০৭:৫৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১১ অগাস্ট ২০২৫, ২৭ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
তানজিম ইসলাম :

দেশের শীর্ষ দুর্নীতিবাজ ১৪ জেলা রেজিস্ট্রার প্রতিদিন হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা – দুদক নীরব

  • প্রকাশিত ০৫:৫০:১৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১০ অগাস্ট ২০২৫
  • ৮৭ বার দেখা হয়েছে

দেশের কয়েকটি জেলার র্শীষ দুর্নীতিবাজ ১৪ জন জেলা রেজিস্ট্রার জন হয়রানী আর আইনের অপব্যাখ্যা দিয়ে প্রতিদিন হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা।
এসব দুর্নীতিবাজ জেলা রেজিস্ট্রারের মধ্যে রয়েছে কুমিল্লার জেলা রেজিস্ট্রার মনিরুল হাসান, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা রেজিস্ট্রার খালিদ বিন আসাদ, নোয়াখালীর জেলা রেজিস্ট্রার মোজাহিদুল ইসলাম, কুড়িগ্রামের জেলা রেজিস্ট্রার শফিকুল ইসলাম, বগুড়া জেলা রেজিস্ট্রার সিরাজুল করিম, সিরাজগঞ্জ জেলা রেজিস্ট্রার শরিফ তোরাফ হোসেন, হবিগঞ্জের জেলা রেজিস্ট্রার রফিকুল কাদির, মৌলভীবাজার জেলা রেজিস্ট্রার মফিজুল ইসলাম, বরগুনার জেলা রেজিস্ট্রার স্বদেশ চন্দ্র চন্দ, মাদারীপুরের জেলা রেজিস্ট্রার আমির হামজার

সিলেটের জেলা রেজিস্ট্রার জহুরুল ইসলাম, নেত্রকোনার জেলা রেজিস্ট্রার আব্দুল খালেক , পঞ্চগড়ের জেলা রেজিস্ট্রার আফসানা বেগম।
আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব ও দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান বরাবর এদের বিরুদ্ধে দাখিল করা এক অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে। এসব শীর্ষ দুর্নীতিবাজ জেলা রেজিস্ট্রার বিগত স্বৈরাচার সরকারের আমলে দেশের শীর্ষ স্থানীয় লোভনীয় জেলাগুলোতে চাকুরী করে জনগণকে হয়রানি করে অবৈধভাবে টাকা কামিয়ে সবাই কোটি পতি বনে গেছেন।

এরা সবাই অঢেল সম্পদের মালিক। সরকারের পট পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে ভোল্ট পাল্টিয়ে এখনো তারা দেশের শীর্ষ স্থানীয় জেলা গুলোতে আনডিও বদলি হয়ে দু’হাতে চুটিয়ে ঘুষ দুর্নীতি করে যাচ্ছেন। প্রতিটি জেলা রেজিস্ট্রার দলিল প্রতি ২০০ থেকে ২৫০ টাকা নকল প্রতি ১৫০ থেকে ২০০ টাকা।

অফিস অডিটে অফিস প্রতি ২লক্ষ টাকা সারপ্রাইজ ভিজিটে ৫০ হাজার টাকা। দলিলের কমিশনের জন্য দলির প্রতি ১ হাজার টাকা মোহরার, সহকারী, টিসি মোহরার, পিওন, নকল নবীশ বদলী,প্রদন্নতি ও প্রেসনে বদলিতে নিয়ে থাকেন লাখ লাখ টাকা।

এসব দুর্নীতিবাজ জেলা রেজিস্ট্রারা টাকা দিয়ে বদলি হয়ে টাকার পাহাড় গড়ছেন। কুমিল্লার জেলা রেজিস্ট্রার মনিরুল হাসানের ঢাকা শহরে রয়েছে একাধিক বাড়ি, ফ্ল্যাট, প্লট ও বিলাসবহুল গাড়ি। গ্রামের বাড়ি টাঙ্গাইলে গড়ে তুলেছেন অগাধ সম্পদের পাহাড়। সপ্তাহে ৩/৪ দিন অফিস করেন বলেও অভিযোগ রয়েছে।

