০১:৫০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০৯ এপ্রিল ২০২৫, ২৫ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
নিজস্ব প্রতিবেদক:

দাউদকান্দির পিপিয়াকান্দিতে ভূমিদস্য ফরিদা বেগম হাসনার বিরুদ্ধে ভাই বোনের পৈত্রিক ৪৭৮ সতক সম্পত্তি আত্মসাতের অভিযোগ

  • প্রকাশিত ১২:৫৬:৪৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • ৪৫ বার দেখা হয়েছে

দাউদকান্দি পিপিয়াকান্দিতে ৮ ভাইবোনের পৈত্রিক সমস্ত সম্পত্তি এক বোন ফরিদা বেগম হাতিয়ে নিয়েছে বলে অভিযোগ করেন ভাই মাজহারুল ইসলাম। দাউদকান্দি থানার পিঁপিয়া কান্দি গ্রামের মৃত মফিজুল ইসলামের,মৃত আছিয়া বেগমের ৪ ছেল ও ৪ মেয়ে র জনক তারা। ফরিদা বেগম হাসনা ২য় সন্তান।

তৃতীয় ছেলে মোহাম্মদ মাজারুল ইসলাম,গণমাধ্যম কর্মীদের জানান তাদের বাবা মৃত্যুর আগে ৪৭৮ শতক সমস্ত সম্পত্তি মায়ের নামে দলিল করে দিয়ে যান। মৃত মফিজুল ইসলামের দ্বিতীয় মেয়ে, মোছাম্মদ ফরিদা বেগম হাসনা,তাহার আট ভাই বোনে সমস্ত সম্পত্তি গোপনে তার মা অসুস্থ থাকা অবস্থায় কৌশলে নিজের নামে দলিল করে নেন,ফরিদা বেগম হাসনা। যা অন্য কোন ভাই বোন জানতোনা। মা স্ট্রোক করে অসুস্থ থাকা অবস্থায় তার মাথা স্বাভাবিক ছিলো না। আর সকল ভাই বোনদের ঘুমে রেখে ফরিদা বেগম হাসনা কৌশলে ৮ ভাই বোনের পৈতৃক ভিটা বাড়ী ও পুকুর সহ সমস্ত সম্পত্তি ৪৭৮ শতাংশ পুরোটাই
হাতিয়ে নেয়।ফরিদা বেগম হাসনা ছিলেন একজন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী তখন তার তৃতীয় ভাই মাজারুল ইসলাম বিএনপি করার কারণে বিভিন্ন সময় কৌশলে তাকে বিভিন্ন ভাবে মামলা মোকদ্দমা জড়িত করে রাখতেন যাতে করে মোহাম্মদ মাজারুল ইসলাম বাড়িতে তথা এলকায় প্রবেশ না করতে পারেন। ওই সময় ফরিদা বেগমের ভয়ে অন্যান্য ভাই-বোনেরা,ও এলাকাবাসী কোন কথা বলা কিংবা মুখ খোলার সাহস করতো না। কারণ ফরিদা বেগম হাসনা তখন আওয়ামী লীগ,ছাত্রলীগ ও প্রশাসনের পাওয়ার দেখিয়ে চলতেন,ভাই বোন ও এলকাবাসী কেউ তার দাপটে মাথা উচু করার উপায় ছিলো না।তিনি কাউকে পরোয়া করতেন না।

ফরিদা বেগম এর কাছে ছোট ভাই মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম সাড়ে সাত লক্ষ নগদ টাকা রাখা ছিল কিন্তু তার এই ছোট ভাই আমিনুল মারাত্বক অসুস্থ হয়ে মৃতু শয্যায় হাসপাতালে ভর্তি অস্থায় টাকার জন্য চিকিৎসার অভাবে মারা যান,মৃত আমিনুল হাসপাতালে বোন ফরিদা বেগম হাসনাকে বলেছিল বোন আমার টাকাটা দেও, আমি বাঁচতে চাই, আমাকে বাচাও । তাতে মন গলেনি ফরিদা বেগম হাসনার।

মায়ের কাছ থেকে সব হাতিয়ে নেওয়ার পরও জন্মদাতা মায়ের চিকিৎসার জন্য মন গলেনি তার,মৃত আছিয়া বেগম তিনিও হসপিটালে টাকার অভাবে চিকিৎসা না করাতে পেরে মারা যান।

মাজারুল আরোও জানায়,৫ আগষ্টের পর আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটে এরপর আমি দেশে ফিরে আমার দখলে থাকা পৈতৃক ভিটায় একটি বিল্ডিং এর কাজ ধরি,এতে বাধা দেন ফরিদা বেগম হাসনা, তিনি বলেন মা সমস্ত সম্পত্তি তাকে দিয়ে গেছেন,সে সমস্ত সম্পত্তির মালিক এখানে কোন অংশীদার নেই। বাড়াবাড়ি করলে তিনি ছোট ভাই মাজারুলকে প্রান নাসের হুমকী প্রদান করেন। তখনই ঘুম ভাংগে সকলে উন্মোচিত হয়,ফরিদা বেগম হাসনা সম্পত্তি আত্মসাৎ এর কলাকৌশল। মাজারুল সাংবাদিকের কাছে প্রশ্ন তুলে বলেন কিভাবে ৮ ভাই বোনের সম্পত্তি মা এক বোনকে দিয়ে দিতে পারে অন্য ৭ ভাই বোনের জন্য ১ রতি সম্পত্তি না রেখে?সুস্থ স্বভাবিক অবস্থায় কোন মা এ কাজ করতে পারেনা,এ ব্যাপারে মাজারুল ইসলাম, দাউদকান্দি মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।

এ ঘটনায় মাজারুল ইসলাম ও এলাকাবাসী প্রশাসনের নিকট একটি সুষ্ঠ সমাধান চান, এ সময় এলাকাবাসী, সমাজের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ তাহাদের মুখের একটি কথা ভূমিদস্যু ফরিদা বেগম হাসনার বিচারের দাবি এবং তাদের সকল ভাই বোনের সম্পত্তি ফেরত দিতে হবে।

এ ব্যাপারে ফরিদা বেগম হাসনার মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তার নাম্বারটা বন্ধ পাওয়া যায়।

Tag :
জনপ্রিয়

ফেসবুক প্রোফাইল হ্যাক হলে করণীয়

নিজস্ব প্রতিবেদক:

দাউদকান্দির পিপিয়াকান্দিতে ভূমিদস্য ফরিদা বেগম হাসনার বিরুদ্ধে ভাই বোনের পৈত্রিক ৪৭৮ সতক সম্পত্তি আত্মসাতের অভিযোগ

প্রকাশিত ১২:৫৬:৪৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

দাউদকান্দি পিপিয়াকান্দিতে ৮ ভাইবোনের পৈত্রিক সমস্ত সম্পত্তি এক বোন ফরিদা বেগম হাতিয়ে নিয়েছে বলে অভিযোগ করেন ভাই মাজহারুল ইসলাম। দাউদকান্দি থানার পিঁপিয়া কান্দি গ্রামের মৃত মফিজুল ইসলামের,মৃত আছিয়া বেগমের ৪ ছেল ও ৪ মেয়ে র জনক তারা। ফরিদা বেগম হাসনা ২য় সন্তান।

তৃতীয় ছেলে মোহাম্মদ মাজারুল ইসলাম,গণমাধ্যম কর্মীদের জানান তাদের বাবা মৃত্যুর আগে ৪৭৮ শতক সমস্ত সম্পত্তি মায়ের নামে দলিল করে দিয়ে যান। মৃত মফিজুল ইসলামের দ্বিতীয় মেয়ে, মোছাম্মদ ফরিদা বেগম হাসনা,তাহার আট ভাই বোনে সমস্ত সম্পত্তি গোপনে তার মা অসুস্থ থাকা অবস্থায় কৌশলে নিজের নামে দলিল করে নেন,ফরিদা বেগম হাসনা। যা অন্য কোন ভাই বোন জানতোনা। মা স্ট্রোক করে অসুস্থ থাকা অবস্থায় তার মাথা স্বাভাবিক ছিলো না। আর সকল ভাই বোনদের ঘুমে রেখে ফরিদা বেগম হাসনা কৌশলে ৮ ভাই বোনের পৈতৃক ভিটা বাড়ী ও পুকুর সহ সমস্ত সম্পত্তি ৪৭৮ শতাংশ পুরোটাই
হাতিয়ে নেয়।ফরিদা বেগম হাসনা ছিলেন একজন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী তখন তার তৃতীয় ভাই মাজারুল ইসলাম বিএনপি করার কারণে বিভিন্ন সময় কৌশলে তাকে বিভিন্ন ভাবে মামলা মোকদ্দমা জড়িত করে রাখতেন যাতে করে মোহাম্মদ মাজারুল ইসলাম বাড়িতে তথা এলকায় প্রবেশ না করতে পারেন। ওই সময় ফরিদা বেগমের ভয়ে অন্যান্য ভাই-বোনেরা,ও এলাকাবাসী কোন কথা বলা কিংবা মুখ খোলার সাহস করতো না। কারণ ফরিদা বেগম হাসনা তখন আওয়ামী লীগ,ছাত্রলীগ ও প্রশাসনের পাওয়ার দেখিয়ে চলতেন,ভাই বোন ও এলকাবাসী কেউ তার দাপটে মাথা উচু করার উপায় ছিলো না।তিনি কাউকে পরোয়া করতেন না।

ফরিদা বেগম এর কাছে ছোট ভাই মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম সাড়ে সাত লক্ষ নগদ টাকা রাখা ছিল কিন্তু তার এই ছোট ভাই আমিনুল মারাত্বক অসুস্থ হয়ে মৃতু শয্যায় হাসপাতালে ভর্তি অস্থায় টাকার জন্য চিকিৎসার অভাবে মারা যান,মৃত আমিনুল হাসপাতালে বোন ফরিদা বেগম হাসনাকে বলেছিল বোন আমার টাকাটা দেও, আমি বাঁচতে চাই, আমাকে বাচাও । তাতে মন গলেনি ফরিদা বেগম হাসনার।

মায়ের কাছ থেকে সব হাতিয়ে নেওয়ার পরও জন্মদাতা মায়ের চিকিৎসার জন্য মন গলেনি তার,মৃত আছিয়া বেগম তিনিও হসপিটালে টাকার অভাবে চিকিৎসা না করাতে পেরে মারা যান।

মাজারুল আরোও জানায়,৫ আগষ্টের পর আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটে এরপর আমি দেশে ফিরে আমার দখলে থাকা পৈতৃক ভিটায় একটি বিল্ডিং এর কাজ ধরি,এতে বাধা দেন ফরিদা বেগম হাসনা, তিনি বলেন মা সমস্ত সম্পত্তি তাকে দিয়ে গেছেন,সে সমস্ত সম্পত্তির মালিক এখানে কোন অংশীদার নেই। বাড়াবাড়ি করলে তিনি ছোট ভাই মাজারুলকে প্রান নাসের হুমকী প্রদান করেন। তখনই ঘুম ভাংগে সকলে উন্মোচিত হয়,ফরিদা বেগম হাসনা সম্পত্তি আত্মসাৎ এর কলাকৌশল। মাজারুল সাংবাদিকের কাছে প্রশ্ন তুলে বলেন কিভাবে ৮ ভাই বোনের সম্পত্তি মা এক বোনকে দিয়ে দিতে পারে অন্য ৭ ভাই বোনের জন্য ১ রতি সম্পত্তি না রেখে?সুস্থ স্বভাবিক অবস্থায় কোন মা এ কাজ করতে পারেনা,এ ব্যাপারে মাজারুল ইসলাম, দাউদকান্দি মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।

এ ঘটনায় মাজারুল ইসলাম ও এলাকাবাসী প্রশাসনের নিকট একটি সুষ্ঠ সমাধান চান, এ সময় এলাকাবাসী, সমাজের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ তাহাদের মুখের একটি কথা ভূমিদস্যু ফরিদা বেগম হাসনার বিচারের দাবি এবং তাদের সকল ভাই বোনের সম্পত্তি ফেরত দিতে হবে।

এ ব্যাপারে ফরিদা বেগম হাসনার মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তার নাম্বারটা বন্ধ পাওয়া যায়।