দুর্গাপূজা বাঙালির দিনপঞ্জিতে অবিচ্ছেদ্য এক উৎসবের নাম। অসভ্য অসুর শক্তির বিনাশের মাধ্যমে সভ্য সুর শক্তির প্রতিষ্ঠাই দুর্গাপূজার শাশ্বত দর্শন।বৈদিক যুগের শারদোৎসব বা রুদ্রযজ্ঞ, সিন্ধু উপত্যকায় আবিস্কৃত প্রাগৈতিহাসিক যুগের বহু পোড়ামাটির স্ত্রী মূর্তি প্রভৃতি দুর্গাপূজার প্রাচীনত্বের পরিচায়ক। পবিত্র ঋগে¦দ, ছান্দোগ্য উপনিষদ, ব্রহ্মবৈবর্তপুরাণ, মার্কেন্ডেয়পুরাণ, কালিকাপুরাণ, দেবীভাগবত, কালিবিলাসতন্ত্র প্রভৃতি পুরাণতন্ত্র গ্রন্থে কোথাও কোথাও কিছুটা রূপকাশ্রিত হলেও প্রায় ধারাবাহিকভাবে দুর্গাপূজার তত্ত¡কথা জানা যায়।
দুর্গাপূজা পৌরাণিক কাল হতেই জাতীয় মহাআলোড়ন সৃষ্টিকারী এক ধর্মীয় অনুষ্ঠান, যাতে সর্বস্তুরের জীবন জীবিকার অংশগ্রহণ থাকে, তাত্তি¡ক অর্থে সমসংখ্যক নারী সমসংখ্যক পুরুষ, আর্য-অনার্য, প্রাণীকুলের ইদুর থেকে সিংহ, বৃক্ষরাজির দুর্বা থেকে বটবৃক্ষ, ফুল ফল, পশু-পাখি সকল কিছুর সম্মীলিত রুপই দুর্গাপূজা।
বস্তুুতপক্ষে দূর্গাপূজা একটি ধর্মীয় উৎসব হলেও ধর্ম ও রাজনীতি দুর্গাপূজায় একাকার হয়ে মিশে আছে।
কেননা দুর্গাপূজার ধর্মীয় তাত্তি¡ক বিশ্লেষণে দুর্গাপূজা একটি সংসদীয় গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থার প্রতিরূপ।
পবিত্র ঋগে¦দের দেবীসুক্ত তথা দশম মন্ডলের ১২৫ নং সুক্তে জগতের শক্তিতত্তে¡ স্বয়ং দেবীদুর্গা নিজ সম্পর্কে বর্ণনা করেছেন-
“অহং রাষ্ট্রী সংগমনী বসুনাং চিকিতুষী প্রথমা যজ্ঞিয়ানাম্।
তাং মাং দেবা ব্যদধঃ পুরুত্রা ভুবিস্থাত্রাং ভ‚য়্যাবেশয়ন্তীম”।
অর্থাৎ আমিই রাষ্ট্র, আমি বিশ্বজগতের অধিশ্বরী, আমি ধনপ্রদাত্রী, আমি ব্রহ্মদর্শিনী, আমি দেবশ্রেষ্ঠা, ভ‚-লোকের ব্যক্তিগণ সর্ব্বরূপে সর্বত্র বিদ্যমান আমার আরাধনা করিয়া থাকেন।
অর্থাৎ তিনিই পরিপূর্ণ এক রাষ্ট্রতত্ত¡ বা রাষ্ট্রের প্রতিমূর্তি অর্থাৎ সংসদীয় গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থায় দেবী দুর্গা স্বয়ং একটি পূর্ণাঙ্গ রাষ্ট্র কাঠামো।
এছাড়াও মার্কন্ডেয় চন্ডীর মুখ্যত তিন অংশে দুর্গাপূজার তাত্তি¡কতা নিহিত রয়েছে। যেমন, প্রথম অংশের ৩২টি শ্লোকে দেবী মধু ও কৈটভ দানবকে বধ, দ্বিতীয় অংশের ১০৯টি শ্লোকে দেবী মহিষাসুরের বধ এবং তৃতীয় অংশের ১৯৩টি শ্লোকে দুর্গাপূজার শাস্ত্রীয় আচার বর্ণিত রয়েছে, যা মহাসপ্তমী থেকে মহাঅষ্টমী মহানবমী পূজা বিহিত।
দশভূঁজা দুর্গার অবয়ব কাঠামোতে দেশ ও জাতির দুর্গতিনাশ সাধনের মাধ্যমে সংসদীয় গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থার সুস্পষ্ট ইঙ্গিত রয়েছে, যেমন;
