১০:১৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০৪ জুন ২০২৫, ২১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রকাশ ঘোষ বিধান ( পাইকগাছা) খুলনাঃ

পাইকগাছায় কোরবানীর পশুর হাট জমে উঠেছে

  • প্রকাশিত ০৬:৩৭:১৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২ জুন ২০২৫
  • ২১ বার দেখা হয়েছে

পাইকগাছায় কোরবানীর পশুর হাট জমে উঠছে। হাটে প্রচুর পরিমাণ কোরবানীর পশুর উঠেছে। কোরবানীর পশুর হাটে ক্রেতার উপছে পড়া ভীড় পড়েছে। উপজেলার গদাইপুর, চাঁদখালী, কাশিমনগর ও রাড়ুলীর শ্রীকন্ঠপুর ঈদগাহ মাঠে কোরবানীর পশুর হাট বসেছে। ঈদের আগের দিন পর্যন্ত প্রতিদিনই হাট বসবে।

উপজেলার ঐতিহ্যবাহী গদাইপুর পশুর হাট জমে উঠছে। প্রচন্ড গরমের মধ্যে ক্রেত-বিক্রেতার ভীড়ে সবাই অতিষ্ঠ হয়ে পড়ছে। পর্যাপ্ত গরু ছাগল উঠলেও ক্রেতা সংকটের কারণে গরুর মালিকদের মধ্যে হতাশা দেখা দিয়েছে। ক্রেতা সংকটের কারণে খামার মালিক ও বিক্রেতাদের আশা পূরণ হচ্ছে না। এতে করে গরুর যে দাম উঠেছে তাতে আর্থিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বিক্রেতারা। আর বিক্রি না হলে পালতে গেলে আরোও খরচ হবে। এদিকে ক্রেতারা সময় নিয়ে দেখে বুঝে গরু কিনছে। বাজারে প্রচুর পরিমাণে গরু-ছাগল উঠলেও আশানারুপ দামে বিক্রি হচ্ছে না এমনটি জানান বিক্রেতারা।

গদাইপুর কোরবানীর পশুর হাটে ছোট-বড়, মাঝারি সাইজের গরু হাটে উঠেছে। এ বছর গরু-ছাগরের দাম বেশী বলছেন ক্রেতারা। তবে দাম নিয়ে খুঁশি না কোন পক্ষই। খামার মালিক ও বিক্রেতারা বলছেন, বর্তমানে গো-খাদের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় তাদেরকে বেশী দামে গরু বিক্রি করতে হচ্ছে। তবে গৃহস্থদের পালা দেশী জাতের গরু ক্রেতা ও ব্যাপারীদের কাছে চাহিদা বেশি। যাহা স্থানীয় হাটগুলোতে টাইট গরু হিসাবে পরিচিত। বড় সাইজের গরুর চাহিদাও রয়েছে বিক্রিও হচ্ছে ভালো দামে।

উপজেলার পশুর হাট গুলোতে ছোট ট্রাকে করে ফড়িয়ারা গরু নিয়ে আসছে। এ সব বাজারে ছোট গরু সর্বনিন্ম ৫৫ হাজার টাকা ও সর্বোচ্চ সাড়ে তিন লাখ টাকায় গরু বিক্রি হচ্ছে। এ বছর দেশীয় জাতের ছোট ও মাঝারি আকারের গরুর চাহিদা বেশি। দেশি জাতের ৬০ হাজার টাকার মধ্যে ছোট গরুর চাহিদা বেশি। তাছাড়া ৭০ থেকে ৯০ হাজার টাকা দামের গৃহপালিত গরুর বিক্রি হচ্ছে প্রচুর পরিমাণ। বড় গরু ১ লাখ ২০ হাজার টাকা থেকে সাড়ে তিন লাখ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। ছাগল ১৫ থেকে ৪০ হাজার টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

