০৫:০৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৭ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
নিজস্ব প্রতিবেদক:

নিয়োগ বঞ্চিত নিবন্ধন পরীক্ষায় আইসিটি উত্তীর্ণরা, পড়ে আছে হাজারো শূন্যপদ

  • প্রকাশিত ০৭:৫০:০৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • ৮ বার দেখা হয়েছে

এনটিআরসিএ কর্তৃক শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় সব ধাপে উত্তীর্ণ হয়েও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ পাচ্ছেন না কয়েক হাজার চাকরি প্রার্থী। সোমবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর রুনি মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন নিয়োগ বঞ্চিত বেশ কয়েকজন চাকরি প্রার্থী। এরা সকলেই ১৮ তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় আইসিটি প্রভাষক পদে উত্তীর্ণ হয়েছিল। সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন শরীফল আলম, ফারহানা আক্তার, এমরান হোসেন, ইউসুফ আফেন্দী।

তারা বলেন, ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধন আইসিটি প্রভাষক পদে সফলতার সাথে ভাইবা পাশ করার পরও শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকার পরেও সুপারিশ বঞ্চিত আমরা কলেজ প্রার্থীরা। ICT (৪৫২) প্রভাষক পদে নিবন্ধন প্রাপ্ত প্রার্থীরা, ষষ্ঠ গণ বিজ্ঞপ্তির ৭ নম্বর নির্দেশনায় উল্লেখিত শিক্ষাগত যোগ্যতা পূরণ করে মাদ্রাসায় আবেদন করেও (১২৫০+ শূন্যপদ থাকা সত্ত্বেও) সুপারিশ থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। কলেজ ও মাদ্রাসা উভয়ের বিষয় কোড একই, শিক্ষাগত যোগ্যতা একই। এর প্রেক্ষিতে যদি ১৬ ও ১৭ তম নিবন্ধন সার্কুলার দেখি তাহলে সব বিষয়েই একত্রে সার্কুলার প্রকাশিত হয়। ১৮তম নিবন্ধনে আলাদা সার্কুলার করার কারণ আমরা জানি না। অথচ একই প্রশ্ন পত্রে আগের মতো আমাদের পরীক্ষা দিতে হয়েছে।

আমরা যখন সার্কুলার দেখে আবেদন করি প্রিলিমিনারির জন্য, তখন আমরা কলেজ ও মাদ্রাসা দুইটাতেই আবেদন করতে পেরেছিলাম। কিন্তু এডমিট কার্ড পাওয়ার সময় দেখি কলেজ এবং মাদ্রাসার দুটোরই পরীক্ষার সময় একই। এর জন্য আমরা দ্বিধা দ্বন্দ্বে পড়ে যায়। যার ফলে আমরা কলেজে পরীক্ষাটা দেয়। এ সময় আমরা জানতাম না কলেজে এবং মাদ্রাসায় কতটি পোস্ট ফাঁকা আছে। এটা আমরা জানতে পেরেছি ষষ্ঠ গণ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে তখন।

ষষ্ঠ গণ বিজ্ঞপ্তিতে মোট শূন্য পদের সংখ্যা ১৬০৪ টি মোট উত্তীর্ণ প্রার্থীর সংখ্যা ১৬৬৭ টি। কলেজে পোস্ট
ফাঁকা আছে ১৫১ টি, অথচ এর বিপরীতে ক্যান্ডিডেট পাশ করানো হয়েছে ১৪৯২ জনকে এবং মাদ্রাসায় পোস্ট ফাঁকা থাকে ১৪৫৩। মাদ্রাসায় ১৪৫৩ পদের বিপরীতে টিকানো হয়েছে মাত্র ১৭৭ জন কে মোট সুপারিশ প্রাপ্ত হয়েছে (১৫১+১৭৭)=৩২৮ জন।

৬ষ্ঠ গণ বিজ্ঞপ্তির ৭নং পয়েন্টে উল্লেখ ছিলও শিক্ষাগত যোগ্যতা অনুযায়ী সবাই আবেদন করতে পারবো।তাহলে আমাদের শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও কেন ICT (৪৫২) কোডের কলেজ প্রার্থীরা আবেদন করেও সুপারিশ পেলাম না?
এছাড়া ৭ং পয়েন্টে others নামের একটা অপশনে yes এবং No ছিল। এটার মানে আমরা কলেজ প্রার্থীরা ৪০ টা কলেজের পর বাংলাদেশের যে কোন প্রান্তের প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতে চাইলে yes দিব, আর চাকরি করতে না চাইলে No দিব।
কিন্তু ১৭ তম নিবন্ধন পর্যন্ত এই রকম অপশন ছিলো না। এবার ১৮ তম নিবন্ধনে পরিবর্তন করে yes অপশনে কলেজ এবং মাদ্রাসা দুটোই অপশন রাখা হয়। তাহলে কেন আমরা মাদ্রাসাতে নিয়োগ পাবো না?

