আলীর জায়গাজমি দখল করে ভাংচুর করেছে।জায়গা টি তারা নেট দিয়ে ঘিরে রেখেছে।এবং প্রচার দিচ্ছে এটা তাদের কবরস্থান। যাদের বৈধ কেন কাগজ নেই। পেশী শক্তি ব্যবহার করে ওমর আলীর জায়গা জমি দখল করে রেখেছে।
এ ব্যাপারে ওমর আলী পাইকগাছা থানায় আশরাফ সানা সহ ১৮ জনের নামে লিখিত ভাবে থানায় অভিযোগ করার পরেও পাইকগাছা থানা প্রশাসন ওমর আলীর মামলা নেইনি।
বরং উভয় পক্ষকে ডেকে কাগজপত্র দেখতে চায়।ওমর আলী তার দালিলিক কাগজ পত্র দেখান,অন্যদিকে আশরাফ সানা গং তাদের কোন বৈধ কাগজ পত্র দেখাতে পারেনি।
ভারপ্রাপ্ত ওসি তুষার কান্তি জানান পরবর্তী একটি দিন নির্ধারণ করেন। সেটা পুজার পরে আবার বসাবসি করে একটি শান্তিপূর্ণ সুরাহ করা যায় কিনা ব্যবস্হা নিবেন।
সে পর্যন্ত কেউ কারো জমিতে কোন কিছু কাজ কর্ম করতে পারবেনা মর্মে উভয় পক্ষকে হুশিয়ারী করে দেন।
সে মোতাবেক থাকা অবস্হায় আশরাফ সানা গং কতৃক ওমরআলীর পরিবারের উপর জীবন নাশের হুমকি আসার কারনে জীবনে বাচার তাগিদে তিনি পাইকগাছা নির্বাহী আদালতে উক্ত জমির উপর একটি ১৪৪ধারা জারী করার আবেদন করে আশরাফ সানা গং এর বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন।
বিজ্ঞ আদালত মামলাটি আমলে এনে পাইকগাছা থানা প্রশাসনের মাধ্যমে আশরাফ সানা গং এর বিরুদ্ধে নোটিশ জারী করেন।নোটিশ বিতরনকারী অফিসার জায়গাটা পরিদর্শন করে ছবি তোলেন এবং ভিডিও করে নিয়ে আসেন।
এর কিছুক্ষণ পরে আশরাফ সানা গং ১৪৪ধারা অমান্য করে দখলকৃত জায়গাটির উপর কবরস্হান লিখে একটি সাইনবোর্ড টানিয়ে দিয়েছে।
আইন কে অমান্য করে তার এই অন্যায় কর্মকান্ডের কথা ওসি সাহেবকে জানানোর পরেও তিনি কোন আইনগত পদক্ষেপ গ্রহন করেন নি।
উপায়ান্তর না দেখে তিনি ঘটনার বিষয়বস্তু নিয়ে পাইকগাছা উপজেলা আদালতে আশরাফসানা গং এর বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন।বিজ্ঞা আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে পি বি আইয়ের উপর তদন্তের জন্য প্রেরন করেছেন। তদন্ত প্রক্রিয়াধিন চলমান।
পরবতী তে ওমর আলী তার ও তার পরিবারের নিরাপত্তা জনিত কারনে উপজেলা আদালতে একটি ১০৭ধারা মামলা করেন।
অসহায় ওমর আলী এখন আশারাফ সানা গং এর ভয়ে নিজবাড়ী ছেড়ে পরিবার পরিজন নিয়ে পাইকগাছায় বসাবাস করে চলেছেন এবং বিভিন্ন সরকারী অফিস আদালতে সুবিচার চেয়ে দালিলিক কাগজপত্র নিয়ে প্রতিকার চেয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। ওমরআলীর আশঙ্কা আশরাফসানা গং যে কোন সময় তারসহ তার পরিবারের উপর উপর হামলা করে জীবন নাশ সহ বড় ধরনের ক্ষতি করতে পারে।
অন্যদিকে আশরাফ সানা গং বাংলাদেশের একটি বড় রাজনৈতিক দলের ছত্রছায়ায় নতুন করে আরও একটি ষড়যন্ত্রের লক্ষ্যে নিজেদের কে সূসংহত করে চলেছেন।
ওমর আলী প্রশাসন সহ সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের কাছে তার ও তার পরিবারের নিরাপত্তার জন্য প্রশাসনিক পদক্ষেপও অবৈধ ভূমিদস্যুদের বিরুদ্ধে আইন গত পদক্ষেপ গ্রহন করিতে সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের কাছে আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।