রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলায় আনসার ভিডিপি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অফিস ফাঁকিসহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। মাঠে না গিয়েও টিএডিএ টাকা তুলে নিয়েছেন।
সরেজমিনে বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০ টায় তাঁর অফিসে গেলে তাকে পাওয়া যায় না। অফিম থেকে বের হয়ে প্রায় দেড় ঘণ্টা পর তিনি রংপুর থেকে প্রায় সাড়ে ১১ টার সময় তিনি অফিসে আসেন। গত ২৮ আগস্ট তাঁর অফিসে গেলে তাকে পাওয়া যায় না। তাঁর অফিসে বৈদ্যুতিক পাখা ঘুরছে অফিসে কেউ নেই।
সেবা প্রত্যাশী মাহমুদা বেগম, বুদা,রাজু,মমিনুল, হাফিজারসহ একাধিক ব্যক্তি এসে ঘুরে যান। তাদেরকে জিজ্ঞাসা করলে তাঁরা জানান আমরা এসেছিলাম আমাদের কাজে কিন্তু কর্মকর্তার দেখা না পেয়ে আমরা ফিরে যাচ্ছি।
হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারি প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত উম্মে হাবিবা জানান, আমি এ ধরনের কোন মেসেজ পাইনি। পূজামণ্ডপে কবে লোক নিয়োগ করা হবে।
এছাড়াও বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) এ উপজেলার ৫৫ টি পূজামণ্ডপের জন্য ৩৮৮ জন বাছাই করা হয়েছে। ব্যাপক প্রচারপ্রচারনার নিয়ম থাকলেও তিনি তা না করে ইউনিয়ন কমাণ্ডারদের নিয়ে তাঁর মনোনিত লোকদেরকে নিয়ে এসে তিনি পূজামণ্ডপের আনসার নিয়োগ চূড়ান্ত করেছেন।
এর আগেও সাবেক আনাসার আনসার ভিডিপির কর্মকর্তারা মাইকিংসহ সোসাল মিডিয়ায় প্রচারনা চালাতেন। এ বিষয়ে পুরুষ প্রশিক্ষক সফিক বলেন, ‘গত বছর মাইকিং করতে আমার পকেটের ১ হাজার টাকা গিয়েছে কিন্তু টাকাটা না পাওয়ার কারণে এ বছর আমরা প্রচারনা চালাইনি।
উপজেলা আনসার ভিডিপি কর্মকর্তা নাহিদা রহমান জানান, আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ আছে সেখানেই আমরা প্রচারনা চালিয়েছি। এর মাধ্যমে আমাদের পূজামণ্ডপের আনসার ভিডিপির সদস্যদের নিয়োগ সম্পন্ন হয়েছে।
তারাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মোঃ রুবেল রানাকে ফোন দিলে তিনি ফোন রিসিভ না করায় তাঁর মন্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।