বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল নোয়াখালী জেলা শাখার নতুন কমিটি শিগগিরই ঘোষণা হতে যাচ্ছে। ইতোমধ্যেই জেলা জুড়ে ব্যাপক আলোচনার বিষয় হয়ে উঠছে এটি। কে আসছেন নেতৃত্বে এ নিয়ে চলছে ব্যাপক আলোচনা। বিশেষ করে সাংগঠনিক সম্পাদক পদে একক প্রার্থী হওয়ায় আলোচনার শীর্ষে রয়েছেন নোয়াখালী জেলা ছাত্রদলের সদ্য সাবেক যুগ্ম সম্পাদক ও শহর ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক সাইফুল ইসলাম উজ্জল।

উজ্জল নোয়াখালী পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা। দীর্ঘদিনের আন্দোলন-সংগ্রামে অগ্রণী ভুমিকা রাখা এই ছাত্রনেতা বিএনপির রাজনীতি করতে গিয়ে হয়েছেন ২১টি মামলার আসামি। একাধিকবার রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে তাকে। কারাভোগ করেছেন পাঁচবার। এমনকি তিনবার গুরুতর হামলার স্বীকার হয়েছেন। দীর্ঘদিন ছিলেন ফেরারী। তৃণমূলের জনপ্রিয় এই নেতার রয়েছে নিজস্ব শক্তিশালী কর্মীবাহিনী। জেলা বিএনপি নেতৃবৃন্দের কাছেও তিনি স্মেহভাজন। বিএনপির প্রতিটি কর্মসূচিতে বিশেষত ৫ তারিখের পরে হরতাল-অবরোধে উজ্জলের ছিলো সরব উপস্থিতি। ২৪ এর গনঅভ্যুত্থানে তিনি ছাত্রসমাজকে সংগঠিত করে নোয়াখালী তে নেতৃত্ব দিয়েছেন। নোয়াখালীর তৎকালীন সমন্বয়কদের সাথে কথা বলে আমরা বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছি। ২৪ এর আন্দোলন করতে গিয়ে ছাত্রলীগ এবং পুলিশের টার্গেটে পড়ে বাড়ি ঘরে থাকতে পারেননি এই ছাত্রনেতা। বিভিন্ন কৌশলে তিনি ৫ আগষ্ট পর্যন্ত প্রতিদিন তার লোকজন নিয়ে প্রোগ্রামে উপিস্তিত হতেন। কেন্দ্রীয় সংসদের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন নাসিরের ঘনিষ্ঠ সাইফুল ইসলাম উজ্জল ঢাকার রাজপথে ২৮ অক্টোবরের ঐতিহাসিক আন্দোলনে সামনের সারিতে থেকে লড়েছেন। তার সে সময়ের ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছিলো। একইভাবে সোনাপুর অঞ্চলেও আওয়ামী নেতাকর্মীদের প্রতিরোধে নেতৃত্ব দিয়ে আলোচনায় আসেন তিনি। জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের ছাত্রদল কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে—তাদের প্রত্যাশা, আসন্ন জেলা ছাত্রদলের কমিটিতে কারা-নির্যাতিত, দুঃসময়ের রাজপথের লড়াকু সৈনিক, কর্মীবান্ধব, জনপ্রিয় ছাত্রনেতা সাইফুল ইসলাম উজ্জলকে সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে দেখতে চান তারা। বর্তমানে সাইফুল ইসলাম উজ্জল বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে উচ্চমাধ্যমিক স্তরে পড়াশোনা করছেন।