পঞ্চগড়ের জেলা রেজিস্ট্রার আফসানা বেগমের বিরুদ্ধে রয়েছে অফিস ফাঁকি সহ বিস্তর অভিযোগ। তিনি সপ্তাহে মাত্র ২ দিন অফিস করেন। কোন কোন সপ্তাহে একদিনও জান না। অফিসের স্টাফদের জিজ্ঞাসা করলে জানান স্যার মিনিস্ট্রি ও আইজি আর অফিসে গেছেন। এরকম কত বাহানা।

এই শীর্ষ দুর্নীতিবাজ জেলা রেজিস্ট্রার আফসানা বেগমের ঢাকার বনানী আবাসিকে বাড়ী,পূর্বাচলে প্লট, উত্তরা ফ্ল্যাট, রংপুর শহরে আলীশান বাড়িসহ অগাধ জমি ও মার্কেট। জনগণের প্রশ্ন আফসানা বেগম এত সম্পদের মালিক হলেন টা কি করে? তাহলে কি সাব রেজিস্ট্রার ও জেলা রেজিস্ট্রারের অফিসগুলো অবৈধ টাকা কামানোর মেশিন?

এরকম অগাধ সম্পদের মালিক উল্লেখিত প্রতিটি জেলা রেজিস্ট্রারই। এ ব্যাপারে জেলা রেজিস্ট্রার মনিরুল হাসান ও রফিকুল কাদির তাদের দুর্নীতির কথা অস্বীকার করে বলেন আমরা তো যৎ সামান্য সম্পদ করেছি অন্যান্য বিভাগে যেয়ে দেখেন তাদের আরো কত বেশি সম্পদ।

আগামী সংখ্যায় এইসব দুর্নীতিবাজ জেলা রেজিস্ট্রারদের অর্জিত অবৈধ সম্পদে সচিত্র অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে।

Tag :
জনপ্রিয়

ফেনী বন্ধুসভার বৃক্ষরোপণ ও বিতরণ

তানজিম ইসলাম :

দেশের শীর্ষ দুর্নীতিবাজ ১৪ জেলা রেজিস্ট্রার প্রতিদিন হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা – দুদক নীরব

প্রকাশিত ০৫:৫০:১৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১০ অগাস্ট ২০২৫

দেশের কয়েকটি জেলার র্শীষ দুর্নীতিবাজ ১৪ জন জেলা রেজিস্ট্রার জন হয়রানী আর আইনের অপব্যাখ্যা দিয়ে প্রতিদিন হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা।
এসব দুর্নীতিবাজ জেলা রেজিস্ট্রারের মধ্যে রয়েছে কুমিল্লার জেলা রেজিস্ট্রার মনিরুল হাসান, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা রেজিস্ট্রার খালিদ বিন আসাদ, নোয়াখালীর জেলা রেজিস্ট্রার মোজাহিদুল ইসলাম, কুড়িগ্রামের জেলা রেজিস্ট্রার শফিকুল ইসলাম, বগুড়া জেলা রেজিস্ট্রার সিরাজুল করিম, সিরাজগঞ্জ জেলা রেজিস্ট্রার শরিফ তোরাফ হোসেন, হবিগঞ্জের জেলা রেজিস্ট্রার রফিকুল কাদির, মৌলভীবাজার জেলা রেজিস্ট্রার মফিজুল ইসলাম, বরগুনার জেলা রেজিস্ট্রার স্বদেশ চন্দ্র চন্দ, মাদারীপুরের জেলা রেজিস্ট্রার আমির হামজার