দেবাদিদেব মহাদেব যিনি সকল ক্ষমতার অধীশ্বর হয়েও দুর্গাপূজায় তিনি প্রকাশহীন অবস্থায় বিরাজমান থাকেন অর্থাৎ সংসদীয় গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতির ন্যায় শোভনীয়।
দেবীদুর্গা যার দশটি হাত দশদিকে প্রশস্তু আর দশটি প্রহরণ (অস্ত্র) অপরিমেয় বলবীর্যের প্রতীক হিসেবে রাষ্ট্রকে সুসংহত, শক্তিশালী ও সমস্ত দুর্গম থেকে মুক্তির মাধ্যমে রাষ্ট্রের ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করেন। দশভ‚ঁজায় সজ্জিত দেবী দুর্গার ১০(দশ)টি হাত ব্রহ্মান্ডের ১০(দশ) দিকের প্রতীকস্বরূপ। দেবী দুর্গা ১০(দশ) দিকে (পূর্ব, পশ্চিম, উত্তর, দক্ষিণ, ঈশান, বায়ু, অগ্নি, ণৈরত, উর্ধ্ব এবং অধঃ) প্রশ^স্তিত ১০ (দশ) বাহু অস্ত্র-সস্ত্রে সুসজ্জিত (বামদিকের পাঁচ হাতের অস্ত্র ঃ ত্রিশূল, খড়গ, চক্র, বাণ, শক্তি ও ডান দিকের পাঁচ হাতের অস্ত্র ঃ শঙ্খ, খেটক বা ঢাল, ঘন্টা, অঙ্কুশ ও পাশ), দেবীদুর্গার পরম হস্তে সজ্জিত অস্ত্রসমূহের মধ্যে যেমন- ‘শঙ্খ’ প্রণব বা ওঙ্কার ধ্বনির অর্থবহতা নির্দেশ করে। ‘তীর-ধনুক’ দেবীর শক্তিমত্তার প্রতীক, ‘বজ্রাগ্নি’ ভক্তের সঙ্কল্পের দৃঢ়তার প্রকাশ। ‘পদ্ম বা পঙ্কজ’ অর্থ হলো পদ্ম যেমন কাদামাটির ভিতর থেকে অনাবিল হয়ে ফোটে, তেমনি দেবীর উপাসকরাও যেন লোভ-লালসার জাগতিক কাদার ভেতর হতে আত্মার বিকাশ ঘটাতে পারে। দেবীর তর্জনীতে ধরা ‘সুদর্শন চক্র’ তার শুভতার লালন ও অশুভের বিনাশের ইচ্ছার প্রকাশ। দেবী দুর্গার ‘খড়গ’ জ্ঞানের ইঙ্গিত ও ‘ত্রিশূল’ সত্ত¡, রজঃ ও তমঃ গুণের প্রকাশ। যেন বিশ^ ব্রহ্মান্ডের সকল আসুরিক বৃত্তি ধংসে তিনি স্বমহিমায় দন্ডায়মান। তাই বিশ^ ব্রহ্মান্ডের ত্রাণ ও রক্ষৈয়ত্রিনী হিসেবে সকল অশুভ শক্তির বিনাশে তিনি দশ প্রহর ধারিনী। দেবী দাড়িয়ে আছে ত্রিভঙ্গ ভঙ্গিমায়, তা হলো সৃজনী, পালনীত ও সংহারী শক্তির প্রতীকস্বরূপ অর্থাৎ অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যতের প্রতীক, তাই যিনি ব্রহ্মারূপে সৃষ্টি করেছেন, বিষ্ণুরূপে পালন করছেন এবং শিবরূপে তিনিই বিশ^ প্রসারিণী, মাতৃরূপিনী দেবীদুর্গা। তিনি সর্বপ্রাণীতে চেতনারূপে, বুদ্ধিরূপে, শক্তিরূপে, শান্তিরূপে, শ্রদ্ধারূপে, দয়ারূপ’সহ ভিন্ন ভিন্ন প্রকাশে বিরাজিতা। সুতরাং সুস্পষ্টভাবে দেবীদূর্গা সংসদীয় গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের মহাশক্তিধর পদ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শোভনীয়!