একই বোর্ড, একই প্রশ্ন, প্রশ্নের মার্ক, সময়, শিক্ষাগত যোগ্যতা সবই একই হওয়া সত্ত্বেও আমাদের মাদ্রাসাতে সুপারিশ হওয়া থেকে বঞ্চিত করা হলো কেন??এর উত্তর কি আছে? বলতে পারবেন? আমরা তো ৪০টা লিস্টের মধ্যে মাদ্রাসা দেই নি,তাহলে কেন ৪নং অনুযায়ী আমাদের বাদ দেওয়া হয়েছে। আমরা ৪নং অনুযায়ী ৪০ টা কলেজ দিয়েছি আর ৭নং পয়েন্ট অনুযায়ী yes দিয়ে 1st preference কলেজ এবং 2nd preference মাদ্রাসা দিয়েছি, তারপরও কেন আমরা মাদ্রাসায় সুপারিশ থেকে বঞ্চিত হলাম?

তারা বলেন, আমরা জানতে চাই,
1. আমরা কলেজ ও মাদ্রাসার প্রার্থীরা একই প্রশ্ন, একই কোড, একই মানদণ্ডে পরীক্ষা দিয়েছি। তাহলে কেন আমাদের আলাদা করা হলো? কেন এই বৈষম্য?
2. কেন আবেদনের সময় শূন্যপদ গোপন করা হলো? যদি আগে জানানো হতো, আমরা সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে
পারতাম।
3. আমরা যখন এপ্লাই করি তখনও জানতাম না, আমাদের সনদে কলেজ মাদ্রাসা আলাদা আলাদাভাবে লিখা থাকবে।
4. আমাদের ফলাফল কিন্তু কম্বাইন্ডে দিয়েছে, অথচ সুপারিশ করলো আলাদা!
মেরিট লিস্ট আলাদা হলো না কেন?
এ কেমন বৈষম্য?
৫। এনটিআরসিএ বলেছে- মাদ্রাসায় শিক্ষক সংকট থাকায় আলাদা আবেদন সিস্টেম চালু করা হয়েছে।

আমাদের দাবিসমূহ:
১। কলেজ প্রার্থীদের ৭ নং অনুযায়ী মাদ্রাসার শূন্যপদে সুপারিশ দিতে হবে, নতুবা এর সঠিক ব্যাখ্যা প্রকাশ
করতে হবে।
২। ১৭ সেপ্টেম্বর এর মধ্যে আমাদের জয়েন্ট করাতে হবে।
৩। শূন্যপদ গোপন করার দায়ে এনটিআরসিএকে জবাবদিহি করতে হবে।
৪। ভবিষ্যতে প্রার্থীদের বিভ্রান্ত করার মতো অস্পষ্ট শর্তাবলী বন্ধ করতে হবে।
৫। এমপিও জটিলটা পরিহার করতে হবে।

কয়েকজন সচিব ও উপ সচিব স্যারদের সাথে কথা বলে আমাদের বিষয়টা জানায়। উনারা আমাদেরকে বলেন যে আমাদের বিষয়টা নিয়ে ওনারা দেখবেন। কিন্তু বেশ কয়েকদিন পার হওয়ার পরেও আমরা কোন ফলাফল পায়নি। যার ফলে আজকের আমাদের এই সংবাদ সম্মেলন।

তারা বলেন, মাদ্রাসা অধিদপ্তরে আমরা গিয়েছিলাম, তাদের কর্তৃপক্ষকে আমাদের বিষয়টা জানালে বলেন আমাদের মাদ্রাসায় সিট ফাঁকা পড়ে আছে। আমাদেরকে নিতে তারা আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।
তারা আরও বলেছেন ntrc যদি আমাদের কে সুপারিশ দেন তাতে তাদের কোনো সমস্যা নেই।

