০৪:৩৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৬ জুন ২০২৫, ২৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

পশুর হাট, বড় গরু নিয়ে দুশ্চিন্তায় খামারিরা

  • প্রকাশিত ১২:০৯:০৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৬ জুন ২০২৫
  • ৬ বার দেখা হয়েছে

দৈনিক স্বদেশবিচিত্রা প্রতিবেদক : পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে ছুটি শুরু হয়েছে আজ বৃহস্পতিবার। কোরবানির পশুর হাটগুলোতে বাড়তে শুরু করেছে ক্রেতার ভিড়। বেড়েছে বেচাকেনাও। হাট ইজারা-সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানিয়েছেন, এবার হাটে পর্যাপ্ত গরু উঠেছে, তবে বড় গরুর বিক্রি কম।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর উত্তর শাহজাহানপুর হাটে গিয়ে দেখা যায়, দলে দলে ক্রেতারা হাটে আসছেন। কারও কারও সঙ্গে পরিবারের নারী ও শিশু সদস্যরাও রয়েছেন।

কথা হয় সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরের গরু ব্যবসায়ী মফিদুল ইসলামের সঙ্গে। তিনি জানান, ৪ মাস আগে গরু কিনে মোটাতাজা করেছেন নিজের খামারে। বড় গরু দুইটির মাংস হবে ৭–৮ মণ। দাম হাকিয়েছেন ৪ লাখ টাকা। তবে দুই লাখ টাকা হলে বিক্রি করবেন তিনি। মঙ্গলবার হাটে গরু আনলে ছোট আর মাঝারি সব গরু বিক্রি হয়ে গেছে। এখন চিন্তা তার বড় দুই গরু নিয়ে।

মফিদুল হক বলেন, ছোট আর মাঝারি গরু বিক্রি হইছে। বড় দুই গরু বাড়িতে নিয়ে গেলেও লস। তাই বাধ্য হয়ে বিক্রি করতে হবে। এই হাটে আসি চার বছর, এর আগে বড় গরু অনেক ওজনের চেয়েও বেশি দাম দিয়ে নিতেন। এবার মনে হচ্ছে টাকাওয়ালারা দেশে নাই। আবার অনেকে ভয়ে বেশি টাকা দিয়ে গরু কিনছেন না।

গাইবান্দার সুন্দরগঞ্জ থেকে ১০টি খাসি এসেছেন জাহাঙ্গীর আলম। এর মধ্যে দুইটি ৫০ হাজার টাকায় বিক্রি করেছেন। সবচেয়ে ছোট খাসির দাম চাচ্ছেন ১৫ হাজার টাকা। বড় ২৫ কেজি ওজনের খাসিটি ৩৫ হাজার টাকায় বিক্রি করবেন বলে জানান তিনি।

হাটের ইজারাদার আনিসুর রহমান টিপু বলেন, ‘মঙ্গলবার রাত থেকেই হাট জমে উঠেছে। ছোট–বড়–মাঝারি সব ধরনের গরু ১–২ লাখ টাকার মধ্যে বিক্রি হচ্ছে। হাটে ছাগলও এসেছে পর্যাপ্ত। চাঁদ রাত পর্যন্ত বেচাকেনা চলবে।

পাশের কমলাপুর পশুর হাটটি সাদেক হোসেন খোকা কমিউনিটি সেন্টার থেকে আশেপাশের এলাকা ছাড়িয়ে গেছে। আরেকদিকে মুগদা বিশ্বরোড থেকে গোপীবাগ পর্যন্ত সড়কের দুইপাশে সারি সারি গরু। এই হাটে চুয়াডাঙ্গা থেকে সোমবার আটটি গরু এনেছেন তানভীর হাসান। এর মধ্যে চারটি গরু ছয় লাখ টাকায় বিক্রি করেছেন। বাকি চারটি গরুর দাম হাকিয়েছেন ১০ লাখ টাকা। তবে ৬ লাখ টাকা হলে বিক্রি করবেন। প্রত্যেকটি গরুর ৫–৭ মণ মাংস হবে বলে জানান তিনি।

লালবাগের রহমতগঞ্জ ফ্রেন্ডস সোসাইটি হাটের ইজারাদার টিপু সুলতান বলেন, ‘হাটে গরু ছাগল বিক্রি শুরু হয়েছে। মাঝারি সাইজের গরুর বিক্রি বেশি।’
দৈনিক স্বদেশবিচিত্রা/এআর