ঐশ্বর্য্যময়ী দেবী ল²ী শাস্ত্রমতে ত্রি-জগতের ঐশ্বর্যের অধিষ্ঠাত্রী তথা ধন ভান্ডার, ঐশ্বর্য্য, শ্রী ও সমৃদ্ধি এই তিনেরই মোহনীয় বিকাশ দেবীল²ীর চরিত্রমাহাত্ম্যে। তাই ঐশ্বর্য্যময়ী দেবী ল²ীকে সংসদীয় গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের অর্থমন্ত্রী বলা শোভনীয়।
বাণীরূপিণী বাগদেবী সরস্বতী ব্রহ্মান্ডের জ্ঞানশক্তির প্রতীক। ‘বেদ’ শব্দব্রহ্ম অর্থাৎ সকল ব্রহ্মজ্ঞানের আধার, তাই বেদের সমস্ত জ্ঞানকে তিনি ধারণ করেছেন বলে দেবী সরস্বতীকে বেদমাতাও বলা হয়। তাই দেবী সরস্বতীকে সংসদীয় গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের শিক্ষামন্ত্রী বলা শোভনীয়।
গণপতি বা গণেশ শব্দের বিশ্লেষণ হচ্ছে গণ+ঈশ, ‘গণ’ শব্দের অর্থ জনগণ আর ‘ঈশ’ শব্দের অর্থ ঈশ্বর সুতরাং ‘গণেশ’ শব্দের শাব্দিক অর্থ জনগনের ঈশ্বর। জনগণ ক্ষুদ্র শক্তির একক হলেও সমগ্র জনগণ ঐক্যবদ্ধ হলে তা অপরাজেয় শক্তিতে রূপান্তরিত হয়। তাই গণশক্তি যেখানে ঐক্যবদ্ধ সেখানে কর্মের সকল প্রকার বাধাবিঘœ দূরীভূত হয়। গণেশের আর এক নাম বিঘেœনাশক, অর্থাৎ বিঘœনাশকারী। তিনি জনগণের কথা শুনেন, জনগণের দুঃখ দুর্দশা দূর করতে সচেষ্ট হন। গণেশকে সাফল্য ও জনগণের প্রতীক তথা সংসদীয় জনগণের প্রতিনিধি রূপ।
দেব সেনাপতি কার্তিক দৈবশক্তিতে সৌন্দর্য ও শৌর্যবীর্যের প্রতীকরূপে জাজ্বল্যমান। ত্রিভুবনের সকল প্রকার আইন শৃঙ্খলা রক্ষার কাজে নিয়োজিত দেব সেনাপতি কার্তিক যিনি ক্ষত্রিয় গুণ ও কর্মের প্রতিনিধি স্বরূপ।
এছাড়াও দশভূঁজা দুর্গার কাঠামোগত বিশ্লেষণে বর্ণনা করা যায় যে, বনের মহাশক্তিধর পশুরাজ সিংহকে পদদলিত রূপ তথা পশুত্বকে বশ্যতা স্বীকার করানো আর মহিষাসুরকে অস্ত্র দ্বারা আঘাত ও বধ সমস্তু অশুভকে বিনাশের প্রতীক। দুর্গাপূজায় কাঠামোতে বিদ্যমান অন্যান্য বিষয়গুলোকে রাষ্ট্রীয় কাঠামোর ও সমাজ ব্যবস্থার সাথে তুলনায় দেবীদুর্গার পূজা সকল দুর্গতিনাশ করতঃ জনগণের প্রতিনিধিত্বশীল সরকার তথা সংসদীয় গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থার পরিপূর্ণতাকে বোঝায়। তাই দুর্গাপূজার এই রাষ্ট্রীয় কাঠামোর প্রতিফলন আমাদের সামাজিক ব্যবস্থায় অতি নিবিড়ভাবে ঘনিষ্ট হয়েছে।
