১০:৪৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৬ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
আলি হোসেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর প্রতিনিধি

চাঁপাইনবাবগঞ্জে পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের বিরুদ্ধে গ্রাহক হয়রানির অভিযোগ

  • প্রকাশিত ১২:৩৫:২৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • ৫ বার দেখা হয়েছে

চাঁপাইনবাবগঞ্জের পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির মহারাজপুর সাব জোনাল অফিসের সহকারী জেনারেল ম্যানেজার (এজিএম) শেখর চন্দ্র সাহা ও ওয়ারিং পরিদর্শক মো. রবিউল ইসলামের বিরুদ্ধে গ্রাহকদের ব্যাপক হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগকারীদের দাবি, নিয়মবহির্ভূতভাবে মিটার সংযোগের শত শত আবেদন তারা বাতিল করে দিয়েছেন। এতে সাধারণ গ্রাহকরা ভোগান্তিতে পড়েছেন এবং তাদের অর্থ ও সময় দুটোই নষ্ট হয়েছে।

ভুক্তভোগী গ্রাহকরা জানান, মিটার সংযোগের জন্য প্রয়োজনীয় সব কাগজপত্র জমা দেওয়ার পরও এজিএম ও ওয়ারিং পরিদর্শক কোন সুস্পষ্ট কারণ ছাড়াই আবেদন বাতিল করে দিচ্ছেন। ফলে গ্রাহকদের বারবার আবেদন করতে হচ্ছে। নিয়ম অনুযায়ী একটি বাড়ির খানা আলাদা হলেও দেয়া হচ্ছে না পৃথক মিটার সংযোগ। এমনকি সরেজমিনে পরিদর্শন না করেও আবেদন বাতিল করার ঘটনা ঘটছে।

অভিযোগ উঠেছে, হয়রানীর শিকার গ্রাহকরা দফায় দফায় উর্দ্বতন কর্তৃপক্ষকে অভিযোগ দিলেও কোন সুরাহা মিলছে না। বরং অফিস থেকে জোরপূর্বক লোড বাড়িয়ে অতিরিক্ত ডিমান্ড চার্জ আদায় করছে। এতে চরম বেকায়দায় পড়েছেন নিম্ন আয়ের খেটে-খাওয়া দিনমজুর শ্রেণীর মানুষরা। অফিসের আশ্বাসে বাড়ির ওয়ারিং কাজ সম্পন্ন করে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন সংযোগের জন্য আবেদন দেয়া ব্যক্তিরা।

অনুসন্ধানে জানা যায়, ব্যক্তিগত সংযোগের পাশাপাশি বিভিন্ন শিক্ষা ও সামাজিক-ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলোও হয়রানির কবল থেকে রেহাই পাচ্ছে না। নিয়ম বর্হিভূতভাবে অতিরিক্ত অর্থ হাতিয়ে নিতে আবেদন বাতিল করছে মহারাজপুর সাব জোনাল অফিসের কর্মকর্তারা। এনিয়ে প্রায় প্রতিদিনই সাব জোনাল অফিসের সামনে এসে ভিড় করছেন ভুক্তভোগী গ্রাহকরা। অতিরিক্ত উৎকোচ নেয়ারও অভিযোগ হয়রানির শিকার গ্রাহকদের একাংশের।

এনিয়ে কথা বলতে মহারাজপুর এজিএম শেখর চন্দ্র সাহার অফিস কক্ষে গেলে তাকে পাওয়া যায়নি। অফিসের অন্যান্য স্টাফরা জানান, তিনি ছুটিতে রয়েছেন। অন্যদিকে, অফিসে সাংবাদিক প্রবেশ দেখে সটকে পড়েন ওয়ারিং পরিদর্শক রবিউল ইসলাম। পরে তাকেও পাওয়া যায়নি।

এবিষয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জের পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার হাওলাদার মো. ফজলুর রহমান বলেন, পবিস কর্মীদের গণছুটি কর্মসূচিতে আমাদের কাজে ব্যাঘাত ঘটছে। এরমধ্যে গ্রাহকদের হয়রানির অভিযোগের বিষয়টি আমার জানা নেই। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। তবে স্থানীয় ইলেকট্রনিক মিস্ত্রিদের কারনে গ্রাহকদের নানারকম হয়রানীতে পড়তে হয় বলে পাল্টা অভিযোগ করেন তিনি।

