১৩ আগস্ট ২০২৫ তারিখ আনুমানিক ০০৪৫ ঘটিকায় দিনাজপুর ব্যাটালিয়ন (৪২ বিজিবি) এর অধীনস্থ ফকিরগঞ্জ বিওপি এর দায়িত্বপূর্ণ সীমান্ত পিলার ৩৪২/এমপি বরাবর ভারতের অভ্যন্তরে হতে ০৮ জন (০১ জন পুরুষ, ০৫ জন মহিলা এবং ০২ জন শিশু) বাংলাদেশী নাগরিককে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে পুশ ইন করে। উক্ত ঘটনার প্রেক্ষিতে কার্তব্যরত বিজিবি টহল দল বাংলাদেশের অভ্যন্তর হতে পুশ ইনকৃত নিম্নবর্ণিত ০৮ জন বাংলাদেশী নাগরিককে আটক করতে সক্ষম হয়ঃ
ক। মোঃ হোসেন শেখ (১৩), পিতা-মোঃ আকমল শেখ,
খ। মোঃ হাসনেন শেখ (১২), পিতা-মোঃ আকমল শেখ,
গ। সাবানা শেখ (৪৫), স্বামী-মোঃ আকমল শেখ,
ঘ। মোছাঃ মিনু বেগম (৪৮), স্বামী-মৃত বাবুল,সকলের গ্রাম-কোদালে বটতলা, পোস্ট-লেবু তলা, থানা-কোতয়ালি, জেলা-যশোর।
ঙ। মোছাঃ মনোয়ারা বেগম (৬০), স্বামী-আব্দুল হক,
চ। মোঃ সালমান (২৮), পিতা-আব্দুল হক,
ছ। মোছাঃ আছিয়া (২৫), পিতা- তোতা শেখ,সকলের গ্রাম-পুলকান্দি, পোস্ট-ইসলামপুর, থানা-ইসলামপুর, জেলা-জামালপুর।
জ। মোছাঃ জোসনা আক্তার (৩১), পিতা-মোঃ জাবেদ আলী, গ্রাম-বিষ্ণুপার, পোস্ট-পাহাড়পুর, থানা-আটপাড়া, জেলা-নেত্রকোনা।
আটককৃত ব্যক্তিদেরকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় তারা কাজের সন্ধানে ইতিপূর্বে (১৬ মাস হতে ১৫ বছর সময়কালে) দালালের মাধ্যমে সীমান্ত এলাকা দিয়ে বাংলাদেশ হতে মুম্বাই, ভারতে গমন করেছিল। আনুমানিক ০৮-১০ দিন পূর্বে মুম্বাই পুলিশ কর্তৃক তাদেরকে গ্রেফতার করতঃ গত ১২ আগস্ট ২০২৫ তারিখ সীমান্ত এলাকায় নিয়ে আসে।
আটককৃতদের আত্মীয় স্বজনদের মাধ্যমে বাংলাদেশী জাতীয় পরিচয় পত্র, জন্ম নিবন্ধন সনদপত্র এবং অন্যান্য নথিপত্র যাচাই বাছাই করতঃ নাগরিকত্ব সঠিক হওয়ায় তাদেরকে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ঠাকুরগাঁও জেলার পীরগঞ্জ থানায় হস্তান্তরের কার্যক্রম চলমান। উল্লেখ্য, বর্ণিত ঘটনার প্রতিবাদে বিজিবি এর পক্ষ হতে ১৩ জুলাই ২০২৫ তারিখ বিজিবি বিএসএফ কোম্পানী কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বিজিবি কর্তৃক সীমান্তবর্তী এলাকায় সীমান্ত সংক্রান্ত অপরাধ সমূহ হ্রাস করতে নিরবিচ্ছিন্নভাবে কার্যক্রম চালিয়ে আসছে। সীমাজে মানব পাচার এবং অবৈধ অনুপ্রবেশ রোধে তথ্য প্রদান করে সহায়তা প্রদান করার জন্য বিজিবি কর্তৃপক্ষ কর্তৃক সকলকে অনুরোধ করা হয়েছে মর্মে জানিয়েছেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বিজিবি ফকিরগঞ্জ।