জয়পুরহাটের পাঁচবিবির বাগজানা ইউনিয়নের কয়া বিওপি এলাকার অধীনস্থ এলাকা কয়াবাজারের রাস্তার পাশে থেকে ভারতীয় নিষিদ্ধ মাদক ২০০০/ পিছ কুপিজেসিক ইনজেকশন ও সাগর আহমেদ নামের এক মাদক কারবারি কে গ্রেপ্তার করেছে কয়া বিওপির টহলরত কয়েক জন বিজিবি সদস্যের একটি দল। বিজিবির কয়া বিওপির কোম্পানি কমান্ডার মোহাম্মদ নাঈমুর রহমানের দৈনিক ভোরের কথাকে বলেন আজ ৩১-০৫-২০২৫ ইং শনিবার আনুমানিক সকাল ১১ টায় সিভিল গোয়েন্দা সূত্রে গোপন সংবাদের মাধ্যমে জানতে পারি একটি মাদক কারবারি মাদক নিয়ে কয়াবাজার হতে আটাপাড়ার দিকে রওনা দেবে এমন খবর পেয়ে আমরা বিজিবি টহলরত দল কোম্পানি কমান্ডার নাঈমুর রহমানের নির্দেশে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে পৌঁছে মাদক কারবারি সাগর হোসেন(২৭)কে হাতেনাতে ধরতে সক্ষম হই। ঘটনাটি ঘটে ২৮১/ ৪৭ এস পিলার এলাকায়, মাদক ব্যবসায়ী আসামি কয়া গ্রামের মৃত লুৎফর রহমানের ছেলে বলে জানা যায়। বিজিবি কোম্পানি কমান্ডার সাংবাদিকদের তিনি আরো জানান এ সাগর দীর্ঘদিনের মাদক ব্যবসায়ী ও এই এলাকার মাদক ব্যবসায়ীদের গডফাদার হিসেবে আমরা জানতে পারি।
পরে গ্রেফতারকৃত আসামি সাগর হোসেন কে মাদক মামলা আইনে মামলা রুজু করে পাঁচবিবি থানায় সোপর্দ করা হবে বলে জানা যায়। এ বিষয়ে আসামি সাগর হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমার কীটনাশকের দোকানে আমার রেগুলার কাস্টমার কোরিয়াতে বাড়ি উনি হঠাৎ করে একটা ব্যাগ নিয়ে এসে বলে ভাই ব্যাগ একটু রাখেন তো আমি যাব আর আসব বলে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে গেলেই কিছুক্ষণ পরই বিজিবি সদস্যরা এসে আমাকে গ্রেফতার করে আমি ওই মুহূর্তে পাঁচবিবি পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে যাবো ভেবেছিলাম কৌশলে কোরিয়া এলাকার এই দূর্বৃত্ত মাদক ব্যবসায়ী আমাকে এমন একটি ঘটনার মধ্যে ফেলে দিয়ে চলে যায়। এখন আমি মাদকসহ হাতেনাতে ধরা পড়া আসামি, আমার আর কিছু করার নাই। এছাড়াও সাগরের নিকট দোকান ঘরের চাবি ও ১২ শত টাকা পায়, পরে সে টাকা ও দোকান ঘরের চাবি ইউপি সদস্য মোঃ শরিফুল ইসলামের মারফতে সাগর আহমেদের বোনের নিকট বুঝিয়ে দেওয়া হয়।