ব্যাপারি আব্দুল করিম বলেন, গত কোরবানি হাটে যে ষাঁড় এক লাখ থেকে এক লাখ ১০ হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে, সেই ষাঁড় ক্রেতারা এবার দাম বলছেন, ৮০ থেকে ৯০ হাজার টাকা। এছাড়া ছাগলের দামও গত বছরের তুলনায় অনেক কম বলে দাবি করছেন ব্যাপারী ও গৃস্থরা। তাদের দাবি, মঝারি আকারের ছাগল এবার ১৩ থেকে ১৫ হাজার টাকা দাম বলছেন ক্রেতারা। অথচ এইসব ছাগল গত বছর বিক্রি হয়েছে ১৭ থেকে ১৮ হাজার টাকা। তবে, ঈদের আগের হাটগুলোতে দাম বাড়বে বলে প্রত্যাশা তাদের।

উপজেলার পশুর হাট কর্তপক্ষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার ও সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী মাইকিং করে বাজারে ক্রেতা ও বিক্রেতাদেরকে উদ্ভুদ্ধ করছে। গদাইপুর পশুর হাটের ইজারাদার মোঃ জবেদ আলী জানান, ক্রেতাদের সুবিধার্থে পুলিশের পাশাপাশি বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। তাছাড়া পশুর স্বাস্থ পরিক্ষার জন্য ডাক্তার এর তদারকি রয়েছে। ক্রেতারা সাচ্ছন্দের সহিত হাট থেকে পছন্দের পশুটি ক্রয় করতে পারছেন।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ পার্থ প্রতিম রায় বলেন, পাইকগাছায় খামারসহ গৃস্থালি বাড়িতে যেসব গরু লালন-পালন করা হয়েছে, তা স্বাভাবিক খাবারের মাধ্যমে বড় করা হয়েছে। তারপরও গরু মোটাতাজাকরণে ক্ষতিকর কিছু ব্যবহার করা হয়েছে কিনা, সে জন্য স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য হাটগুলোতে ভেটেরিনারি মেডিকেল টিম রয়েছে। এখানকার গরুর মান অনেক ভালো।

পাইকগাছায় স্বচ্ছতার ভিত্তিতে ওএমএস ডিলার নিয়োগ সম্পন্ন

পাইকগাছা (খুলনা) প্রতিনিধিঃ পাইকগাছা উপজেলা খাদ্য অফিস কর্তৃক শতভাগ স্বচ্ছতার ভিত্তিতে লটারির মাধ্যমে ওএমএস ডিলার নিয়োগ সম্পন্ন হয়েছে। এ উপলক্ষে সোমবার সকাল ১০ টায় উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে ফুড অফিস আয়োজনে সরাসরি লটারির মাধ্যমে ডিলার নিয়োগ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহেরা নাজনীন। উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা মোঃ হাসিবুর রহমান এর সার্বিক তত্ত্বাবধানে ডিলার নিয়োগ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা শিক্ষা অফিসার বিদ্যুৎ রঞ্জন শাহা, সহকারী কৃষি অফিসার এসএম মনিরুল হুদা। এসময়ে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, পৌর বিএনপির যুগ্ম-আহবায়ক সেলিম রেজা লাকি, যুবদল নেতা হুরায়রা বাদশা, বিএনপি নেতা জিয়াউদ্দিন নায়েব, প্রেসক্লাব পাইকগাছা এর সাধারণ সম্পাদক এম জালাল উদ্দীন, মোঃ জামিলুর রহমান রানা, পৌর ছাত্রদল সভাপতি আরিফুল ইসলাম রনি, খাদ্য অফিসের সহকারী জিএম শাহেদুজ্জামান (বাবু)সহ সাংবাদিক, রাজনৈতিক ও সামাজিক ব্যক্তিবর্গ। উল্লেখ্য, পাইকগাছা পৌরসভার অনুকূলে ওএমএস ডিলার নিয়োগ পাওয়ার জন্য আবেদন করেন ২৫ জন। এর মধ্যে লটারির মাধ্যমে ৬ জন নিয়োগ পেয়েছেন। নিয়োগ প্রাপ্ত হলেন, শেখ সিরাজুল ইসলাম (পৌর বাজার), রিক্তা সুলতানা খুশি (মাছ কাটা), সমীরণ মন্ডল (কোর্ট রাস্তার মোড়), সাইফুল ইসলাম( বাস স্ট্যান্ড), অসিত চন্দ্র সরকার (সরল-শান্তির মোড়) ও আছিয়া বেগম (সরল বাজার)।

