নিজস্ব প্রতিনিধিঃ ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নজরুল হামিদ মিলনায়তনে এফবিসিসিতে এই স্বার্থ সংরক্ষণ পরিষদের ব্যানারে একটি সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সংবাদ সম্মেলনে দৈনিক স্বদেশ বিচিত্রা এর ফটো সাংবাদিক এবং রূপসীবাংলা ৭১ ডট কম এর সম্পাদক,সাংবাদিক সংগঠন “সজন” এর সদস্য গৌতম কুমার এদবর নিউজ কাভারেজের জন্য ভিডিও ধারণ করছিলেন এবং একটি প্রশ্ন করেছিলন। সংবাদ সম্মেলনের শেষ অংশে হঠাৎ করে প্রেস রিলিজ নেওয়ার জন্য গৌতম কুমার এদবর এর ক্যামেরার সামনে একজন সাংবাদিক চলে আসেন। পিছন থেকে তাকে দেখা না যাওয়ার কারণে তাকে চেনা যাইনি। এসময় গৌতম কুমার এদবরই নয়, অন্যান্য ক্যামেরা পার্সনরা তাকে সরে যেতে বলেন কিন্তু গৌতম কুমার এদবর ছিলো একেবারে সামনে সারিতে বসা।সাংবাদিক রাশেদুল হক কে সরতে বলায় হলেও তিনি সামনে থেকে না সরে ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়ে প্রশ্ন করতে থাকেন তুমি কে, তুমি আমাকে চিনো? তোমাদের এখানে ঢুকতে দিয়েছে কে, এখনই এখান থেকে বের হ। সাংবাদিক গৌতম কুমার এদবর তার দিকে তাকিয়ে কথা বলায় ক্যামেরা তার দিকে ঘুরে যায় তাতেই তিনি ক্ষেপে যান এবং ক্যামেরার উপর থাবা মারেন, গৌতম কুমার এদবর এর হাতে থাকা মোবাইল ঋিনিয়ে নিয়ে নেয়। এবং চড় থপ্পর মারতে থাকে এ সময় সংবাদ কাভারেজ করতে আসা অন্যান্য সাংবাদিকরা এগিয়ে আসেন কিন্তু তাদের সামনেও তিনি চড় থাপ্পর মারতে মারতে টেনে হেঁচতে বের করে নেন, তিনি চিৎকার করে বলেন ওর সাহস কত বড় আমাকে সরে যেতে বলে।। তিনি হলেন ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন ডিইউজের সহ-সভাপতি এবং ডিআরইউ এর সদস্য রাশেদুল হক।
হল থেকে টেনে হিছড়ে বাহিরে নেওয়া হলে নজরুল হামিদ মিলনায়তনের সামনে এ নিয়ে সমকাল পত্রিকার সাংবাদিক যিনি ডিআরইউ এর সদস্য এ বিষয়ে রাশেদুল হককে জিজ্ঞেস করে আপনি কেন মারছেন অন্যায় হলে তার বিচার করেন তখন তিনি মোবাইল ক্যামেরায় ভিডিও ধারণ করেন এবং গৌতম কুমার কি অন্যায় করেছে তাকে কেন মারা হচ্ছে সেটি জিজ্ঞেস করেন। এ সময় রাশেদুল হক সহ তিন/চার জন সাংবাদিক ও স্টাফরা মিলে সমকালের সাংবাদিক ও ডিআরইউ এর সাংবাদিক কে ওই কিল ঘুষি মারেন এবং টেনে হিছড়ে তাকে ভুয়া সাংবাদিক বলে বাইরে বের করে নিয়ে যান তিনি ওই সময় বলতে থাকেন আমি ডিআরইউ এর মেম্বার । তার কথায় কর্ণপত না করে তাকে ভুয়া সাংবাদিক বলে মারতে মারতে টেনে হিঁচড়ে ডিয়ারইউর এর অফিস রুমে নিয়ে যায়। এ সময় গৌতম কুমারের এববর সমকালের সাংবাদিক কে সাহায্য করতে গেলে বলে তুই আবার কেন আসছিস? এই বলে আরও মারতে থাকে। তখন সমকালের সাংবাদিক কে মারতে মারতে চার তলায় নিয়ে যায় এবং মোবাইলে ধারনকৃত সকল ভিডিও ডিলিট করে। পরবর্তীতে জানা যায় যে মেরে টেনে হিছড়ে নেওয়া ব্যক্তি সমকালের সাংবাদিক এবং ডিআরইউ এর মেম্বার, তখন তার কাছে সকলে মাপ চেয়ে বিষয়টা মীমাংসা করে নেন।
এর পরক্ষনেই গৌতম কুমারের এদবর ডিআরইউ্’র তৃতীয় তালায় একটি সংবাদ সংগ্রহে গেলে উপরে ডেকে নেওয়া হয়। এ সময় কয়েকজন সাংবাদিক জিজ্ঞেস করেন রাশেদুল হককে কেন মারতে গিয়েছেন।গৌতম কুমারের এদবর তখন জানায় তাকে শুধু ক্যামেরার সামনে থেকে সরে যেতে বলা হয়েছে তখন ক্যামেরা ঘুরে যাওয়ায় রাশেদুল সাহেব ও ান্যরা মিলেি তাকে মারছে। গৌতম কুমার বলেন সকল সাংবাদিকগণ ছিলো যদি কারো কাচে কোন ফুটেজ থাকে তাহলে সব শাস্তি মাথা পেতে নিবো।
এ সময় সমকালের সাংবাদিক ডিআরইউ এর মেম্বার তিনি জানান যে গৌতম কুমার কোন খারাপ আচরণ করেন নাই, আমি গৌতম কুমারকে আগে চিনিও না, তাকে অন্যায়ভাবে সকলের সমনে মারা হচ্ছে যেটা সাংবাদিক হিসেব ন্যায় হয়নি বিধায় আমি প্রতিবাদ করেছি।সে কোন খারাপ আচরণ করেনি।
কিন্তু রাশেদুল হক সাহেবের সাথে যারা মারামারিতে অংশগ্রহণ করেছিলেন তাদের একজন বলেন গৌতম কুমার রাশেদুল হকের উপর মার মুখী হয়েছেন। বিষয়টি সম্পূর্ণ মিথ্যা যেটি সমকালের সাংবাদিক বারবার বলছিলেন। সমকালের সাংবাদিক ডিআরইউ এর সদস্য তিনি সাংবাদিক গৌতম কুমার এদবরের উপর অন্যায় নির্যাতন এ বিষয়ে প্রতিবাদ করতে গিয়ে তিনিও মার ধরের শিকার হন।
উক্ত বিষয়ে ডিআরইউ এর সভাপতি আবু সালেহ আকন ভাই কে ফোন করা হলে তিনি জানান তিনি একটি মিটিংয়ে আছেন এবং পরে সাধারণ সম্পাদক সোহেল ভাই কে ফোন করে জানানো হলে তিনি বলেন বিষয়টি দেখবেন। ডিআরইউতে এর পর সিলেক্টেট সাংবাদিকরাই নিউজ কাভারেজ করবে, মারামারির বিষয় বল হলে তিনি জানান এটি দুঃখজনক। লিখিত অভিযোগ দেওয়ার কথা বললে তিনি জানান এ বিষয়টা তিনি দেখবেন। বিষয়টি সংবাদ সম্মেলন স্থল হওয়ায় সকল সাংবাদিক এবং সকল সংস্থার প্রতিনিধিদের সামনেই ঘটেছে। একজন মিডিয়া কর্মী হিসেবে গৌতম কুৃমার এবর সকল দল/সংগঠনের সংবাদ কাভারেজ দিয়ে থাকে। বিষয়টা নিয়ে সাংবাদিক মহল কিছুটস বিস্মিত একজন ভালো মিডিয়া কর্মীকে সবার সামনে এভাবে মার-ধর করটা বড় অন্যায় ও ক্ষমতার দাপট বলে মনে করেন।