০৪:৫৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৮ মে ২০২৫, ১৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
রেজাউল-কোটচাঁদপুরঃ

নিজের মন্ত্রনালয় নিয়ে অসহায়ত্ব প্রকাশ করলেন মৎস্য ও প্রাণীসম্পদ উপদেষ্টা

  • প্রকাশিত ০৭:০৮:৪৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ মে ২০২৫
  • ১৪ বার দেখা হয়েছে

নিজের মন্ত্রনালয় নিয়ে অসহায়ত্ব প্রকাশ করেছেন মৎস্য ও প্রাণীসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। মঙ্গলবার দুপুরে ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরে স্থানীয় জেলে সম্প্রদায় ও বাওড় মৎস্যজীবীদের সাথে মতবিনিময় সভায় হাওড় বাওড় সমস্যা নিয়ে এ অসহায়ত্ব প্রকাশ করেন তিনি। উপদেষ্টা বলেন, আমি যেটা খুব অবাক হই, আমার নিজের মন্ত্রনালয় হিসেবে আমাদের খুব অসহায় লাগে আপনাদের মতই। আমরা জেলেদের মন্ত্রনালয়। আমাদের জেলেদের জীবন-জীবিকা যেখানে চলে সেই হাওড়-বাওড় ভুমি মন্ত্রনালয়ের অধিনে। তারা হাওড় বাওড় ইজারা দেয় আর আমরা তখন কাতর হয়ে বলি এটা আমাদের দেন, একটু আমাদের পরামর্শ নেন। উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেন, জাল যার জলা তার, এই নীতি বাস্তবায়নে আমরা কাজ করব। মাছ চাষ বাওড় পাড়ের হালদার সম্প্রদায়ের অধিকার। মাছ হবে প্রকৃতির নিয়মে অথচ এখন মাছ চাষ হয় কীটনাশক দিয়ে এটা অত্যন্ত দুঃখজনক। তরুণ প্রজন্ম আন্দোলনের মাধ্যমে ফ্যাসিবাদের পতন ঘটিয়েছে। এই প্রজন্মই সমাজের সকল বৈষম্য দূর করবে। প্রকৃত মৎসজীবীদের মাঝে বাওড়ের অধিকার ফিরিয়ে দিতে আমি ভূমি মন্ত্রণালয় সহ সরকারের সকল দপ্তরের কথা বলব। বাওড়পাড়ের বাসিন্দাদের কাছে বাওড়ের প্রকৃত মালিকানা ফিরিয়ে দিয়ে তাদের দুঃখ দুর্দশা দূর করতে সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন। রাজনৈতিক ও সামাজিক সকল পকে এ বিষয়ে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। তিনি আরো বলেন, জল যার জাল তার এই প্রবাদ শুধু মুখে বললে হবে না, বাস্তবে তা কার্যকর করতে হবে। দেশের সব বাওড়ের ইজারা বাতিল করে প্রকৃত মৎস্যজীবীদে মাঝে ফিরিয়ে দিতে হবে। তরুণ প্রজন্মের আন্দোলনের মাধ্যমে দেশে ফ্যাসিবাদের পতন ঘটেছে। এই প্রজন্মই বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়তে পারে। আমি ভূমি মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোর সঙ্গে কথা বলব। পরিবেশ রা এবং মৎস্যজীবীদের টিকিয়ে রাখতে সমন্বিত উদ্যোগ নিতে হবে। সকল রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদেরকে ধন্যবাদ জানান বাওড়ের মালিকানা ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য একাত্মতা প্রকাশ করায়। মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন ঝিনাইদহের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আওয়াল। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রগতিশীল নাগরিক সমাজের সভাপতি শরীফুজ্জামান আগা খান, বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ তে মজুর সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ডা,ম,ফজলুর রহমান,পরিচালক (অভ্যন্তরীণ) মৎস্য অধিদপ্তর ঢাকা ডাঃ,মোঃ মোতালেব হোসেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার কাজী আনিসুল ইসলাম, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কোটচাঁদপুর শাখার আহ্বায়ক হৃদয় আহসান, উপজেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক, উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির মাওলানা তাজুল ইসলাম,পৌর বিএনপির সভাপতি সাবেক মেয়র এস কে এম সালাহউদ্দিন বুলবুল সিডল, সুনিল হালদার,স্বপন মাস্টার, কমলা হালদার,হৃদয় হালদার প্রমুখ। এ সময় হালদার সম্প্রদায়ের মানুষ,উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা কর্মচারী সাংবাদিক সহ আইন-শৃঙ্খলা রা বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