Tag :
জনপ্রিয়

নিয়োগ বঞ্চিত নিবন্ধন পরীক্ষায় আইসিটি উত্তীর্ণরা, পড়ে আছে হাজারো শূন্যপদ

নিজস্ব প্রতিবেদক:

নিয়োগ বঞ্চিত নিবন্ধন পরীক্ষায় আইসিটি উত্তীর্ণরা, পড়ে আছে হাজারো শূন্যপদ

প্রকাশিত ০৭:৫০:০৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১ সেপ্টেম্বর ২০২৫

এনটিআরসিএ কর্তৃক শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় সব ধাপে উত্তীর্ণ হয়েও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ পাচ্ছেন না কয়েক হাজার চাকরি প্রার্থী। সোমবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর রুনি মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন নিয়োগ বঞ্চিত বেশ কয়েকজন চাকরি প্রার্থী। এরা সকলেই ১৮ তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় আইসিটি প্রভাষক পদে উত্তীর্ণ হয়েছিল। সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন শরীফল আলম, ফারহানা আক্তার, এমরান হোসেন, ইউসুফ আফেন্দী।

তারা বলেন, ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধন আইসিটি প্রভাষক পদে সফলতার সাথে ভাইবা পাশ করার পরও শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকার পরেও সুপারিশ বঞ্চিত আমরা কলেজ প্রার্থীরা। ICT (৪৫২) প্রভাষক পদে নিবন্ধন প্রাপ্ত প্রার্থীরা, ষষ্ঠ গণ বিজ্ঞপ্তির ৭ নম্বর নির্দেশনায় উল্লেখিত শিক্ষাগত যোগ্যতা পূরণ করে মাদ্রাসায় আবেদন করেও (১২৫০+ শূন্যপদ থাকা সত্ত্বেও) সুপারিশ থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। কলেজ ও মাদ্রাসা উভয়ের বিষয় কোড একই, শিক্ষাগত যোগ্যতা একই। এর প্রেক্ষিতে যদি ১৬ ও ১৭ তম নিবন্ধন সার্কুলার দেখি তাহলে সব বিষয়েই একত্রে সার্কুলার প্রকাশিত হয়। ১৮তম নিবন্ধনে আলাদা সার্কুলার করার কারণ আমরা জানি না। অথচ একই প্রশ্ন পত্রে আগের মতো আমাদের পরীক্ষা দিতে হয়েছে।

আমরা যখন সার্কুলার দেখে আবেদন করি প্রিলিমিনারির জন্য, তখন আমরা কলেজ ও মাদ্রাসা দুইটাতেই আবেদন করতে পেরেছিলাম। কিন্তু এডমিট কার্ড পাওয়ার সময় দেখি কলেজ এবং মাদ্রাসার দুটোরই পরীক্ষার সময় একই। এর জন্য আমরা দ্বিধা দ্বন্দ্বে পড়ে যায়। যার ফলে আমরা কলেজে পরীক্ষাটা দেয়। এ সময় আমরা জানতাম না কলেজে এবং মাদ্রাসায় কতটি পোস্ট ফাঁকা আছে। এটা আমরা জানতে পেরেছি ষষ্ঠ গণ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে তখন।

ষষ্ঠ গণ বিজ্ঞপ্তিতে মোট শূন্য পদের সংখ্যা ১৬০৪ টি মোট উত্তীর্ণ প্রার্থীর সংখ্যা ১৬৬৭ টি। কলেজে পোস্ট
ফাঁকা আছে ১৫১ টি, অথচ এর বিপরীতে ক্যান্ডিডেট পাশ করানো হয়েছে ১৪৯২ জনকে এবং মাদ্রাসায় পোস্ট ফাঁকা থাকে ১৪৫৩। মাদ্রাসায় ১৪৫৩ পদের বিপরীতে টিকানো হয়েছে মাত্র ১৭৭ জন কে মোট সুপারিশ প্রাপ্ত হয়েছে (১৫১+১৭৭)=৩২৮ জন।

৬ষ্ঠ গণ বিজ্ঞপ্তির ৭নং পয়েন্টে উল্লেখ ছিলও শিক্ষাগত যোগ্যতা অনুযায়ী সবাই আবেদন করতে পারবো।তাহলে আমাদের শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও কেন ICT (৪৫২) কোডের কলেজ প্রার্থীরা আবেদন করেও সুপারিশ পেলাম না?
এছাড়া ৭ং পয়েন্টে others নামের একটা অপশনে yes এবং No ছিল। এটার মানে আমরা কলেজ প্রার্থীরা ৪০ টা কলেজের পর বাংলাদেশের যে কোন প্রান্তের প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতে চাইলে yes দিব, আর চাকরি করতে না চাইলে No দিব।
কিন্তু ১৭ তম নিবন্ধন পর্যন্ত এই রকম অপশন ছিলো না। এবার ১৮ তম নিবন্ধনে পরিবর্তন করে yes অপশনে কলেজ এবং মাদ্রাসা দুটোই অপশন রাখা হয়। তাহলে কেন আমরা মাদ্রাসাতে নিয়োগ পাবো না?

