০৩:২৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৮ মে ২০২৫, ২৫ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সুজন ভট্টাচার্য্য,স্টাফ রিপোর্টারঃ

চট্টগ্রামে বিশ্ব গণমাধ্যম দিবসের বিশেষ আলোচনা সভা ও র‍্যালী অনুষ্ঠিত

  • প্রকাশিত ০৪:৩৮:১১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ মে ২০২৫
  • ১৮ বার দেখা হয়েছে

ব্রাইট বাংলাদেশ ফোরামের এর উদ্যোগে অ্যাকশন এইড বাংলাদেশ এর সহযোগিতায় “তথ্য হোক সত্য, গণমাধ্যম চাই মুক্ত” এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে আজ বৃহস্পতিবার ৮ মে দেশব্যাপী একযোগে পালিত হয়েছে বিশ্ব গণমাধ্যম দিবস। এরই অংশ হিসাবে আজ সকালে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের এস রহমান হলে এক আলোচনা সভা ও আলোকচিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়। শুরুতে একটি র‍্যালী চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব চত্ত্বর থেকে শুরু হয়ে ডা.খাস্তগীর স্কুলের সামনে দিয়ে আবার চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব চত্তরে এসে শেষ হয়। র‍্যালীর উদ্বোধন করেন চট্টগ্রাম আঞ্চলিক তথ্য অফিসের উপ-প্রধান তথ্য কর্মকরতা (পরিচালক) জনাব মো: সাঈদ হাসান।
উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন জনাব মো. সাঈদ হাসান ,উপপ্রধান তথ্য কর্মকর্তা (পরিচালক) আঞ্চলিক তথ‍্য অফিস
পিআইডি, চট্টগ্রাম । বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অধিকার এর চট্টগ্রাম এর ফোকাল পার্সন এবং দৈনিক আমার দেশ এর চট্টগ্রাম এর প্রতিনিধি জনাব ওসমান মো: জাহাঙ্গীর। সভাপতিত্ব করেন সোহাইল-উদ-দৌজা ম্যানেজার (প্রোগ্রাম)ব্রাইট বাংলাদেশ ফোরাম এবং অতিথি হিসেবে আরো উপস্থিত ছিলেন কমল চক্রবর্তী প্রেসিডেন্ট ,চট্টগ্রাম সিএসও হাব, সম্পাদক – চট্টলার কন্ঠ, আলী আশরাফ আজগরী
সাধারন সম্পাদক চট্টগ্রাম সিএসও হাব। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম সিএসও হাব’র নির্বাহী কমিটির সকল নেতৃবৃন্দ,সকল সিএসও হাবের প্রতিনিধিবৃন্দ এবং প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ।
পুরো অনুষ্ঠাননি পরিচালনা করেন লোকাল রাইটস প্রোগামের ম্যানেজার এবং সুশীল প্রকল্পের চট্টগ্রাম জেলা সমন্বয়কারী রিদুয়ানুল হাকীম রিয়াদ।
সার্বিক তত্ত্বাবধানে ও সহযোগিতায় ছিলেন ব্রাইট বাংলাদেশ ফোরামের স্পন্সরশীপ অফিসার বিষু চক্রবর্তী ও প্রোগ্রাম অফিসার পিকুল দাশ জয়।

