সৈরাচারী পতিত লীগ সরকারের দোসর মহা ক্ষমতা ধর লীগের দাপট দেখিয়ে কোটি কোটি টাকার ভুয়া বিল ভাও চারের মাধ্যমে আত্মসাৎ করে বনে গেছেন রাতারাতি কোটি পতি।লীগ সরকারের দাপট দেখিয়ে নিজের আখের গুছিয়েছেন তিন।
বলছি অতিরিক্ত মহা পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) থাকা মৎস্য অধিদপ্তরের
মহা ঘুষখোর দুর্নীতিবাজ জিয়া হায়দার চৌধুরী র কথা। একদিকে প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক অন্যদিকে অতিরিক্ত মহা পরিচালক দায়িত্বে থেকে তার নেতৃত্বে চলছে হরিলুট। পতিত লীগ সরকারের দোসরদের বদলী সহ শাস্তি মুলক ব্যবস্হা নেওয়া হলেও জিয়া হায়দার চৌধুরী বিষয়ে তাঁর উল্টো। তাকে বদলী না করে বর্তমানে পুরস্কার হিসেবে অতিরিক্ত মহা পরিচালক পদে পদায়ন করে দুনীতিবাজকে আরও পুরস্কৃত করা হয়েছে বলে সাধারণ কর্মকর্তা কর্মচারীদের মাঝে ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। লীগ সরকারের দাপটি কর্মকর্তা জিয়া হায়দার চৌধুরী এখন
লীগের ভোল পাল্টে বি এন পির বড় নেতা দাবী করে দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন দেদারসে মৎস্য অধিদপ্তরে। সুত্রে আরও যানা যায় অতিরিক্ত মহা পরিচালক পদে পদায়ন পাওয়ার পরে বদলী টেন্ডার বানিজ্য চালিয়ে যাচ্ছেন হরহামেশেয় ঘুষ বানিজ্য । বর্তমান ডিজি আগামী কয়েকমাস পরে অবসরে যাবেন সেই কারণ ডিজির পদটি বাগীয়ে নেওয়ার জন্য সরকারের উচ্চ পর্যায়ে দোর ঝাঁপ শুরু করেছেন কারী কারী টাকানিয়ে বলে নাম প্রকাশ না করার সর্তে একাধিক কর্মকর্তা গন জানান। মহা দুনীতিবাজ কে মহা পরিচালক পদে পদায়ন করা হলে লীগ পন্থী কর্মকর্তার আবারও বেপরোয়া হয়ে যাবে বলে মনে করেন তারা। দুনীতি পরায়ন জিয়া হায়দার চৌধুরী রমরমা কমিশন বানিজ্য থামাবে কে?
সুত্রে যানা যায় পতিত সরকারের আমলে জিয়া হায়দার চৌধুরী
মৎস্য অধিদপ্তরের সাসটেইনেবল কোস্টাল এন্ড মেরিন ফিশারিজ প্রজেক্টের পরিচালক (পিডি) জিয়া হায়দারের বিরুদ্ধে গুরুতর দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল। তার অবৈধ টাকার প্রভাবে সেই সকল অভিযোগ আলোর মুখ দেখেনি আজও পর্যন্ত। আওয়ামী লীগ আমলে দলীয় মনোনয়নে নিয়োগপ্রাপ্ত এই কর্মকর্তা প্রতিটি টেন্ডার পাস করতে দীর্ঘ সময় নিতেন এবং যোগ্য ঠিকাদারদের বদলে পছন্দের বা সেকেন্ড লোয়েস্ট বিডারদের কাজ দিতেন ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে।
পতিত সরকারের আমলে সাসটেইনেবল কোস্টাল এন্ড মেরিন ফিশারিজ প্রকল্প (১ম সংশোধিত) এর পরিচালক জিয়া হায়দার চৌধুরী এবং মৎস্য অধিদপ্তর এর সাবেক মহাপরিচালক মো. জিল্লুর রহমান এর বিরুদ্ধে ঘুষ বানিজ্য ও দুর্নীতির মাধ্যমে কক্সবাজার এর এমকেএ হ্যাচারীতে ২ কোটি ৫৬ লাখ ৪৫ হাজার টাকার চেক সরকারি কোষাগার থেকে প্রদান করে সরকারি অর্থ আত্মসাৎ এর অভিযোগের বিষয়ে দৃশ্যত এখনো কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি তার বিরুদ্ধে।
তবে শেখ হাসিনার সরকার পতনের পর আরও বেপরোয়া হয়ে দুর্নীতি চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি।
মৎস খাত সংশ্লিষ্টরা জানান, দুর্দশাগ্রস্ত মৎস খাতকে সবল করতে এ বিভাগের অনিয়মে জড়িতদের পদ থেকে সরাতে হবে। অর্থাৎ মৎস খাত থেকে ঘুষ, টেন্ডারে অনিয়ম ও জালিয়াতি বিরুদ্ধে দুদক খতিয়ে দেখা জরুরি। সুত্রে আরও যানা যায়