Tag :
জনপ্রিয়

পশুর হাট, বড় গরু নিয়ে দুশ্চিন্তায় খামারিরা

প্রকাশিত ১২:০৯:০৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৬ জুন ২০২৫

দৈনিক স্বদেশবিচিত্রা প্রতিবেদক : পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে ছুটি শুরু হয়েছে আজ বৃহস্পতিবার। কোরবানির পশুর হাটগুলোতে বাড়তে শুরু করেছে ক্রেতার ভিড়। বেড়েছে বেচাকেনাও। হাট ইজারা-সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানিয়েছেন, এবার হাটে পর্যাপ্ত গরু উঠেছে, তবে বড় গরুর বিক্রি কম।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর উত্তর শাহজাহানপুর হাটে গিয়ে দেখা যায়, দলে দলে ক্রেতারা হাটে আসছেন। কারও কারও সঙ্গে পরিবারের নারী ও শিশু সদস্যরাও রয়েছেন।

কথা হয় সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরের গরু ব্যবসায়ী মফিদুল ইসলামের সঙ্গে। তিনি জানান, ৪ মাস আগে গরু কিনে মোটাতাজা করেছেন নিজের খামারে। বড় গরু দুইটির মাংস হবে ৭–৮ মণ। দাম হাকিয়েছেন ৪ লাখ টাকা। তবে দুই লাখ টাকা হলে বিক্রি করবেন তিনি। মঙ্গলবার হাটে গরু আনলে ছোট আর মাঝারি সব গরু বিক্রি হয়ে গেছে। এখন চিন্তা তার বড় দুই গরু নিয়ে।

মফিদুল হক বলেন, ছোট আর মাঝারি গরু বিক্রি হইছে। বড় দুই গরু বাড়িতে নিয়ে গেলেও লস। তাই বাধ্য হয়ে বিক্রি করতে হবে। এই হাটে আসি চার বছর, এর আগে বড় গরু অনেক ওজনের চেয়েও বেশি দাম দিয়ে নিতেন। এবার মনে হচ্ছে টাকাওয়ালারা দেশে নাই। আবার অনেকে ভয়ে বেশি টাকা দিয়ে গরু কিনছেন না।

গাইবান্দার সুন্দরগঞ্জ থেকে ১০টি খাসি এসেছেন জাহাঙ্গীর আলম। এর মধ্যে দুইটি ৫০ হাজার টাকায় বিক্রি করেছেন। সবচেয়ে ছোট খাসির দাম চাচ্ছেন ১৫ হাজার টাকা। বড় ২৫ কেজি ওজনের খাসিটি ৩৫ হাজার টাকায় বিক্রি করবেন বলে জানান তিনি।

হাটের ইজারাদার আনিসুর রহমান টিপু বলেন, ‘মঙ্গলবার রাত থেকেই হাট জমে উঠেছে। ছোট–বড়–মাঝারি সব ধরনের গরু ১–২ লাখ টাকার মধ্যে বিক্রি হচ্ছে। হাটে ছাগলও এসেছে পর্যাপ্ত। চাঁদ রাত পর্যন্ত বেচাকেনা চলবে।

পাশের কমলাপুর পশুর হাটটি সাদেক হোসেন খোকা কমিউনিটি সেন্টার থেকে আশেপাশের এলাকা ছাড়িয়ে গেছে। আরেকদিকে মুগদা বিশ্বরোড থেকে গোপীবাগ পর্যন্ত সড়কের দুইপাশে সারি সারি গরু। এই হাটে চুয়াডাঙ্গা থেকে সোমবার আটটি গরু এনেছেন তানভীর হাসান। এর মধ্যে চারটি গরু ছয় লাখ টাকায় বিক্রি করেছেন। বাকি চারটি গরুর দাম হাকিয়েছেন ১০ লাখ টাকা। তবে ৬ লাখ টাকা হলে বিক্রি করবেন। প্রত্যেকটি গরুর ৫–৭ মণ মাংস হবে বলে জানান তিনি।

লালবাগের রহমতগঞ্জ ফ্রেন্ডস সোসাইটি হাটের ইজারাদার টিপু সুলতান বলেন, ‘হাটে গরু ছাগল বিক্রি শুরু হয়েছে। মাঝারি সাইজের গরুর বিক্রি বেশি।’
দৈনিক স্বদেশবিচিত্রা/এআর