মো: সাব্বির হোসেন, ঢাকা : বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে গত বছরের ৫ আগস্ট যাত্রাবাড়ী থানাধীন রাস্তায় আন্দোলনে অংশ নেন মো. আসাদুল হক বাবু। ঘটনার দিন বেলা আড়াইটার দিকে আসাদুলের বুকে ও ডান পাশে গুলি লাগে। পরে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
হত্যা মামলায় আগে নাসির উদ্দিন সাথী ও পরে তার ছেলে তৌহিদ আফ্রিদি গ্রেপ্তার হন। এ ঘটনায় গত বছরের ৩০ আগস্ট যাত্রাবাড়ী থানায় হত্যা মামলা করেন নিহতের বাবা বাদী জয়নাল আবেদীন। এ মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ২৫ জনকে আসামি করা হয়। এ মামলায় নাসির উদ্দিন সাথী ২২ নম্বর ও তাঁর ছেলে তৌহিদ আফ্রিদি ১১ নম্বর এজাহারনামীয় আসামি।
নিহতের বাবা জয়নাল আবেদীন মামলার বাদী আদালতে স্বীকার করেন যে, ভুলবশত তাদের নাম আসামী করা হয়েছে এবং তারা এ ঘটনায় সম্পৃক্ত নন। বাদীর এই হলফনামা আদালত গ্রহণ করলেও পুলিশের পক্ষ থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয় এবং পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়।
আসামীদের আইনজীবী মোর্শেদ হোসেন শাহীন বলেন, “বাদীর হলফনামা আদালতে গ্রহণের পরও গ্রেফতার ও রিমান্ড প্রক্রিয়া চালানো আইন ও ন্যায়বিচারের প্রতি অবজ্ঞাস্বরূপ এবং মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে। এটি অগ্রহণযোগ্য।”
আইন বিশেষজ্ঞদের মতে, বাদীর ভুল স্বীকার করার পরও রিমান্ড মঞ্জুর হওয়া মৌলিক আইনবিধির পরিপন্থী এবং এটি আইনের শাসন ও ন্যায়বিচারের প্রতি প্রশ্ন তোলে। এর ফলে জনগণের আইনি বিশ্বাস ক্ষুণ্ন হয়।
জনপ্রিয় মিডিয়া ব্যক্তিত্ব তৌহিদ আফ্রিদির গ্রেফতার সামাজিক ও মানবিক ক্ষতি ডেকে আনার আশঙ্কাও প্রকাশ করা হয়েছে। মামলায় এখন পর্যন্ত কোনো দোষ প্রমাণিত হয়নি।
আসামীদের আইনজীবী আরও বলেন, “রাষ্ট্রপক্ষ শুনানিতে প্রমান দাখিল করতে পারেনি, তবে আমরা আইনের প্রতি বিশ্বাস রেখে সঠিক তদন্তের মাধ্যমে জামিন পাওয়ার আশা রাখছি।”