চট্টগ্রামের মিরসরাইতে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক ও মিরসরাই উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান নুরুল আমিনসহ বিএনপি ও যুবদলের পাঁচ নেতাকে বহিষ্কার করার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেছে মিরসরাই উপজেলা বিএনপির একাংশ।
বুধবার দুপুর সাড়ে বারোটায় মিরসরাই উপজেলা সদরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কিছু অংশ প্রদক্ষিণ করে উপজেলা পরিষদ চত্বরে বিক্ষোভ মিছিল শেষ হয়। মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যের মাধ্যমে সমাবেশ শেষ করেন মিরসরাই উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. আলমগীর। সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে তিনি বলেন, রাউজানে সংঘর্ষের ঘটনাকে কেন্দ্র করে মিরসরাই বিএনপি ও যুবদলের কিছু ত্যাগী নেতাকর্মীকে দল থেকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করেছে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ। আমরা বহিষ্কারাদেশের বিরুদ্ধে কিছু বলতে চাই না। শুধু বলতে চাই, দলের দুঃসময়ে স্বৈরাচার পতনের আন্দোলনগুলোতে নুরুল আমিন চেয়ারম্যানের মত নেতারা জীবন বাজি রেখে সভা সমাবেশে বড় বড় মিছিল নিয়ে গেছেন। সেই সময়ে আওয়ামী লীগের সাথে আঁতাত করে এসি রুমে বসে রাজনীতি করা নেতারা ভুল তথ্য দিয়ে মিরসরাইয়ে বিএনপি’র ত্যাগী নেতাদের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় নেতাদের বিভ্রান্ত করছেন। আমরা শুধু বলবো মিরসরাইয়ে গণমানুষের নেতা নুরুল আমিন চেয়ারম্যানকে নিয়ে কেন্দ্র তদন্ত করুক। কোন অন্যায় অপরাধ বা জুলুমের রাজনীতি নুরুল আমিন চেয়ারম্যান করেননি। তাই মিরসরাই বিএনপির সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের আকুতি কেন্দ্র যেন এই বহিষ্কারাদেশের বিষয়টি পুনঃবিবেচনা করে।
দলের ভেতর সংঘাত ও হানাহানি সৃষ্টি করে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে মিরসরাই উপজেলা বিএনপি’র ও যুবদলের পাঁচ নেতাকে দলের প্রাথমিক পদসহ সকল পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। ২৯ জুলাই দলের সিনিয়র যুগ্ম সচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়। বহিষ্কার হওয়া নেতারা হলেন, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক ও মিরসরাই উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান নুরুল আমিন, মিরসরাই উপজেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব গাজী নিজাম উদ্দিন, বারইয়ারহাট পৌরসভা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক দিদারুল আলম মিয়াজি, যুবদল নেতা সিরাজুল ইসলাম ও কামাল উদ্দিন।