দুর্গাপূজার তাত্তি¡ক বিশ্লেষণে স্পষ্টত প্রতীয়মান, দুর্গাপূজা সকল বৈষম্য বিলোপের অনন্য রূপ অর্থাৎ সকলকে একত্রিত করার এক মহিমান্বিত পদক্ষেপ। যেখানে ধনী-দরিদ্র, উঁচু-নীচ, ব্রাহ্মণ-শূদ্র এমনকি জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সর্বস্তুরের মানুষের মহামিলনের ক্ষেত্র। কিন্তু শাস্ত্রের দুর্গাপূজার সাথে বাঙালির দুর্গাপূজার এক বিরাট ভিন্নতার বহিঃপ্রকাশ বর্তমান পরিলক্ষিত ঘটছে, যার অন্যতম কারণ দেশের বিভেদপূর্ণ রাজনীতি। বাঙালির প্রতিহিংসাপরায়ণ এই রাজনীতির অন্যতম বলির পাঁঠা সনাতনী স¤প্রদায়। যার প্রতিপাদ্যতায় রয়েছে দুর্গাপূজা।
যে দুর্গোপুজোর মাধ্যমে সারা বাংলায় একসময় ছড়িয়ে পড়তো স্বদেশী চেতনার নবজাগরণ। বিভিন্ন জায়গায় সার্বজনীন পুজোর মাধ্যমে ঘটতে থাকতো ব্রিটিশ বিরোধী চেতনার এক নবউন্মেষ, এখন সেই দুর্গাপূজাই যেন বাঙালির বিভেদের প্রতিবিম্ব!! যে দুর্গাপূজার অষ্টমীতিথি একসময় জাতি ও ধর্ম রক্ষার্থে সম্মিলিতভাবে বিভিন্ন প্রকার সমবায় সমিতি গঠনের মাধ্যমে লাঠিখেলা, শাস্ত্র ও সশস্ত্র চলনা কৌশলরপ্তের প্রতিযোগীতা, কুস্তিু খেলা প্রভৃতি অনুষ্ঠানের প্রধান উৎসব হিসেবে গণ্য হতো, যা বীরাষ্টমী দিবস নামে পালিত হতো, বাঙালির সেই অষ্টমীতিথি তথা বীরাষ্টমী দিবস এখন সংঘ বিভেদের মাধ্যমে বহুমাত্রিক মাতলামীর উৎল্লাস, নারী-পুরুষ কিংবা যুবক-যুবতীদের কুরুচিপূর্ণ উদ্দাম নাচানাচি, অশ্লীল ডিজে পার্টি, অবৈধ মেলামেশা প্রতিযোগিতার অনন্য আনুষ্ঠানিকতা নামে রূপান্তরিত।
১৯৩৬ সালে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ভাইঝি সরলাদেবী বীরাষ্টমী দিবসকে সর্বত্র ছড়িয়ে দিতে আহŸান জানিয়ে বলেছিলেন-
“কাপুরুষতা, ভীরুতা সব মায়ের চরণে অর্পণ করে দেশমাতৃকার পুজোর জন্য তৈরি হতে হবে।
সে পূজার জন্য প্রয়োজন শুধু ত্যাগ।”
সেই বীরাষ্টমী উৎসব এখন আর নেই, এখন রয়েছে শুধু অষ্টমী, যা ত্যাগে নয় ভোগে পরিপূর্ণ! রাজনীতির রোষানলে দুূর্গাপূজা যেন অসভ্য আর অসভ্যতার মহামিলনের ক্ষেত্র হিসেবে পরিগণিত হয়েছে। যে অসুরিক শক্তিকে বিনাশের মাধ্যমে জাতি ও ধর্মরক্ষা দুর্গাপূজার অর্ন্তনিহিত তত্ত¡, সেই অসুরিকই এখন দুর্গাপূজায় ফুলের মালায় বরণীয় হয়!!
