বিশেষ প্রতিনিধি, মোঃ রেজাউল করিম রাকিব :
নওগাঁ সদর উপজেলার বলিহার ইউনিয়নের নিন্দইন গ্রামে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে মারপিট ও হত্যা চেষ্টা করার অভিযোগ উঠেছে। সরজমিনে গিয়ে ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে মারপিটের শিকার হওয়া নিন্দইন গ্রামের বদিউর রহমানের ছেলে এনামুল আলী মন্ডল বলেন, আমি গত ইং ১৩/০২/২০২৫ তারিখ বৃহস্পতিবার বিকেল আনুমানিক ৪ টার দিকে বাড়িতে সাংসারিক কাজ করতেছিলাম। এমন সময় নিন্দইন গ্রামের মৃত আছর মন্ডলের ছেলে ইদ্রিস আলী, আনসার আলী, মমতাজ আলী, আবুল হোসেন, মান্নান ও একই গ্রামের ইয়াচিন সরদারের ছেলে জুয়েল রানা এবং ঐ গ্রামের আবুল হোসেন মন্ডলের ছেলে সায়েদসহ আরো অনেকেই তাদের সাথে ছিলো, জুয়েল রানা আমাকে ডাক দিলে আমি তা শোনার জন্য বাড়ি থেকে বের হয়ে আমার খলিয়ানে গেলে আমাকে মৃত আছর মন্ডলের ছেলে আবুল হোসেনের হুকুমে আনছার মন্ডলসহ সকলে জোর পূর্বক আমাকে টেনে হিঁচরে নিয়ে যেতে লাগে। তখন ইদ্রিসের হাতে থাকা লোহার রড দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে আমার মাথায় আঘাত করলে আমি আমার বাম হাত দিয়ে ঠেকাইতে গেলে আমার বাম হাত ভেঙে যায় এবং জুয়েল রানার হাতে থাকা লাঠি দিয়ে আমাকে আঘাত করলে আমি মাটিতে পরে যাই। মাটিতে পরে যাবার পর মান্নান আমার বুকের উপর উঠে বুকে আঘাত করতে থাকে ও অন্ডকোষ চেপে ধরে এবং সায়েদ আমার পা চেপে ধরে থাকে এবং জুয়েল রানা আমাকে গলা টিপে শ্বাস রোধ করে হত্যা করার চেষ্টা করে। আমি ডাক চিৎকার দিলে আমার স্ত্রী মোছাঃ রুজিনা আগাইয়া আসলে মৃত আছর আলীর ছেলে মমতাজ, আনছার, ইদ্রিস, আবুল এবং মান্নান আমার স্ত্রীকে এলোপাথাড়ি ভাবে মারপিট করতে থাকে এবং পরনের কাপড় খুলে ফেলে শ্লীলতাহানি করে। আমি তখন মাটি থেকে উঠে বাধা দিলে আবার আমাকে এলোপাথাড়ি ভাবে বাঁশের লাঠি ও হাত দিয়ে বুকে পিঠে মাথায় ও মুখ চোখে আঘাত করে ছিলা ফুলা যখম করে। আমি ডাক চিৎকার করলে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে আসলে তখন তারা অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে বলে আজ তোকে মেরে ফেলতে পারলাম না কোনো দিন যদি তোকে একা পাই সেদিন তোকে মেরে ফেলবো বলে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে । স্থানীয় লোকজন আমাদের উদ্ধার করে নওগাঁ সদর মেডিকেল হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করে। বর্তমানে আমরা চিকিৎসাধীন আছি। এ ঘটনার বিষয়ে অভিযুক্তদের সাথে কথা বললে সকলের পক্ষে মৃত আছর আলীর ছেলে ইদ্রিস আলী বলেন, সামান্য বেরা দেওয়াকে কেন্দ্র করে এনামুলের সাথে কথা কাটাকাটি হলে একপর্যায়ে সামান্য মারামারির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার বিষয়ে একাধিক গ্রামবাসী সাথে কথা বললে তারা বলেন, এনামুল একটা নিরিহ ছেলে কারো সাথে তার দন্দ ফেছাদ নাই। তাকে একা পেয়ে জোর করে টেনে হিঁচরে নিয়ে গিয়ে নির্মম ভাবে যেমন সাপ মারে সেভাবে মেরেছে। এখনো চিকিৎসাধীন অবস্থায় আতঙ্কে দিন যাপন করছেন এনামুল। বাড়িতে গেলে না জানি আবারো কি হয় তাই এ বিষয়ে প্রশাসনের সহায়তা চান এনামুল ও তার পরিবার।