স্বদেশ বিচিত্রা,জেলা প্রতিনিধি : তীব্র তাপদাহের পর দুই দিনের টানা স্বস্তির বৃষ্টিতে বিভাগীয় নগরী রংপুরের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। নগরীর ২০টি মহল্লা প্রায় হাঁটু নিচ পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় দুর্ভোগে পরেছেন এলাকাবাসী।
মঙ্গলবার (২০ মে) সকাল সাড়ে এগারোটা পর্যন্ত বৃষ্টিপাতের পরিমাপ ১৪১ মিলিমিটার রেকর্ড এবং দুইদিন ২২৬ মিলিমিটার রেকর্ড করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন রংপুর আবহাওয়া অফিস।
সরেজমিনে রংপুর নগরীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, বিভিন্ন ক্যানেল,জলাবদ্ধতায় ড্রেন ভরাট হয়ে এলাকায় দুর্ভোগের সৃষ্টি হয়েছে।
রংপুর নগরীর গোমস্তপাড়া শ্যামাসুন্দরীর ক্যানেলে বৃষ্টির পানি জমে উপচে গিয়ে বসতবাড়িতে প্রবেশ করেছে। এতে করে ময়লা- আবর্জনার দূষিত পানিতে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন স্থানীয়রা।
এলাকাবাসী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, শ্যামা সুন্দরী আমাদের চোখের বালি। নগরীর ফুসফুস নাকি শ্যামা সুন্দরী কিন্তু এটা দীর্ঘ বছর ধরে অবহেলিত। এত উন্নয়ন হয় আমাদের কোন উন্নয়ন নাই। এই শ্যামা সুন্দরী খনন খুব জরুরি, ময়লা আবর্জনায় ভর্তি হয়ে একটু ভারী বৃষ্টিতেই উপচে গিয়ে পুরা এলাকা তলিয়ে যায়। কবে যে এই অভিশাপ থেকে মুক্তি পাবো আমরা জানি না।
এদিকে রংপুর নগরীর মুলাটোল,বাবুখাঁ, গোমস্তপাড়া,মুন্সিপাড়া,জুম্মাপাড়া,হনুমান তলাসহ কমপক্ষে ২০টি মহল্লা এক থেকে দেড় ফুট পানিতে প্লাবিত হয়েছে। এতে দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন হাজারো মানুষ।
এদিকে শুধু শহরেে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত নয়,দুইদিনের বৃষ্টিতে গ্রামে পানিবৃদ্ধির ফলে তলিয়ে যাচ্ছে। অনবরত টানা বৃষ্টির ফলে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হবে বলে চিন্তিত কৃষকরা।
এ বিষয়ে,রংপুর আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ মোস্তাফিজার রহমান জানান, রংপুরে গত দুই দিনে ২২৬ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। আজও বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছেন তিনি।
ভারীবৃষ্টিপাতে বিপদসীমা নিয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) কন্ট্রোল রুম সূত্রে জানা গেছে, দুইদিনের অবিরাম বর্ষণের কারণে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে। তবে এখনও বিপদসীমার অনেক নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে আকস্মিক অবিরাম বৃষ্টিতে চরাঞ্চলের অনেক এলাকা প্লাবিত হওয়ায় ধানক্ষেতসহ রবিশস্যের অনেক ক্ষতি হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
স্বদেশ বিচিত্রা/এআর