গত বছরের ৩ অক্টোবর মৎস ও প্রাণী সম্পদ উপদেষ্টাও, দূর্নীতি দমন কমিশন দুদক চেয়ারম্যান ও সচিবের বরাবর কক্সবাজারের উখিয়ার সোনারাড়ার হ্যাচারীর ছানাউল্লাহ আবুর দায়ের করা অভিযোগ থেকে জানাযায়, কক্সবাজার জেলার সোনাপাড়া, হ্যাচারী জোন, জালিয়াপালং, ইনানী, উখিয়ায় অবস্থিত নামসর্বস্ব হ্যাচারী এমকেএ কোন ধরনের নীতিমালা ছাড়া ৫ কোটি ৫২ লক্ষ ৮০ হাজার টাকার ৫০ হাজার পিস পিপিএল আমদানীর জন্য একটা ভূয়া চুক্তি করে মৎস্য অধিদপ্তর, যাতে যুক্তরাষ্ট্র অথবা থাইল্যান্ড থেকে সামুদ্রিক চিংড়ি রেনু পোনা পিপিএল কেনার কথা থাকলেও এমকেএ হ্যাচারী তা যুক্তরাষ্ট্র অথবা থাইল্যান্ড থেকে না কিনে কক্সবাজার জেলার সমুদ্র উপকূল থেকে অবৈধভাবে ধরা নিষিদ্ধ চিংড়ি রেনু পোনা নিয়ে হ্যাচারীতে মজুদ করে।
যুক্তরাষ্ট্র অথবা থাইল্যান্ড থেকে ওই সামুদ্রিক চিংড়ি রেনু পোনা পিপিএল কেনা হলে তা সামুদ্রিক পোর্ট এর ডকুমেন্টস থাকবে, কাস্টমস কর্তৃপক্ষ এর ছাড়পত্র থাকবে এবং এই চিংড়ি রেনু পোনা পিপিএল কেনার জন্য যেকোনো ব্যাংকের পেমেন্ট স্ট্যাটাস থাকবে। এই সকল ভুয়া ডকুমেন্টস তৈরি করে এমকেএ হ্যাচারী, প্রকল্পপরিচালক জিয়া হায়দার ও সাবেক মহাপরিচালক এর যোগসাজশে । পুরো অনুদানের ২.৫৬ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন মহাপরিচালক, প্রকল্প পরিচালক ও এমকেএ হ্যাচারীর সিন্ডিকেট। অথচ জমজম ও বোরাকসহ কয়েকটি সনামধন্য হ্যাচারী কিছুই জানত না। গোপনে সকল ধরনের নীতিমালা লংঘন করে বিশাল অংকের ঘুষের বিনিময়ে মহাপরিচালক, প্রকল্প পরিচালক জিয়া হায়দার ও এমকেএ হ্যাচারী এই ৫ কোটি ৫২ লক্ষ ৮০ হাজার সরকারি টাকা আত্মসাৎ করার ষড়যন্ত্র করে। বাকি ২য় কিস্তির ২ কোটি ৫৬ লাখ ৪৫ হাজার টাকা ছাড় দেওয়ার জন্য মহাপরিচালক ও প্রকল্প পরিচালক জিয়া হায়দার চৌধুরী চাপ দিচ্ছিলো বেপরোয়া হয়ে বলে সুত্র যানা যায়।
প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কয়েকজন কর্মকর্তা জানান, প্রায় ৬৫ কোটি টাকা কক্সবাজার, ময়মনসিংহ, খুলনা, চট্টগ্রাম এর হ্যাচারী, মাছের খাদ্য উৎপাদন কারী কোম্পানিদের সাথে আতাত করে এই অর্থ আত্মসাৎ করে মহাপরিচালক জিল্লুর রহমান এর নেতৃত্বাধীন সিন্ডিকেট। তারা জানান কোন ধরনের কাজ না করে এই সরকারি অর্থ আত্মসাৎ করা হয়েছে এবং আরও অর্থ ছাড় করার জন্য জোর চেষ্টা করেছিল।
মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রনালয় এর (দুর্নীতিবাজ) কর্মকর্তা রা এই কাজে সার্বিক সহোযোগিতা করে তাদের আখের গুছিয়েছেন। মনিটরিং না করে বরং ঘুষ বানিজ্য করে সব দুর্নীতির বৈধতা নিশ্চিত করেছেন।মন্ত্রণালয়ের পতিত সরকারের কিছু কর্মকর্তারা
যুক্তরাষ্ট্রের মোনা মেরিন বায়োটেক এর নামে ৫টি ভুয়া ভাউচার তৈরি করে এ সকল অর্থ আত্মসাৎ করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের মোনা মেরিন বায়োটেক জানায় যে এই ৫টি ভাউচার তাদের নয়। তাদের ওয়েবসাইটের ঠিকানায় যাচাই করলে এই ভুয়া ভাউচার গুলোর সত্যতা ধরা পড়ে। মহা দুনীতিবাজ অতিরিক্ত মহা পরিচালক জিয়া হায়দার এর রাজধানী ধানমন্ডি কয়েক কোটি টাকা দিয়ে ফ্ল্যাট কিনেছেন তিনি। এছাড়া বিভিন্ন এলাকায় নামে বে-নামে কোটি কোটি টাকার সম্পদের পাহাড় গরে তুলেছেন তিনি। দে-শ ছাড়িয়ে বিদেশে ও বিপুল সম্পদের মালিক তিনি।তার অবৈধ্য সম্পদের খোজে দুদক টিম কাজ করছে বলে নির্ভর সুত্রে যানা গেছে।