Tag :
জনপ্রিয়

ইন্দুরকানিতে সরকারি জমিতে আওয়ামীলীগ নেতার ভবন উচ্ছেদ করল প্রশাসন

আলি হোসেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর প্রতিনিধি

চাঁপাইনবাবগঞ্জে পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের বিরুদ্ধে গ্রাহক হয়রানির অভিযোগ

প্রকাশিত ১২:৩৫:২৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫

চাঁপাইনবাবগঞ্জের পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির মহারাজপুর সাব জোনাল অফিসের সহকারী জেনারেল ম্যানেজার (এজিএম) শেখর চন্দ্র সাহা ও ওয়ারিং পরিদর্শক মো. রবিউল ইসলামের বিরুদ্ধে গ্রাহকদের ব্যাপক হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগকারীদের দাবি, নিয়মবহির্ভূতভাবে মিটার সংযোগের শত শত আবেদন তারা বাতিল করে দিয়েছেন। এতে সাধারণ গ্রাহকরা ভোগান্তিতে পড়েছেন এবং তাদের অর্থ ও সময় দুটোই নষ্ট হয়েছে।

ভুক্তভোগী গ্রাহকরা জানান, মিটার সংযোগের জন্য প্রয়োজনীয় সব কাগজপত্র জমা দেওয়ার পরও এজিএম ও ওয়ারিং পরিদর্শক কোন সুস্পষ্ট কারণ ছাড়াই আবেদন বাতিল করে দিচ্ছেন। ফলে গ্রাহকদের বারবার আবেদন করতে হচ্ছে। নিয়ম অনুযায়ী একটি বাড়ির খানা আলাদা হলেও দেয়া হচ্ছে না পৃথক মিটার সংযোগ। এমনকি সরেজমিনে পরিদর্শন না করেও আবেদন বাতিল করার ঘটনা ঘটছে।

অভিযোগ উঠেছে, হয়রানীর শিকার গ্রাহকরা দফায় দফায় উর্দ্বতন কর্তৃপক্ষকে অভিযোগ দিলেও কোন সুরাহা মিলছে না। বরং অফিস থেকে জোরপূর্বক লোড বাড়িয়ে অতিরিক্ত ডিমান্ড চার্জ আদায় করছে। এতে চরম বেকায়দায় পড়েছেন নিম্ন আয়ের খেটে-খাওয়া দিনমজুর শ্রেণীর মানুষরা। অফিসের আশ্বাসে বাড়ির ওয়ারিং কাজ সম্পন্ন করে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন সংযোগের জন্য আবেদন দেয়া ব্যক্তিরা।

অনুসন্ধানে জানা যায়, ব্যক্তিগত সংযোগের পাশাপাশি বিভিন্ন শিক্ষা ও সামাজিক-ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলোও হয়রানির কবল থেকে রেহাই পাচ্ছে না। নিয়ম বর্হিভূতভাবে অতিরিক্ত অর্থ হাতিয়ে নিতে আবেদন বাতিল করছে মহারাজপুর সাব জোনাল অফিসের কর্মকর্তারা। এনিয়ে প্রায় প্রতিদিনই সাব জোনাল অফিসের সামনে এসে ভিড় করছেন ভুক্তভোগী গ্রাহকরা। অতিরিক্ত উৎকোচ নেয়ারও অভিযোগ হয়রানির শিকার গ্রাহকদের একাংশের।

এনিয়ে কথা বলতে মহারাজপুর এজিএম শেখর চন্দ্র সাহার অফিস কক্ষে গেলে তাকে পাওয়া যায়নি। অফিসের অন্যান্য স্টাফরা জানান, তিনি ছুটিতে রয়েছেন। অন্যদিকে, অফিসে সাংবাদিক প্রবেশ দেখে সটকে পড়েন ওয়ারিং পরিদর্শক রবিউল ইসলাম। পরে তাকেও পাওয়া যায়নি।

এবিষয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জের পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার হাওলাদার মো. ফজলুর রহমান বলেন, পবিস কর্মীদের গণছুটি কর্মসূচিতে আমাদের কাজে ব্যাঘাত ঘটছে। এরমধ্যে গ্রাহকদের হয়রানির অভিযোগের বিষয়টি আমার জানা নেই। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। তবে স্থানীয় ইলেকট্রনিক মিস্ত্রিদের কারনে গ্রাহকদের নানারকম হয়রানীতে পড়তে হয় বলে পাল্টা অভিযোগ করেন তিনি।