১৯৯১ সালে ইউনেস্কোর ২৬তম সাধারণ অধিবেশনের সুপারিশ মোতাবেক ১৯৯৩ সালে জাতিসংঘের সাধারণ সভায় ৩ মে তারিখটিকে বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবসের স্বীকৃতি দেওয়া হয়। এরপর থেকেই বিশ্বব্যাপী গণমাধ্যম কর্মীরা এ দিবসটি পালন করে আসছে। এই দিবসটিতে সাংবাদিকতার স্বাধীনতা ও মুক্ত গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠার মৌলিক নীতিমালা অনুসরণ, বিশ্বব্যাপী গণমাধ্যমের স্বাধীনতার মূল্যায়ন, স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ প্রতিহত করার শপথ নেওয়ার পাশাপাশি ত্যাগী সাংবাদিকদের স্মরণ ও তাদের স্মৃতির প্রতি সম্মান জানানো হয়। এবারের বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবসের স্লোগান, ‘সাহসী নতুন বিশ্বে রিপোর্টিং-স্বাধীন গণমাধ্যমে এআই এর প্রভাব’।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন,রিদুয়ানুল হাকিম রিয়াদ ডিস্ট্রিক্ট কোর্ডিনেটর ,চট্টগ্রাম সুশীল,সোহাইল উদ্দৌজা ম্যানেজার (প্রোগ্রাম)ব্রাইট বাংলাদেশ ফোরাম, জনাব মো: সাইদ হাসান আঞ্চলিক পরিচালক, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন তথ্য অফিস।ওসমান জাহাংগীরডেইলি আমার দেশ, কমল চক্রবর্তী প্রেসিডেন্ট ,চট্টগ্রাম সিএসও হাব।সম্পাদক – চট্টলার কন্ঠ,আলী আশরাফ আজগরীসাধারন সম্পাদক ,চট্টগ্রাম সিএসও হাব এবং একশনইড বাংলাদেশ এর ইন্সপিরেটর নিধী চাকমা।

আলোচনা সভা শেষে মাল্টিমিডিয়া প্রেজেন্টেশন মাধ্যমে বিশ্ব গণমাধ্যম দিবসের উপর একটি বিশেষ প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়।
অনুষ্ঠানে বক্তারা একটা সুন্দর ও সুশৃঙ্খল দেশ গঠনে মুক্ত ও স্বাধীন গণ মাধ্যমের উপর গুরুত্ব আরোপ করেন। গণ মাধ্যম যদি শক্তিশালী হয় তবে গনতন্ত্র ও শক্তিশালী হবে মত প্রকাশ করেন। সাংবাদিকতা হতে হবে সত্য ও বস্তুনিষ্ঠতার উপর ভিত্তি করে। সাংবাদিকদের কলম যত মুক্ত ও স্বাধীন ভাবে চলবে ততই গণতন্ত্র মজবুত ভিত্তির ওপর দাঁড়াবে। বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবসের একটি সূচক তুলে ধরে বলেন, প্যারিস ভিত্তিক সংগঠন রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারসের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত ওয়ার্ল্ড প্রেস ফ্রিডম ইনডেক্স, ২০২৫ -এ ১৮০ দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান হয়েছে ১৪৯তম। ২০২৪ সালের মে মাসে প্রকাশিত সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ১৬৫তম। এবার ১৬ ধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ। রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারসের প্রতিবেদন অনুযায়ী এ বছর মুক্ত সংবাদ মাধ্যমের বিবেচনায় ১০০ নম্বরের মধ্যে বাংলাদেশ পেয়েছে ৩৩ দশমিক ৭১। যা গত বছর (২০২৪ সালে) ছিল ২৭ দশমিক ৬৪।বিশ্ব গণমাধ্যম সূচকে বাংলাদেশ এগিয়ে এসেছে এটা অবশ্যই মুক্ত গণমাধ্যমের জন্য আশার বানী। ভবিষ্যতে এই ধারা অব্যাহত রাখার উপর গুরুত্ব আরোপ করেন। বক্তারা চট্টগ্রাম সিএসও হাবকে একটা সুপার সপের সাথে তুলনা করেছেন। সুপার সপে একজন ক্রেতা যেমন সকল পন্যের সেবা পায় তেমনি সিএসও হাবের মাধ্যমে সকল সমস্যার সমাধান আসবে। এর মধ্য দিয়ে নারী অধিকার, সামাজিক মর্যাদা, সামাজিক নিরাপত্তা, আইনগত অধিকার ও বিভিন্ন সামাজিক এবং রাজনৈতিক সমস্যার সমাধান আসবে। সিএসও হাব সকল নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের নিয়ে একটি শক্তিশালী নেটওয়ার্ক তৈরি করবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