Tag :
জনপ্রিয়

আমার মায়াবতি

রেজাউল-কোটচাঁদপুরঃ

নিজের মন্ত্রনালয় নিয়ে অসহায়ত্ব প্রকাশ করলেন মৎস্য ও প্রাণীসম্পদ উপদেষ্টা

প্রকাশিত ০৭:০৮:৪৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ মে ২০২৫

নিজের মন্ত্রনালয় নিয়ে অসহায়ত্ব প্রকাশ করেছেন মৎস্য ও প্রাণীসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। মঙ্গলবার দুপুরে ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরে স্থানীয় জেলে সম্প্রদায় ও বাওড় মৎস্যজীবীদের সাথে মতবিনিময় সভায় হাওড় বাওড় সমস্যা নিয়ে এ অসহায়ত্ব প্রকাশ করেন তিনি। উপদেষ্টা বলেন, আমি যেটা খুব অবাক হই, আমার নিজের মন্ত্রনালয় হিসেবে আমাদের খুব অসহায় লাগে আপনাদের মতই। আমরা জেলেদের মন্ত্রনালয়। আমাদের জেলেদের জীবন-জীবিকা যেখানে চলে সেই হাওড়-বাওড় ভুমি মন্ত্রনালয়ের অধিনে। তারা হাওড় বাওড় ইজারা দেয় আর আমরা তখন কাতর হয়ে বলি এটা আমাদের দেন, একটু আমাদের পরামর্শ নেন। উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেন, জাল যার জলা তার, এই নীতি বাস্তবায়নে আমরা কাজ করব। মাছ চাষ বাওড় পাড়ের হালদার সম্প্রদায়ের অধিকার। মাছ হবে প্রকৃতির নিয়মে অথচ এখন মাছ চাষ হয় কীটনাশক দিয়ে এটা অত্যন্ত দুঃখজনক। তরুণ প্রজন্ম আন্দোলনের মাধ্যমে ফ্যাসিবাদের পতন ঘটিয়েছে। এই প্রজন্মই সমাজের সকল বৈষম্য দূর করবে। প্রকৃত মৎসজীবীদের মাঝে বাওড়ের অধিকার ফিরিয়ে দিতে আমি ভূমি মন্ত্রণালয় সহ সরকারের সকল দপ্তরের কথা বলব। বাওড়পাড়ের বাসিন্দাদের কাছে বাওড়ের প্রকৃত মালিকানা ফিরিয়ে দিয়ে তাদের দুঃখ দুর্দশা দূর করতে সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন। রাজনৈতিক ও সামাজিক সকল পকে এ বিষয়ে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। তিনি আরো বলেন, জল যার জাল তার এই প্রবাদ শুধু মুখে বললে হবে না, বাস্তবে তা কার্যকর করতে হবে। দেশের সব বাওড়ের ইজারা বাতিল করে প্রকৃত মৎস্যজীবীদে মাঝে ফিরিয়ে দিতে হবে। তরুণ প্রজন্মের আন্দোলনের মাধ্যমে দেশে ফ্যাসিবাদের পতন ঘটেছে। এই প্রজন্মই বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়তে পারে। আমি ভূমি মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোর সঙ্গে কথা বলব। পরিবেশ রা এবং মৎস্যজীবীদের টিকিয়ে রাখতে সমন্বিত উদ্যোগ নিতে হবে। সকল রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদেরকে ধন্যবাদ জানান বাওড়ের মালিকানা ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য একাত্মতা প্রকাশ করায়। মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন ঝিনাইদহের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আওয়াল। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রগতিশীল নাগরিক সমাজের সভাপতি শরীফুজ্জামান আগা খান, বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ তে মজুর সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ডা,ম,ফজলুর রহমান,পরিচালক (অভ্যন্তরীণ) মৎস্য অধিদপ্তর ঢাকা ডাঃ,মোঃ মোতালেব হোসেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার কাজী আনিসুল ইসলাম, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কোটচাঁদপুর শাখার আহ্বায়ক হৃদয় আহসান, উপজেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক, উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির মাওলানা তাজুল ইসলাম,পৌর বিএনপির সভাপতি সাবেক মেয়র এস কে এম সালাহউদ্দিন বুলবুল সিডল, সুনিল হালদার,স্বপন মাস্টার, কমলা হালদার,হৃদয় হালদার প্রমুখ। এ সময় হালদার সম্প্রদায়ের মানুষ,উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা কর্মচারী সাংবাদিক সহ আইন-শৃঙ্খলা রা বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।