০৮:২৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ১৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
নিজস্ব প্রতিবেদক:

দেবপুর ইসলামীয়া ফাজিল  মাদ্রাসা’র বিদ্যোৎসাহী প্রতিনিধি নিয়োগে মাদ্রাসা অধিদপ্তর ডিজি মহোদয়ের অনিয়ম

  • প্রকাশিত ০৫:২৭:২১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫
  • ১৩ বার দেখা হয়েছে

স্থানীয় ফেনী ছাগলনাইয়া উপজেলার ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান দেবপুর ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার  অধ্যক্ষ এবং জেলা প্রশাসক (ডিসি) মহোদয়ের সিদ্ধান্তকে উপেক্ষা করে বাংলাদেশ মাদ্রাসা অধিদপ্তরের ডিজি কর্তৃক  বিদ্যোৎসাহী প্রতিনিধি নীতিমালা বহির্ভূত নিয়োগের ঘটনায় অনিয়ম এবং এ বিষয়ে  ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মাদ্রাসার শিক্ষক ও স্থানীয় সামাজিক নেতৃবৃন্দ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি মাদ্রাসা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি বিদ্যুৎসাহী প্রতিনিধি নিয়োগ সংক্রান্ত কার্যক্রম উন্নয়ন উপলক্ষে প্রতিনিধি নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু হয় এবং এ বিষয়ে অধ্যক্ষ ও ডিসি মহোদয়ের  নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করা হয় এবং ডিসি ও অধ্যক্ষ মহোদয় বিষয়টি পর্যালোচনা করে  ৩ সদস্যের একটি বিদ্যুোৎসাহী সদস্য তালিকা মাদ্রাসা অধিদপ্তর ডিজি মহোদয় বরাবর প্রেরণ করেন। কিন্তু অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে, জেলা প্রশাসক ও মাদ্রাসা অধ্যক্ষের প্রস্তাবিত প্রতিনিধির বহির্ভূত প্রতিনিধি নিয়োগ করেন   ঢাকায় অবস্থিত মাদ্রাসা অধিদপ্তর ডিজি যা সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের নীতিমালা বহির্ভূত  

স্থানীয় শিক্ষকরা অভিযোগ করেছেন যে, এই নবনিযুক্ত প্রতিনিধি তাদের দ্বারা গঠিত কমিটির সিদ্ধান্তের সঙ্গে কোন সম্পর্ক রাখে না এবং তাদের অভিজ্ঞতা ও যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। এর ফলে, মাদ্রাসার শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে অস্বস্তি সৃষ্টি হয়েছে এবং প্রতিষ্ঠানটির উন্নয়ন কর্মকাণ্ড আশা অনুযায়ী এগোচ্ছে না।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এ ধরনের আচরণ সুশাসনের চরম সীমা লঙ্ঘন করে এবং এটি স্থানীয় প্রশাসনের উপর আস্থা হ্রাস করছে। বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের স্বার্থ এবং স্থানীয় প্রশাসনের সিদ্ধান্তকে এভাবে অগ্রাহ্য করা চলতে থাকলে শিক্ষা ব্যবস্থায় ক্ষতি হবে।
এ বিষয়ে মাদ্রাসা অধ্যক্ষ বলেন, “আমরা এই পরিস্থিতি নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছি। আমরা আমাদের সমাজের উন্নয়ন ও শিক্ষার মান উন্নয়নের জন্য একযোগে কাজ করতে চাই। কিন্তু আমাদের সিদ্ধান্ত যদি অগ্রাহ্য হয়, তাহলে এটি আমাদের কাজকে ব্যাহত করবে।”
স্থানীয় জনগণ আশা করছেন, বিষয়টি দ্রুত সমাধান হবে এবং আবার শিক্ষার উন্নয়নে কাজ করা সম্ভব হবে। 
প্রশাসনের কাছে তাদের ন্যায্য দাবি জানিয়ে উপজেলা ও জেলা পর্যায়ের শীর্ষ কর্মকর্তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তবে, এ ধরনের ঘটনা ভবিষ্যতে যাতে না ঘটে, সেই বিষয়টিও নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছেন তারা। 

