০৬:২১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫, ৩১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
মোঃ আমির হোসেন স্টাফ রিপোর্টার :

নিবন্ধন সম্পর্কে কিছু সংক্ষিপ্ত কথা ও গুরুত্ব

  • প্রকাশিত ০১:৫৯:৫৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫
  • ১০ বার দেখা হয়েছে

গত ১৩জুলাই ২০২৫ নিবন্ধন একটি অত্যাবশ্যকীয় আইনি প্রক্রিয়া l যা কোন দেশ ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে রাষ্ট্রের স্বীকৃতি প্রদান করে l সরকারি ও বেসরকারি মালিকানা এবং অধিকার প্রতিষ্ঠায় বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কাজে নিবন্ধনের ভূমিকা অপরিসীম l

নিবন্ধন কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের অধিকার প্রতিষ্ঠা ও সরকারি সুবিধা প্রাপ্তির ক্ষেত্রে অপরিহার্য দলিল l

নিবন্ধন সনদ শুধুমাত্র একটি কাগজ নয় বরং অধিকার ও নিরাপত্তার রক্ষাকবজ l ভবিষ্যতের মালিকানা প্রতিষ্ঠা ও অধিকার সুসংহত করার অপরিহার্য ও সুরক্ষামূলক দলিল l

নিবন্ধন প্রতিষ্ঠানকে আইনি স্বীকৃতি,সরকারি সুযোগ সুবিধা, আইনগত অধিকার প্রতিষ্ঠা ও সুরক্ষামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করে অধিকারত্বকে স্বীকৃতি দেয় l

জেনে নেওয়া যাক কোন কোন মন্ত্রণালয় ও প্রতিষ্ঠান নিবন্ধনের সক্ষমতা রাখে l

১.আইন মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্ট জেলার সাব রেজিস্ট্রেশন অফিসের মাধ্যমে জমিজমা ভূমি অথবা স্থাবর সম্পত্তির রেজিস্ট্রি প্রদান করে l

২. নির্বাচন কমিশনের অধীনে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন প্রদান করে l

৩. শ্রম মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট জেলার অধিদপ্তরের অধীনে শ্রমিকদের অধিকার ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠার সংগঠনকে নিবন্ধন প্রদান করে l

৪. সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় ও সংশ্লিষ্ট জেলার সমাজসেবা অধিদপ্তরের মাধ্যমে সংগঠনের নিবন্ধন প্রদান করে থাকে l

৫. সমাবয় মন্ত্রণালয় বিভিন্ন লাভজনক প্রতিষ্ঠান ও সমিতি সংঘের নিবন্ধন প্রদান করে l

৬. যুব মন্ত্রণালয়ের অধীনে সংশ্লিষ্ট জেলার যুব অধিদপ্তর যুবকদের কর্মসংস্থান ও উন্নয়নের জন্য নিবন্ধন প্রদান করে l

৭. বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উইংস জয়েন্ট স্ট্রোকের মাধ্যমে স্বেচ্ছাসেবক,অলাভজনক ও লাভজনক প্রতিষ্ঠান নিবন্ধন প্রদান করে থাকে l

৮.আইন মন্ত্রণালয় কাজী নিবন্ধন সনদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট জেলার নিকাহনামা রেজিস্ট্রেশন ও তালাক সংক্রান্ত নিবন্ধন প্রদান করে l

তাছাড়া ফোরাম এসোসিয়েশন অর্গানাইজেশন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের “টিও” শাখা থেকে নামের ছাড়পত্র নিয়ে যেকোনো অধিদপ্তর হতে নিবন্ধন নিতে হয় l

নিবন্ধনহীন যে কোন প্রতিষ্ঠান ভুয়া নামসর্বস্ব এবং কাগজ-কলমে সীমাবদ্ধ l নিবন্ধনহীন যে কোন সম্পত্তি ও প্রতিষ্ঠান ভিত্তিহীন l আইনের দৃষ্টিতে নিবন্ধনহীন ও বৈধ সনদ ব্যতীত প্রতিষ্ঠান বা মালিকানা দাবি করা একটি অপরাধ l যা কখনোই মালিকানা ও অধিকার সত্যকে প্রমাণ করে না l বরং আইনি জটিলতায় পড়ার বেশি সম্ভাবনা থাকে l
যুগে যুগে এমন অপরাধের জন্য সময় ও অর্থ অপচয় করেও কারাবরণ করেছেন অনেক জ্ঞানীগুনি ও সহজ সরল জনতা l
নিবন্ধন যেহেতু দেশের প্রচলিত সংবিধান সিদ্ধ একটি আইনি প্রক্রিয়া l সুতরাং আপনার সম্পত্তি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও সাংগঠনিক প্রতিষ্ঠান নিবন্ধনের আওতাভুক্ত অবশ্যই থাকতে হবে l নিবন্ধনের অন্তর্ভুক্ত কোন প্রতিষ্ঠানকে রথ বা বিলুপ্তির ক্ষেত্রে অবশ্যই আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে হতে হবে l
সকলের সুস্বাস্থ্য ও নেক হায়াত কামনা করি। সাংবাদিক মোঃআমির হোসেন।