প্রতিহিংসাপরায়ণ রাজনৈতিক কারণে বাঙালি সনাতনী স¤প্রদায় আজ বিভেদে-বিভেদে পরিপূর্ণ, তেমনি পরিপূর্ণ পাড়ায় পাড়ায় মহল্লায় মহল্লায় মনমালিন্যতার মন্ডপ। তাই দুর্গাপূজা এখন আর কোন ত্যাগ বা ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যতায় নেই বরং রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত ক্ষমতাসীন দলের দাসত্বে পর্যবেসিত!!
দুর্গাপূজার ক্ষণগণনার প্রারম্ভেই মন্ডপ কমিটির শুরু হয় ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের প্রতি দৌড়ঝাপ! শুরু হয় তেলবাজপুর্ণ ব্যানার, পোস্টারিং! শুরু হয় দলাদলি, চামচামি, দালালী, বাটপারীর প্রতিযোগিতা, উদ্দেশ্য হলো কোনমতে নেতার আনুগত্যের মাধ্যমে পূজার সমাপন ও আধা মণ চালের খিচুড়ি ভিক্ষা!! এতো তেলবাজী, এতো চামচামি, এতো স্বার্থ হাসিলের শর্তবিনিময়ের পরেও থেমে থাকেনা মন্দির ভাঙ্গা, প্রতিমা ভাঙ্গার মতো দানবীয় প্রবৃত্ততা। সনাতনীদের এই পরনির্ভরশীলতার পূজা সকল রাজার রাজ্যেই প্রায় একই, শুধু রাজা বদলায় রাজনীতি নয়(!)।
সাত কোটি থেকে আঠারো কোটি বাঙ্গালীতে পৌঁছেছি, কতশত স্কুল, কলেজ, বিশ^বিদ্যালয়ের বিদ্যায় বিদ্যার্থী হয়েছি! হয়েছি কত শিক্ষিত, উচ্চশিক্ষিত, প্রতিভাবান! কিন্তু মন্দির-প্রতিমা ভাঙ্গায় কোন সম্প্রদায়ের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হয়, কারো আবেগে আঘাত হানে, এমন বিদ্যা কি কোন পাঠশালায় শেখানো হয়?
যদিও এ নিয়ে সনাতনী স¤প্রদায়ের মাঝে কোন ভ্রুক্ষেপ নেই, নেই কোন হতাশা, নেই কোন ভবিষ্যৎচিন্তা, নেই কোন দৃঢ় পরিকল্পনা!! তবুও সনাতনী স¤প্রদায় আনন্দে ধনুচী নাচে(!), গান গায় (!), কোন বিজয় অর্জন না হলেও পালন করে বিজয়োৎসব তথা বিজয়া দশমী (!)।
দেবাশিস সাহা
অধ্যক্ষ
আর্য সংস্কৃত কলেজ, ঢাকা।