ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার ইব্রাহিমপুর গ্রামে প্রথমবারের মতো তিল চাষে আগ্রহী হচ্ছেন কৃষকরা। আধুনিক কৃষি ব্যবস্থার প্রভাবে হারিয়ে যাওয়া তেলবীজ ফসল তিল আবারও ফিরে আসছে মাঠে। জমির জৈব উর্বরতা ফিরিয়ে আনা ও কম খরচে লাভজনক ফসলের আশায় কৃষকেরা ঝুঁকছেন তিল চাষে।
সরেজমিনে ইব্রাহিমপুর দক্ষিণ পাড়ায় গিয়ে দেখা যায়, একাধিক কৃষক এবার তাদের জমিতে তিল চাষ শুরু করেছেন। কৃষক জামাল উদ্দিন বলেন, “এই প্রথম আমি জমিতে তিল চাষ করছি। তিল গাছের পাতা মাটিতে মিশে জমির উর্বরতা বাড়ায়। এতে পরবর্তী আমন মৌসুমে কম সার ব্যবহার করেও ভালো ফলন পাওয়া যায়।”
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, তিল চাষে রোগবালাই তুলনামূলকভাবে কম এবং পরিচর্যার প্রয়োজনও কম। ফলে কৃষকেরা সময় ও শ্রম বাঁচিয়ে অধিক মুনাফার প্রত্যাশায় তিল চাষের প্রতি আগ্রহী হচ্ছেন।
এ বিষয়ে নবীনগর উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, “তিল একটি লাভজনক ও গুরুত্বপূর্ণ তেলবীজ ফসল। এর উৎপাদিত তেল নানা কাজে ব্যবহৃত হয়, যা সরিষা তেলের বিকল্প হিসেবেও জনপ্রিয়। তিল চাষের মাধ্যমে কৃষক যেমন লাভবান হবেন, তেমনি জমির জৈব গুণও বাড়বে।”
উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা গিয়াসউদ্দিন নাঈম জানান, “চলতি মৌসুমটি তিল চাষের জন্য উপযোগী সময়। খরচ কম, পরিচর্যার ঝামেলা কম এবং বাজারে তিলের চাহিদা ভালো থাকায় আমরা কৃষকদের তিল চাষে উৎসাহ দিচ্ছি।”
কৃষি বিভাগের তত্ত্বাবধানে নেয়া এই উদ্যোগ সফল হলে নবীনগরের অন্যান্য এলাকাতেও তিল চাষ ছড়িয়ে পড়বে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।