Tag :
জনপ্রিয়

আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে মানুষ ৫ই আগস্টেই রায় দিয়েছে -এবি পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান

সুজন ভট্টাচার্য্য,স্টাফ রিপোর্টারঃ

চট্টগ্রামে বিশ্ব গণমাধ্যম দিবসের বিশেষ আলোচনা সভা ও র‍্যালী অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত ০৪:৩৮:১১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ মে ২০২৫

ব্রাইট বাংলাদেশ ফোরামের এর উদ্যোগে অ্যাকশন এইড বাংলাদেশ এর সহযোগিতায় “তথ্য হোক সত্য, গণমাধ্যম চাই মুক্ত” এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে আজ বৃহস্পতিবার ৮ মে দেশব্যাপী একযোগে পালিত হয়েছে বিশ্ব গণমাধ্যম দিবস। এরই অংশ হিসাবে আজ সকালে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের এস রহমান হলে এক আলোচনা সভা ও আলোকচিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়। শুরুতে একটি র‍্যালী চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব চত্ত্বর থেকে শুরু হয়ে ডা.খাস্তগীর স্কুলের সামনে দিয়ে আবার চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব চত্তরে এসে শেষ হয়। র‍্যালীর উদ্বোধন করেন চট্টগ্রাম আঞ্চলিক তথ্য অফিসের উপ-প্রধান তথ্য কর্মকরতা (পরিচালক) জনাব মো: সাঈদ হাসান।
উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন জনাব মো. সাঈদ হাসান ,উপপ্রধান তথ্য কর্মকর্তা (পরিচালক) আঞ্চলিক তথ‍্য অফিস
পিআইডি, চট্টগ্রাম । বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অধিকার এর চট্টগ্রাম এর ফোকাল পার্সন এবং দৈনিক আমার দেশ এর চট্টগ্রাম এর প্রতিনিধি জনাব ওসমান মো: জাহাঙ্গীর। সভাপতিত্ব করেন সোহাইল-উদ-দৌজা ম্যানেজার (প্রোগ্রাম)ব্রাইট বাংলাদেশ ফোরাম এবং অতিথি হিসেবে আরো উপস্থিত ছিলেন কমল চক্রবর্তী প্রেসিডেন্ট ,চট্টগ্রাম সিএসও হাব, সম্পাদক – চট্টলার কন্ঠ, আলী আশরাফ আজগরী
সাধারন সম্পাদক চট্টগ্রাম সিএসও হাব। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম সিএসও হাব’র নির্বাহী কমিটির সকল নেতৃবৃন্দ,সকল সিএসও হাবের প্রতিনিধিবৃন্দ এবং প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ।
পুরো অনুষ্ঠাননি পরিচালনা করেন লোকাল রাইটস প্রোগামের ম্যানেজার এবং সুশীল প্রকল্পের চট্টগ্রাম জেলা সমন্বয়কারী রিদুয়ানুল হাকীম রিয়াদ।
সার্বিক তত্ত্বাবধানে ও সহযোগিতায় ছিলেন ব্রাইট বাংলাদেশ ফোরামের স্পন্সরশীপ অফিসার বিষু চক্রবর্তী ও প্রোগ্রাম অফিসার পিকুল দাশ জয়।