একই বোর্ড, একই প্রশ্ন, প্রশ্নের মার্ক, সময়, শিক্ষাগত যোগ্যতা সবই একই হওয়া সত্ত্বেও আমাদের মাদ্রাসাতে সুপারিশ হওয়া থেকে বঞ্চিত করা হলো কেন??এর উত্তর কি আছে? বলতে পারবেন? আমরা তো ৪০টা লিস্টের মধ্যে মাদ্রাসা দেই নি,তাহলে কেন ৪নং অনুযায়ী আমাদের বাদ দেওয়া হয়েছে। আমরা ৪নং অনুযায়ী ৪০ টা কলেজ দিয়েছি আর ৭নং পয়েন্ট অনুযায়ী yes দিয়ে 1st preference কলেজ এবং 2nd preference মাদ্রাসা দিয়েছি, তারপরও কেন আমরা মাদ্রাসায় সুপারিশ থেকে বঞ্চিত হলাম?

তারা বলেন, আমরা জানতে চাই,
1. আমরা কলেজ ও মাদ্রাসার প্রার্থীরা একই প্রশ্ন, একই কোড, একই মানদণ্ডে পরীক্ষা দিয়েছি। তাহলে কেন আমাদের আলাদা করা হলো? কেন এই বৈষম্য?
2. কেন আবেদনের সময় শূন্যপদ গোপন করা হলো? যদি আগে জানানো হতো, আমরা সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে
পারতাম।
3. আমরা যখন এপ্লাই করি তখনও জানতাম না, আমাদের সনদে কলেজ মাদ্রাসা আলাদা আলাদাভাবে লিখা থাকবে।
4. আমাদের ফলাফল কিন্তু কম্বাইন্ডে দিয়েছে, অথচ সুপারিশ করলো আলাদা!
মেরিট লিস্ট আলাদা হলো না কেন?
এ কেমন বৈষম্য?
৫। এনটিআরসিএ বলেছে- মাদ্রাসায় শিক্ষক সংকট থাকায় আলাদা আবেদন সিস্টেম চালু করা হয়েছে।

আমাদের দাবিসমূহ:
১। কলেজ প্রার্থীদের ৭ নং অনুযায়ী মাদ্রাসার শূন্যপদে সুপারিশ দিতে হবে, নতুবা এর সঠিক ব্যাখ্যা প্রকাশ
করতে হবে।
২। ১৭ সেপ্টেম্বর এর মধ্যে আমাদের জয়েন্ট করাতে হবে।
৩। শূন্যপদ গোপন করার দায়ে এনটিআরসিএকে জবাবদিহি করতে হবে।
৪। ভবিষ্যতে প্রার্থীদের বিভ্রান্ত করার মতো অস্পষ্ট শর্তাবলী বন্ধ করতে হবে।
৫। এমপিও জটিলটা পরিহার করতে হবে।

কয়েকজন সচিব ও উপ সচিব স্যারদের সাথে কথা বলে আমাদের বিষয়টা জানায়। উনারা আমাদেরকে বলেন যে আমাদের বিষয়টা নিয়ে ওনারা দেখবেন। কিন্তু বেশ কয়েকদিন পার হওয়ার পরেও আমরা কোন ফলাফল পায়নি। যার ফলে আজকের আমাদের এই সংবাদ সম্মেলন।

তারা বলেন, মাদ্রাসা অধিদপ্তরে আমরা গিয়েছিলাম, তাদের কর্তৃপক্ষকে আমাদের বিষয়টা জানালে বলেন আমাদের মাদ্রাসায় সিট ফাঁকা পড়ে আছে। আমাদেরকে নিতে তারা আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।
তারা আরও বলেছেন ntrc যদি আমাদের কে সুপারিশ দেন তাতে তাদের কোনো সমস্যা নেই।