Tag :
জনপ্রিয়

দুই গ্রন্থের প্রকাশনা অনুষ্ঠানে সাহিত্যিকদের মিলনমেলা

নিজস্ব প্রতিবেদক:

দেবপুর ইসলামীয়া ফাজিল  মাদ্রাসা’র বিদ্যোৎসাহী প্রতিনিধি নিয়োগে মাদ্রাসা অধিদপ্তর ডিজি মহোদয়ের অনিয়ম

প্রকাশিত ০৫:২৭:২১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫

স্থানীয় ফেনী ছাগলনাইয়া উপজেলার ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান দেবপুর ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার  অধ্যক্ষ এবং জেলা প্রশাসক (ডিসি) মহোদয়ের সিদ্ধান্তকে উপেক্ষা করে বাংলাদেশ মাদ্রাসা অধিদপ্তরের ডিজি কর্তৃক  বিদ্যোৎসাহী প্রতিনিধি নীতিমালা বহির্ভূত নিয়োগের ঘটনায় অনিয়ম এবং এ বিষয়ে  ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মাদ্রাসার শিক্ষক ও স্থানীয় সামাজিক নেতৃবৃন্দ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি মাদ্রাসা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি বিদ্যুৎসাহী প্রতিনিধি নিয়োগ সংক্রান্ত কার্যক্রম উন্নয়ন উপলক্ষে প্রতিনিধি নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু হয় এবং এ বিষয়ে অধ্যক্ষ ও ডিসি মহোদয়ের  নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করা হয় এবং ডিসি ও অধ্যক্ষ মহোদয় বিষয়টি পর্যালোচনা করে  ৩ সদস্যের একটি বিদ্যুোৎসাহী সদস্য তালিকা মাদ্রাসা অধিদপ্তর ডিজি মহোদয় বরাবর প্রেরণ করেন। কিন্তু অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে, জেলা প্রশাসক ও মাদ্রাসা অধ্যক্ষের প্রস্তাবিত প্রতিনিধির বহির্ভূত প্রতিনিধি নিয়োগ করেন   ঢাকায় অবস্থিত মাদ্রাসা অধিদপ্তর ডিজি যা সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের নীতিমালা বহির্ভূত  

স্থানীয় শিক্ষকরা অভিযোগ করেছেন যে, এই নবনিযুক্ত প্রতিনিধি তাদের দ্বারা গঠিত কমিটির সিদ্ধান্তের সঙ্গে কোন সম্পর্ক রাখে না এবং তাদের অভিজ্ঞতা ও যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। এর ফলে, মাদ্রাসার শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে অস্বস্তি সৃষ্টি হয়েছে এবং প্রতিষ্ঠানটির উন্নয়ন কর্মকাণ্ড আশা অনুযায়ী এগোচ্ছে না।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এ ধরনের আচরণ সুশাসনের চরম সীমা লঙ্ঘন করে এবং এটি স্থানীয় প্রশাসনের উপর আস্থা হ্রাস করছে। বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের স্বার্থ এবং স্থানীয় প্রশাসনের সিদ্ধান্তকে এভাবে অগ্রাহ্য করা চলতে থাকলে শিক্ষা ব্যবস্থায় ক্ষতি হবে।
এ বিষয়ে মাদ্রাসা অধ্যক্ষ বলেন, “আমরা এই পরিস্থিতি নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছি। আমরা আমাদের সমাজের উন্নয়ন ও শিক্ষার মান উন্নয়নের জন্য একযোগে কাজ করতে চাই। কিন্তু আমাদের সিদ্ধান্ত যদি অগ্রাহ্য হয়, তাহলে এটি আমাদের কাজকে ব্যাহত করবে।”
স্থানীয় জনগণ আশা করছেন, বিষয়টি দ্রুত সমাধান হবে এবং আবার শিক্ষার উন্নয়নে কাজ করা সম্ভব হবে। 
প্রশাসনের কাছে তাদের ন্যায্য দাবি জানিয়ে উপজেলা ও জেলা পর্যায়ের শীর্ষ কর্মকর্তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তবে, এ ধরনের ঘটনা ভবিষ্যতে যাতে না ঘটে, সেই বিষয়টিও নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছেন তারা।