১৯৯১ সালে ইউনেস্কোর ২৬তম সাধারণ অধিবেশনের সুপারিশ মোতাবেক ১৯৯৩ সালে জাতিসংঘের সাধারণ সভায় ৩ মে তারিখটিকে বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবসের স্বীকৃতি দেওয়া হয়। এরপর থেকেই বিশ্বব্যাপী গণমাধ্যম কর্মীরা এ দিবসটি পালন করে আসছে। এই দিবসটিতে সাংবাদিকতার স্বাধীনতা ও মুক্ত গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠার মৌলিক নীতিমালা অনুসরণ, বিশ্বব্যাপী গণমাধ্যমের স্বাধীনতার মূল্যায়ন, স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ প্রতিহত করার শপথ নেওয়ার পাশাপাশি ত্যাগী সাংবাদিকদের স্মরণ ও তাদের স্মৃতির প্রতি সম্মান জানানো হয়। এবারের বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবসের স্লোগান, ‘সাহসী নতুন বিশ্বে রিপোর্টিং-স্বাধীন গণমাধ্যমে এআই এর প্রভাব’।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন,রিদুয়ানুল হাকিম রিয়াদ ডিস্ট্রিক্ট কোর্ডিনেটর ,চট্টগ্রাম সুশীল,সোহাইল উদ্দৌজা ম্যানেজার (প্রোগ্রাম)ব্রাইট বাংলাদেশ ফোরাম, জনাব মো: সাইদ হাসান আঞ্চলিক পরিচালক, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন তথ্য অফিস।ওসমান জাহাংগীরডেইলি আমার দেশ, কমল চক্রবর্তী প্রেসিডেন্ট ,চট্টগ্রাম সিএসও হাব।সম্পাদক – চট্টলার কন্ঠ,আলী আশরাফ আজগরীসাধারন সম্পাদক ,চট্টগ্রাম সিএসও হাব এবং একশনইড বাংলাদেশ এর ইন্সপিরেটর নিধী চাকমা।

আলোচনা সভা শেষে মাল্টিমিডিয়া প্রেজেন্টেশন মাধ্যমে বিশ্ব গণমাধ্যম দিবসের উপর একটি বিশেষ প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়।
অনুষ্ঠানে বক্তারা একটা সুন্দর ও সুশৃঙ্খল দেশ গঠনে মুক্ত ও স্বাধীন গণ মাধ্যমের উপর গুরুত্ব আরোপ করেন। গণ মাধ্যম যদি শক্তিশালী হয় তবে গনতন্ত্র ও শক্তিশালী হবে মত প্রকাশ করেন। সাংবাদিকতা হতে হবে সত্য ও বস্তুনিষ্ঠতার উপর ভিত্তি করে। সাংবাদিকদের কলম যত মুক্ত ও স্বাধীন ভাবে চলবে ততই গণতন্ত্র মজবুত ভিত্তির ওপর দাঁড়াবে। বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবসের একটি সূচক তুলে ধরে বলেন, প্যারিস ভিত্তিক সংগঠন রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারসের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত ওয়ার্ল্ড প্রেস ফ্রিডম ইনডেক্স, ২০২৫ -এ ১৮০ দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান হয়েছে ১৪৯তম। ২০২৪ সালের মে মাসে প্রকাশিত সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ১৬৫তম। এবার ১৬ ধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ। রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারসের প্রতিবেদন অনুযায়ী এ বছর মুক্ত সংবাদ মাধ্যমের বিবেচনায় ১০০ নম্বরের মধ্যে বাংলাদেশ পেয়েছে ৩৩ দশমিক ৭১। যা গত বছর (২০২৪ সালে) ছিল ২৭ দশমিক ৬৪।বিশ্ব গণমাধ্যম সূচকে বাংলাদেশ এগিয়ে এসেছে এটা অবশ্যই মুক্ত গণমাধ্যমের জন্য আশার বানী। ভবিষ্যতে এই ধারা অব্যাহত রাখার উপর গুরুত্ব আরোপ করেন। বক্তারা চট্টগ্রাম সিএসও হাবকে একটা সুপার সপের সাথে তুলনা করেছেন। সুপার সপে একজন ক্রেতা যেমন সকল পন্যের সেবা পায় তেমনি সিএসও হাবের মাধ্যমে সকল সমস্যার সমাধান আসবে। এর মধ্য দিয়ে নারী অধিকার, সামাজিক মর্যাদা, সামাজিক নিরাপত্তা, আইনগত অধিকার ও বিভিন্ন সামাজিক এবং রাজনৈতিক সমস্যার সমাধান আসবে। সিএসও হাব সকল নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের নিয়ে একটি শক্তিশালী নেটওয়ার্ক তৈরি করবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন।