০২:৩৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৭ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

“তৌহিদ আফ্রিদি ও তার বাবার বিরুদ্ধে মামলা: বাদীর হলফনামা সত্ত্বেও গ্রেফতার ও রিমান্ড নিয়ে ‎আইনি বিতর্ক”

  • প্রকাশিত ০৫:৩৮:৫০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • ৮৫ বার দেখা হয়েছে

মো: সাব্বির হোসেন, ঢাকা : বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে গত বছরের ৫ আগস্ট যাত্রাবাড়ী থানাধীন রাস্তায় আন্দোলনে অংশ নেন মো. আসাদুল হক বাবু। ঘটনার দিন বেলা আড়াইটার দিকে আসাদুলের বুকে ও ডান পাশে গুলি লাগে। পরে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

‎হত্যা মামলায় আগে নাসির উদ্দিন সাথী ও পরে তার ছেলে তৌহিদ আফ্রিদি গ্রেপ্তার হন। এ ঘটনায় গত বছরের ৩০ আগস্ট যাত্রাবাড়ী থানায় হত্যা মামলা করেন নিহতের বাবা বাদী জয়নাল আবেদীন। এ মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ২৫ জনকে আসামি করা হয়। এ মামলায় নাসির উদ্দিন সাথী ২২ নম্বর ও তাঁর ছেলে তৌহিদ আফ্রিদি ১১ নম্বর এজাহারনামীয় আসামি।

‎নিহতের বাবা জয়নাল আবেদীন মামলার বাদী আদালতে স্বীকার করেন যে, ভুলবশত তাদের নাম আসামী করা হয়েছে এবং তারা এ ঘটনায় সম্পৃক্ত নন। বাদীর এই হলফনামা আদালত গ্রহণ করলেও পুলিশের পক্ষ থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয় এবং পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়।

‎আসামীদের আইনজীবী মোর্শেদ হোসেন শাহীন বলেন, “বাদীর হলফনামা আদালতে গ্রহণের পরও গ্রেফতার ও রিমান্ড প্রক্রিয়া চালানো আইন ও ন্যায়বিচারের প্রতি অবজ্ঞাস্বরূপ এবং মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে। এটি অগ্রহণযোগ্য।”

‎আইন বিশেষজ্ঞদের মতে, বাদীর ভুল স্বীকার করার পরও রিমান্ড মঞ্জুর হওয়া মৌলিক আইনবিধির পরিপন্থী এবং এটি আইনের শাসন ও ন্যায়বিচারের প্রতি প্রশ্ন তোলে। এর ফলে জনগণের আইনি বিশ্বাস ক্ষুণ্ন হয়।

‎জনপ্রিয় মিডিয়া ব্যক্তিত্ব তৌহিদ আফ্রিদির গ্রেফতার সামাজিক ও মানবিক ক্ষতি ডেকে আনার আশঙ্কাও প্রকাশ করা হয়েছে। মামলায় এখন পর্যন্ত কোনো দোষ প্রমাণিত হয়নি।

‎আসামীদের আইনজীবী আরও বলেন, “রাষ্ট্রপক্ষ শুনানিতে প্রমান দাখিল করতে পারেনি, তবে আমরা আইনের প্রতি বিশ্বাস রেখে সঠিক তদন্তের মাধ্যমে জামিন পাওয়ার আশা রাখছি।”

Tag :
জনপ্রিয়

নিয়োগ বঞ্চিত নিবন্ধন পরীক্ষায় আইসিটি উত্তীর্ণরা, পড়ে আছে হাজারো শূন্যপদ

“তৌহিদ আফ্রিদি ও তার বাবার বিরুদ্ধে মামলা: বাদীর হলফনামা সত্ত্বেও গ্রেফতার ও রিমান্ড নিয়ে ‎আইনি বিতর্ক”

প্রকাশিত ০৫:৩৮:৫০ অপরাহ্ন, সোমবার, ১ সেপ্টেম্বর ২০২৫

মো: সাব্বির হোসেন, ঢাকা : বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে গত বছরের ৫ আগস্ট যাত্রাবাড়ী থানাধীন রাস্তায় আন্দোলনে অংশ নেন মো. আসাদুল হক বাবু। ঘটনার দিন বেলা আড়াইটার দিকে আসাদুলের বুকে ও ডান পাশে গুলি লাগে। পরে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

‎হত্যা মামলায় আগে নাসির উদ্দিন সাথী ও পরে তার ছেলে তৌহিদ আফ্রিদি গ্রেপ্তার হন। এ ঘটনায় গত বছরের ৩০ আগস্ট যাত্রাবাড়ী থানায় হত্যা মামলা করেন নিহতের বাবা বাদী জয়নাল আবেদীন। এ মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ২৫ জনকে আসামি করা হয়। এ মামলায় নাসির উদ্দিন সাথী ২২ নম্বর ও তাঁর ছেলে তৌহিদ আফ্রিদি ১১ নম্বর এজাহারনামীয় আসামি।

‎নিহতের বাবা জয়নাল আবেদীন মামলার বাদী আদালতে স্বীকার করেন যে, ভুলবশত তাদের নাম আসামী করা হয়েছে এবং তারা এ ঘটনায় সম্পৃক্ত নন। বাদীর এই হলফনামা আদালত গ্রহণ করলেও পুলিশের পক্ষ থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয় এবং পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়।

‎আসামীদের আইনজীবী মোর্শেদ হোসেন শাহীন বলেন, “বাদীর হলফনামা আদালতে গ্রহণের পরও গ্রেফতার ও রিমান্ড প্রক্রিয়া চালানো আইন ও ন্যায়বিচারের প্রতি অবজ্ঞাস্বরূপ এবং মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে। এটি অগ্রহণযোগ্য।”

‎আইন বিশেষজ্ঞদের মতে, বাদীর ভুল স্বীকার করার পরও রিমান্ড মঞ্জুর হওয়া মৌলিক আইনবিধির পরিপন্থী এবং এটি আইনের শাসন ও ন্যায়বিচারের প্রতি প্রশ্ন তোলে। এর ফলে জনগণের আইনি বিশ্বাস ক্ষুণ্ন হয়।

‎জনপ্রিয় মিডিয়া ব্যক্তিত্ব তৌহিদ আফ্রিদির গ্রেফতার সামাজিক ও মানবিক ক্ষতি ডেকে আনার আশঙ্কাও প্রকাশ করা হয়েছে। মামলায় এখন পর্যন্ত কোনো দোষ প্রমাণিত হয়নি।

‎আসামীদের আইনজীবী আরও বলেন, “রাষ্ট্রপক্ষ শুনানিতে প্রমান দাখিল করতে পারেনি, তবে আমরা আইনের প্রতি বিশ্বাস রেখে সঠিক তদন্তের মাধ্যমে জামিন পাওয়ার আশা রাখছি।”