সিলেটের জেলা রেজিস্ট্রার জহুরুল ইসলাম, নেত্রকোনার জেলা রেজিস্ট্রার আব্দুল খালেক , পঞ্চগড়ের জেলা রেজিস্ট্রার আফসানা বেগম।
আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব ও দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান বরাবর এদের বিরুদ্ধে দাখিল করা এক অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে। এসব শীর্ষ দুর্নীতিবাজ জেলা রেজিস্ট্রার বিগত স্বৈরাচার সরকারের আমলে দেশের শীর্ষ স্থানীয় লোভনীয় জেলাগুলোতে চাকুরী করে জনগণকে হয়রানি করে অবৈধভাবে টাকা কামিয়ে সবাই কোটি পতি বনে গেছেন।

এরা সবাই অঢেল সম্পদের মালিক। সরকারের পট পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে ভোল্ট পাল্টিয়ে এখনো তারা দেশের শীর্ষ স্থানীয় জেলা গুলোতে আনডিও বদলি হয়ে দু’হাতে চুটিয়ে ঘুষ দুর্নীতি করে যাচ্ছেন। প্রতিটি জেলা রেজিস্ট্রার দলিল প্রতি ২০০ থেকে ২৫০ টাকা নকল প্রতি ১৫০ থেকে ২০০ টাকা।

অফিস অডিটে অফিস প্রতি ২লক্ষ টাকা সারপ্রাইজ ভিজিটে ৫০ হাজার টাকা। দলিলের কমিশনের জন্য দলির প্রতি ১ হাজার টাকা মোহরার, সহকারী, টিসি মোহরার, পিওন, নকল নবীশ বদলী,প্রদন্নতি ও প্রেসনে বদলিতে নিয়ে থাকেন লাখ লাখ টাকা।

এসব দুর্নীতিবাজ জেলা রেজিস্ট্রারা টাকা দিয়ে বদলি হয়ে টাকার পাহাড় গড়ছেন। কুমিল্লার জেলা রেজিস্ট্রার মনিরুল হাসানের ঢাকা শহরে রয়েছে একাধিক বাড়ি, ফ্ল্যাট, প্লট ও বিলাসবহুল গাড়ি। গ্রামের বাড়ি টাঙ্গাইলে গড়ে তুলেছেন অগাধ সম্পদের পাহাড়। সপ্তাহে ৩/৪ দিন অফিস করেন বলেও অভিযোগ রয়েছে।

পঞ্চগড়ের জেলা রেজিস্ট্রার আফসানা বেগমের বিরুদ্ধে রয়েছে অফিস ফাঁকি সহ বিস্তর অভিযোগ। তিনি সপ্তাহে মাত্র ২ দিন অফিস করেন। কোন কোন সপ্তাহে একদিনও জান না। অফিসের স্টাফদের জিজ্ঞাসা করলে জানান স্যার মিনিস্ট্রি ও আইজি আর অফিসে গেছেন। এরকম কত বাহানা।

এই শীর্ষ দুর্নীতিবাজ জেলা রেজিস্ট্রার আফসানা বেগমের ঢাকার বনানী আবাসিকে বাড়ী,পূর্বাচলে প্লট, উত্তরা ফ্ল্যাট, রংপুর শহরে আলীশান বাড়িসহ অগাধ জমি ও মার্কেট। জনগণের প্রশ্ন আফসানা বেগম এত সম্পদের মালিক হলেন টা কি করে? তাহলে কি সাব রেজিস্ট্রার ও জেলা রেজিস্ট্রারের অফিসগুলো অবৈধ টাকা কামানোর মেশিন?

এরকম অগাধ সম্পদের মালিক উল্লেখিত প্রতিটি জেলা রেজিস্ট্রারই। এ ব্যাপারে জেলা রেজিস্ট্রার মনিরুল হাসান ও রফিকুল কাদির তাদের দুর্নীতির কথা অস্বীকার করে বলেন আমরা তো যৎ সামান্য সম্পদ করেছি অন্যান্য বিভাগে যেয়ে দেখেন তাদের আরো কত বেশি সম্পদ।

আগামী সংখ্যায় এইসব দুর্নীতিবাজ জেলা রেজিস্ট্রারদের অর্জিত অবৈধ সম্পদে সচিত্র অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে।