১০:২৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ০১ জুন ২০২৫, ১৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
কালাই (জয়পুরহাট) প্রতিনিধি :

জয়পুরহাটে শিশু রদিয়ার মরদেহ উদ্ধার: সৎ মায়ের দায় স্বীকার

  • প্রকাশিত ০৩:১০:৫৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩১ মে ২০২৫
  • ৯১ বার দেখা হয়েছে

নিখোঁজের সাত দিন পর জয়পুরহাটের কালাই উপজেলার হিমাইল গ্রাম থেকে চার বছর বয়সী শিশু রদিয়া আক্তার ওহির অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এই ঘটনায় শুক্রবার দুপুরে শিশু রদিয়ার সৎ মা সোনিয়া, চাচা রনি এবং সোনিয়ার বাবা জিয়া কসাইকে কালাই থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন তাঁরা। আর হত্যার দায় স্বীকার করেন শিশু রদিয়ার সৎ মা সোনিয়া।

তাঁদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে শুক্রবার রাতে অভিযান চালিয়ে শিশুটির লাশটি উদ্ধার করা হয়। শিশু রদিয়া জয়পুরহাটের কালাই উপজেলার হিমাইল গ্রামের আব্দুর রহমানের মেয়ে। রদিয়ার মায়ের নাম আর্জিনা। আর্জিনার বাবার বাড়ি একই গ্রামে। স্বামীর বাড়ির অদূরে। শিশু রদিয়াকে সাথে নিয়ে তিনি সেখানেই থাকেন।

জানা গেছে, গত ২৪ মে দুপুরে নানার বাড়ি থেকে এ কয় গ্রামে অবস্থিত দাদা-দাদির বাড়িতে বেড়াতে গেলে সৎ মা সোনিয়া কৌশলে শিশু রদিয়াকে ঘরে ডেকে নেয়। এরপর তাকে বালিশচাপা দিয়ে হত্যা করেন। পরে মরদেহ পায়খানার সেফটিক ট্যাংকে ফেলে রাখেন। ঘটনার সময় শিশুটির বাবা মাঠে ধান কাটতে ও দাদা-দাদি ঘাস আনতে গিয়েছিলেন।
শিশুটি প্রতিদিনই দাদা-দাদির বাড়িতে যেত, যা তাঁর নানার বাড়ি থেকে ১-২ মিনিটের হাঁটার পথ।
এ ঘটনায় এলাকায় শোক ও ক্ষোভ বিরাজ করছে।

Tag :
জনপ্রিয়

৮ বছরের লড়াইয়ের ফসল — ব্ল্যাক বেল্ট অর্জন করলেন ‘স্টিং বোরহান’, সামনে নিজস্ব মার্শাল আর্ট একাডেমির ঘোষণা

কালাই (জয়পুরহাট) প্রতিনিধি :

জয়পুরহাটে শিশু রদিয়ার মরদেহ উদ্ধার: সৎ মায়ের দায় স্বীকার

প্রকাশিত ০৩:১০:৫৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩১ মে ২০২৫

নিখোঁজের সাত দিন পর জয়পুরহাটের কালাই উপজেলার হিমাইল গ্রাম থেকে চার বছর বয়সী শিশু রদিয়া আক্তার ওহির অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এই ঘটনায় শুক্রবার দুপুরে শিশু রদিয়ার সৎ মা সোনিয়া, চাচা রনি এবং সোনিয়ার বাবা জিয়া কসাইকে কালাই থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন তাঁরা। আর হত্যার দায় স্বীকার করেন শিশু রদিয়ার সৎ মা সোনিয়া।

তাঁদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে শুক্রবার রাতে অভিযান চালিয়ে শিশুটির লাশটি উদ্ধার করা হয়। শিশু রদিয়া জয়পুরহাটের কালাই উপজেলার হিমাইল গ্রামের আব্দুর রহমানের মেয়ে। রদিয়ার মায়ের নাম আর্জিনা। আর্জিনার বাবার বাড়ি একই গ্রামে। স্বামীর বাড়ির অদূরে। শিশু রদিয়াকে সাথে নিয়ে তিনি সেখানেই থাকেন।

জানা গেছে, গত ২৪ মে দুপুরে নানার বাড়ি থেকে এ কয় গ্রামে অবস্থিত দাদা-দাদির বাড়িতে বেড়াতে গেলে সৎ মা সোনিয়া কৌশলে শিশু রদিয়াকে ঘরে ডেকে নেয়। এরপর তাকে বালিশচাপা দিয়ে হত্যা করেন। পরে মরদেহ পায়খানার সেফটিক ট্যাংকে ফেলে রাখেন। ঘটনার সময় শিশুটির বাবা মাঠে ধান কাটতে ও দাদা-দাদি ঘাস আনতে গিয়েছিলেন।
শিশুটি প্রতিদিনই দাদা-দাদির বাড়িতে যেত, যা তাঁর নানার বাড়ি থেকে ১-২ মিনিটের হাঁটার পথ।
এ ঘটনায় এলাকায় শোক ও ক্ষোভ বিরাজ করছে।