শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে অনুষ্ঠিত হলো এক ঐতিহাসিক শোকর্যালি ও আলোচনা সভা। শুক্রবার (৩০ মে) বিকেলে নবীনগর পৌরসভার চার গ্রাম আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত এ কর্মসূচিতে জনতার ঢল নামে।
বৈরী আবহাওয়াকে উপেক্ষা করে দূর-দূরান্ত থেকে বিএনপি ও এর অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা দলে দলে উপস্থিত হন।
কর্মসূচির শুরুতেই স্পিডবোট ঘাট থেকে “দুর্দিনের পাপ্পু ভাই, আমরা তোমায় ভুলি নাই”এমন স্লোগানে মুখর একটি বিশাল শোকর্যালি বের হয়। র্যালিটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে আলিয়াবাদ গোলচত্বরে গিয়ে শেষ হয়। পরে চার গ্রাম আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আয়োজন করা হয় আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল।
সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এডভোকেট রাজিব আহসান চৌধুরী পাপ্পু বলেন,শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ছিলেন এক সাহসী বীর, যিনি রণাঙ্গনে যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছেন এবং পরে আত্মনির্ভরশীল বাংলাদেশের রূপকার হয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, গণতন্ত্রের আপসহীন নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া আজও মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় লড়ছেন। আর তারেক রহমান হচ্ছেন তরুণ প্রজন্মের জন্য যোগ্য ও দূরদৃষ্টিসম্পন্ন এক নেতা, যিনি আধুনিক রাজনৈতিক চেতনায় দলকে সংগঠিত করে এগিয়ে নিচ্ছেন।
সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা বিএনপির সহ-যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গোলাম কিবরিয়া শিবলী। এসময় বক্তব্য রাখে,স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক সাইফুল ইসলাম জুয়েল,ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার মো. মজিবুর রহমান,শহীদ তানজিল মাহমুদ সুজয়ের পিতা মো. শফিকুল ইসলাম,শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্যজোটের সাংগঠনিক সম্পাদক একে এম আনিসুল হক,শহীদ গোলাম নাফিজের পিতা মো. গোলাম রহমান,শহীদ কামরুল মিয়ার পিতা মো. নান্নু মিয়া প্রমুখ।
অনুষ্ঠান শেষে শহীদ জিয়াউর রহমানসহ সকল শহীদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় বিশেষ মোনাজাত করা হয়।