ব্রাহ্মণবাড়িয়া নবীনগর উপজেলার জিনোদপুর ইউনিয়নের হুরুয়া গ্রামে স্থানীয় বাসিন্দা মৃতঃ আবদুল কাদেরের, ছেলে, মেয়ে ও স্ত্রী নামে বাংলাদেশ সেটেলমেন্ট জরিপ ৩২৩ খতিয়ানে ১২৫৩ দাগে ২১ শতাংশ বাড়ি ১২৫৪ দাগে ১৭ শতাংশ ভিটি, ১২৫৫ দাগে ১৫ শতাংশ নাল,১২৫৬ দাগে ২৩ শতাংশ নাল, ১২৫৮ দাগে ১৭ শতাংশ পুকুর, ১২৪১ দাগে ২১ শতাংশ বিটি মোট ১১৪ শতাংশ জমি ছেলে ফরিদ মিয়া, অহিদ মিয়া, ২৫০ অংশে করে মালিক ও স্ত্রী আরকাছের নেছা, মেয়ে কহিনুর বেগম, সাহানা বেগম, আশতারা বেগম ,১২৫ অংশ করে মালিক হয়। সেই মোতাবেক এই সম্পত্তির মালিক আরকাছের নেছা ১৪ শতাংশ ২৫ পয়েন্টের মালিক হয় কিন্তু কি বাবে ৫৭ শতাংশ জমি দলিল দিয়েছে তা আমরা ওয়ারিশ গন জানি না। আমরা একই বাবা মায়ের সন্তান ওয়ারিশ সুত্রে যে যতটুকু জমির মালিক হব সে টুকু সম্পত্তি নিব এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু ওয়ারিশ মোতাবেক সম্পত্তি ভোগ দখল করিতে দিতেছে না বলে আবদুল কাদেরের মেয়ে আশতারা খাতুন বাদী হয়ে ২৯ মে ২০২৪ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা অতিরিক্ত ম্যাজিস্টেট আদালতে নবীনগর উপজেলার জিনোদপুর ইউনিয়নের হুরুয়া গ্রামের ফরিদ মিয়ার ছেলে সাহাদাত হোসেন ও আবদুর কাদেরের ছেলে ফরিদ মিয়াকে আসামি করে দু জনের বিরুদ্ধে ফৌজদারি কার্যবিধি আইন ১৪৪/১৪৫/১৩৩/১৪৭ ধারা মামলা করেন। উক্ত মামলায় জমি সংক্রান্ত বিরোধ থাকায় সাহাদাত হোসেন ও ফরিদ মিয়ার বিরুদ্ধে ফৌজদারি কার্যবিধি ১৮৯৮ এর ১৪৪ ধারা জারি করা হয়। ও নবীনগর থানার অফিসার ইনচার্জকে আইনী ব্যবস্থা গ্রহন পূর্বক প্রতিবেদন প্রেরণের জন্য নির্দেশ প্রদান করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার অতিরিক্ত ম্যাজিস্ট্রেট এহসান মুরাদ।
সরজমিনে গিয়ে জানা যায় বাংলাদেশ সেটেলমেন্ট জরিপ কে মানতে রাজি নয় সাহাদাত হোসেন ও তার পিতা ফরিদ মিয়া ঐ এলাকার লিটন মিয়া ,হাবিব মিয়া,জব্বর মিযা সহ একাদিক ব্যক্তি বলেন, সাহাদাত, ও তার পিতা ফরিদ মিয়া এলাকার সাহেব সরদার ও মেম্বার চেয়ারম্যান কে মানেনা রাজি নয় এমনকি আদালতের রায় ও মানেনা।
অহিদ মিয়া বলেন আমার বাবার জমি আমরা দখলে আছে আমরার ভড় ভাই ফরিদ মিয়া ও তার ছেলে সাহাদাত হোসেন আমার সম্পত্তিতে যাইতে দিতেছে না । আমার মা যতটুকু সম্পত্তি পাওনা তার থেকে বেশি লিখে দিয়েছে। নায়েব, এসিলেন্ড কে টাকা খাওয়াইয়া একটি মিথ্যা খরিজ করেছে।
আশতারা খাতুন, সাহানা বেগম, বলেন আমার একই বাবা মায়ের সন্তান আমরারে আমরার বাবা সম্পত্তির অংশিদার দিয়া গেলে আমার আরেক ভাই অহিদ মিয়া আমরারে অংশ দিতে রাজি কিন্তু আমারার ভড় ভাই ফরিদ মিয়া ও তার পুত সাহাদাত হোসেন আমরারে আংশ দিতাছে না মেম্বার চেয়ারম্যান অনেক কিছুই আমরা জমাইছি হে বিচার মানে না আইন মানে না আদালত মানে না আমরা আইনে পাইয়া আইছি এখন হে মানে না। হেইদিন পুলিশ আইয়া কইয়া গেছে হে মানেনা। হে আমরারে হুমকি দামকি দেয়।
জিনোদপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান বিশিষ্ট সালিশ কারক আব্দুর রৌফ বলেন অহিদ মিয়া ও সাহাদাত হল আপন চাচা বাতিজা এখানে সম্পত্তি সংক্রান্ত জামেলা আছে অহিদ মিয়া হল আমার ফুফাত ভাই আর সাহাদাত হল ফুফাত ভাইয়ের ছেলে আর যে জমি দিয়েছে সে হল আমার আপন ফুফু পারিবারিক কলাহল সামাধানের স্বার্থে আমরা যেহেতু তাদের আপনজন আমরা তাদের বাড়িতে বসছি সামাধান করে দেওয়ার জন্য আমার ফুফু জিবিত থাকা কালিন যে সব সম্পত্তি দিয়ে গেছেন উনি যতটুকু সম্পত্তির মালিক না আমরা যতটুকু বুযতে পারছি তাহার থেকে অনেক বেশি সম্পত্তি দিয়ে গেলেন। মূলত তিনি এতটুকু সম্পত্তির মালিক না আমরা স্থানীয় বাবে সামাধান করে দেওয়ার কথা বলছি আমরা বসি যেহেতু মামলা মকাদ্দমা চলমান আছে দু পক্ষের উকিল কে নিয়েই বসব উকিল রা যে সামাধান দিবে তাহার পর সাহাদাত কে এক অথবা দুই শতক বেশি দিওযার চেষ্টা করব তাহার পর ও সাহাদাত সামাজিক বিচার মানতে অস্বীকার করেন বলেন যে মামলা মকাদ্দমা আছে মামলা মকাদ্দামায় যা হবে আমি তাই মেনে নিব এই কথা সাহাদাত বলার পরে আমরা এখান থেকে চরে আসি।
নবীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহিনুর ইসলাম শাহীন বলেন, নিয়ম অনুযাই আমরা উভয় পক্ষকে ডাকাইয়া বলে দিয়েছি যদি কেউ না মানে আইন আনুক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।