Tag :
জনপ্রিয়

পাইকগাছায় কোরবানীর পশুর হাট জমে উঠেছে

প্রকাশ ঘোষ বিধান ( পাইকগাছা) খুলনাঃ

পাইকগাছায় কোরবানীর পশুর হাট জমে উঠেছে

প্রকাশিত ০৬:৩৭:১৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২ জুন ২০২৫

পাইকগাছায় কোরবানীর পশুর হাট জমে উঠছে। হাটে প্রচুর পরিমাণ কোরবানীর পশুর উঠেছে। কোরবানীর পশুর হাটে ক্রেতার উপছে পড়া ভীড় পড়েছে। উপজেলার গদাইপুর, চাঁদখালী, কাশিমনগর ও রাড়ুলীর শ্রীকন্ঠপুর ঈদগাহ মাঠে কোরবানীর পশুর হাট বসেছে। ঈদের আগের দিন পর্যন্ত প্রতিদিনই হাট বসবে।

উপজেলার ঐতিহ্যবাহী গদাইপুর পশুর হাট জমে উঠছে। প্রচন্ড গরমের মধ্যে ক্রেত-বিক্রেতার ভীড়ে সবাই অতিষ্ঠ হয়ে পড়ছে। পর্যাপ্ত গরু ছাগল উঠলেও ক্রেতা সংকটের কারণে গরুর মালিকদের মধ্যে হতাশা দেখা দিয়েছে। ক্রেতা সংকটের কারণে খামার মালিক ও বিক্রেতাদের আশা পূরণ হচ্ছে না। এতে করে গরুর যে দাম উঠেছে তাতে আর্থিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বিক্রেতারা। আর বিক্রি না হলে পালতে গেলে আরোও খরচ হবে। এদিকে ক্রেতারা সময় নিয়ে দেখে বুঝে গরু কিনছে। বাজারে প্রচুর পরিমাণে গরু-ছাগল উঠলেও আশানারুপ দামে বিক্রি হচ্ছে না এমনটি জানান বিক্রেতারা।

গদাইপুর কোরবানীর পশুর হাটে ছোট-বড়, মাঝারি সাইজের গরু হাটে উঠেছে। এ বছর গরু-ছাগরের দাম বেশী বলছেন ক্রেতারা। তবে দাম নিয়ে খুঁশি না কোন পক্ষই। খামার মালিক ও বিক্রেতারা বলছেন, বর্তমানে গো-খাদের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় তাদেরকে বেশী দামে গরু বিক্রি করতে হচ্ছে। তবে গৃহস্থদের পালা দেশী জাতের গরু ক্রেতা ও ব্যাপারীদের কাছে চাহিদা বেশি। যাহা স্থানীয় হাটগুলোতে টাইট গরু হিসাবে পরিচিত। বড় সাইজের গরুর চাহিদাও রয়েছে বিক্রিও হচ্ছে ভালো দামে।

উপজেলার পশুর হাট গুলোতে ছোট ট্রাকে করে ফড়িয়ারা গরু নিয়ে আসছে। এ সব বাজারে ছোট গরু সর্বনিন্ম ৫৫ হাজার টাকা ও সর্বোচ্চ সাড়ে তিন লাখ টাকায় গরু বিক্রি হচ্ছে। এ বছর দেশীয় জাতের ছোট ও মাঝারি আকারের গরুর চাহিদা বেশি। দেশি জাতের ৬০ হাজার টাকার মধ্যে ছোট গরুর চাহিদা বেশি। তাছাড়া ৭০ থেকে ৯০ হাজার টাকা দামের গৃহপালিত গরুর বিক্রি হচ্ছে প্রচুর পরিমাণ। বড় গরু ১ লাখ ২০ হাজার টাকা থেকে সাড়ে তিন লাখ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। ছাগল ১৫ থেকে ৪০ হাজার টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