Tag :
জনপ্রিয়

ডা. নুরুল আমিন তামিজী ছিলেন গরীবের বন্ধু এবং শোষিতদের পক্ষে লড়াকু এক বীরযোদ্ধা

মোঃ আমির হোসেন স্টাফ রিপোর্টার :

নিবন্ধন সম্পর্কে কিছু সংক্ষিপ্ত কথা ও গুরুত্ব

প্রকাশিত ০১:৫৯:৫৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫

গত ১৩জুলাই ২০২৫ নিবন্ধন একটি অত্যাবশ্যকীয় আইনি প্রক্রিয়া l যা কোন দেশ ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে রাষ্ট্রের স্বীকৃতি প্রদান করে l সরকারি ও বেসরকারি মালিকানা এবং অধিকার প্রতিষ্ঠায় বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কাজে নিবন্ধনের ভূমিকা অপরিসীম l

নিবন্ধন কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের অধিকার প্রতিষ্ঠা ও সরকারি সুবিধা প্রাপ্তির ক্ষেত্রে অপরিহার্য দলিল l

নিবন্ধন সনদ শুধুমাত্র একটি কাগজ নয় বরং অধিকার ও নিরাপত্তার রক্ষাকবজ l ভবিষ্যতের মালিকানা প্রতিষ্ঠা ও অধিকার সুসংহত করার অপরিহার্য ও সুরক্ষামূলক দলিল l

নিবন্ধন প্রতিষ্ঠানকে আইনি স্বীকৃতি,সরকারি সুযোগ সুবিধা, আইনগত অধিকার প্রতিষ্ঠা ও সুরক্ষামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করে অধিকারত্বকে স্বীকৃতি দেয় l

জেনে নেওয়া যাক কোন কোন মন্ত্রণালয় ও প্রতিষ্ঠান নিবন্ধনের সক্ষমতা রাখে l

১.আইন মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্ট জেলার সাব রেজিস্ট্রেশন অফিসের মাধ্যমে জমিজমা ভূমি অথবা স্থাবর সম্পত্তির রেজিস্ট্রি প্রদান করে l

২. নির্বাচন কমিশনের অধীনে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন প্রদান করে l

৩. শ্রম মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট জেলার অধিদপ্তরের অধীনে শ্রমিকদের অধিকার ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠার সংগঠনকে নিবন্ধন প্রদান করে l

৪. সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় ও সংশ্লিষ্ট জেলার সমাজসেবা অধিদপ্তরের মাধ্যমে সংগঠনের নিবন্ধন প্রদান করে থাকে l

৫. সমাবয় মন্ত্রণালয় বিভিন্ন লাভজনক প্রতিষ্ঠান ও সমিতি সংঘের নিবন্ধন প্রদান করে l

৬. যুব মন্ত্রণালয়ের অধীনে সংশ্লিষ্ট জেলার যুব অধিদপ্তর যুবকদের কর্মসংস্থান ও উন্নয়নের জন্য নিবন্ধন প্রদান করে l

৭. বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উইংস জয়েন্ট স্ট্রোকের মাধ্যমে স্বেচ্ছাসেবক,অলাভজনক ও লাভজনক প্রতিষ্ঠান নিবন্ধন প্রদান করে থাকে l

৮.আইন মন্ত্রণালয় কাজী নিবন্ধন সনদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট জেলার নিকাহনামা রেজিস্ট্রেশন ও তালাক সংক্রান্ত নিবন্ধন প্রদান করে l

তাছাড়া ফোরাম এসোসিয়েশন অর্গানাইজেশন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের “টিও” শাখা থেকে নামের ছাড়পত্র নিয়ে যেকোনো অধিদপ্তর হতে নিবন্ধন নিতে হয় l

নিবন্ধনহীন যে কোন প্রতিষ্ঠান ভুয়া নামসর্বস্ব এবং কাগজ-কলমে সীমাবদ্ধ l নিবন্ধনহীন যে কোন সম্পত্তি ও প্রতিষ্ঠান ভিত্তিহীন l আইনের দৃষ্টিতে নিবন্ধনহীন ও বৈধ সনদ ব্যতীত প্রতিষ্ঠান বা মালিকানা দাবি করা একটি অপরাধ l যা কখনোই মালিকানা ও অধিকার সত্যকে প্রমাণ করে না l বরং আইনি জটিলতায় পড়ার বেশি সম্ভাবনা থাকে l
যুগে যুগে এমন অপরাধের জন্য সময় ও অর্থ অপচয় করেও কারাবরণ করেছেন অনেক জ্ঞানীগুনি ও সহজ সরল জনতা l
নিবন্ধন যেহেতু দেশের প্রচলিত সংবিধান সিদ্ধ একটি আইনি প্রক্রিয়া l সুতরাং আপনার সম্পত্তি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও সাংগঠনিক প্রতিষ্ঠান নিবন্ধনের আওতাভুক্ত অবশ্যই থাকতে হবে l নিবন্ধনের অন্তর্ভুক্ত কোন প্রতিষ্ঠানকে রথ বা বিলুপ্তির ক্ষেত্রে অবশ্যই আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে হতে হবে l
সকলের সুস্বাস্থ্য ও নেক হায়াত কামনা করি। সাংবাদিক মোঃআমির হোসেন।