ব্যাপারি আব্দুল করিম বলেন, গত কোরবানি হাটে যে ষাঁড় এক লাখ থেকে এক লাখ ১০ হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে, সেই ষাঁড় ক্রেতারা এবার দাম বলছেন, ৮০ থেকে ৯০ হাজার টাকা। এছাড়া ছাগলের দামও গত বছরের তুলনায় অনেক কম বলে দাবি করছেন ব্যাপারী ও গৃস্থরা। তাদের দাবি, মঝারি আকারের ছাগল এবার ১৩ থেকে ১৫ হাজার টাকা দাম বলছেন ক্রেতারা। অথচ এইসব ছাগল গত বছর বিক্রি হয়েছে ১৭ থেকে ১৮ হাজার টাকা। তবে, ঈদের আগের হাটগুলোতে দাম বাড়বে বলে প্রত্যাশা তাদের।

উপজেলার পশুর হাট কর্তপক্ষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার ও সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী মাইকিং করে বাজারে ক্রেতা ও বিক্রেতাদেরকে উদ্ভুদ্ধ করছে। গদাইপুর পশুর হাটের ইজারাদার মোঃ জবেদ আলী জানান, ক্রেতাদের সুবিধার্থে পুলিশের পাশাপাশি বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। তাছাড়া পশুর স্বাস্থ পরিক্ষার জন্য ডাক্তার এর তদারকি রয়েছে। ক্রেতারা সাচ্ছন্দের সহিত হাট থেকে পছন্দের পশুটি ক্রয় করতে পারছেন।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ পার্থ প্রতিম রায় বলেন, পাইকগাছায় খামারসহ গৃস্থালি বাড়িতে যেসব গরু লালন-পালন করা হয়েছে, তা স্বাভাবিক খাবারের মাধ্যমে বড় করা হয়েছে। তারপরও গরু মোটাতাজাকরণে ক্ষতিকর কিছু ব্যবহার করা হয়েছে কিনা, সে জন্য স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য হাটগুলোতে ভেটেরিনারি মেডিকেল টিম রয়েছে। এখানকার গরুর মান অনেক ভালো।

পাইকগাছায় স্বচ্ছতার ভিত্তিতে ওএমএস ডিলার নিয়োগ সম্পন্ন

পাইকগাছা (খুলনা) প্রতিনিধিঃ পাইকগাছা উপজেলা খাদ্য অফিস কর্তৃক শতভাগ স্বচ্ছতার ভিত্তিতে লটারির মাধ্যমে ওএমএস ডিলার নিয়োগ সম্পন্ন হয়েছে। এ উপলক্ষে সোমবার সকাল ১০ টায় উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে ফুড অফিস আয়োজনে সরাসরি লটারির মাধ্যমে ডিলার নিয়োগ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহেরা নাজনীন। উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা মোঃ হাসিবুর রহমান এর সার্বিক তত্ত্বাবধানে ডিলার নিয়োগ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা শিক্ষা অফিসার বিদ্যুৎ রঞ্জন শাহা, সহকারী কৃষি অফিসার এসএম মনিরুল হুদা। এসময়ে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, পৌর বিএনপির যুগ্ম-আহবায়ক সেলিম রেজা লাকি, যুবদল নেতা হুরায়রা বাদশা, বিএনপি নেতা জিয়াউদ্দিন নায়েব, প্রেসক্লাব পাইকগাছা এর সাধারণ সম্পাদক এম জালাল উদ্দীন, মোঃ জামিলুর রহমান রানা, পৌর ছাত্রদল সভাপতি আরিফুল ইসলাম রনি, খাদ্য অফিসের সহকারী জিএম শাহেদুজ্জামান (বাবু)সহ সাংবাদিক, রাজনৈতিক ও সামাজিক ব্যক্তিবর্গ। উল্লেখ্য, পাইকগাছা পৌরসভার অনুকূলে ওএমএস ডিলার নিয়োগ পাওয়ার জন্য আবেদন করেন ২৫ জন। এর মধ্যে লটারির মাধ্যমে ৬ জন নিয়োগ পেয়েছেন। নিয়োগ প্রাপ্ত হলেন, শেখ সিরাজুল ইসলাম (পৌর বাজার), রিক্তা সুলতানা খুশি (মাছ কাটা), সমীরণ মন্ডল (কোর্ট রাস্তার মোড়), সাইফুল ইসলাম( বাস স্ট্যান্ড), অসিত চন্দ্র সরকার (সরল-শান্তির মোড়) ও আছিয়া বেগম (সরল বাজার)।