কোন দুর্ঘটনায় কাইম্য নয়। চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় সুন্নতি জাঙ্গালীয়া এলাকায় বারবার ভিন্ন সময়ে সংগঠিত রহস্যজনক ধারাবাহিক সড়ক দুর্ঘটনায় স্থানীয় সহ ঐ পথে চলাচলকারী যাত্রীদের মনে চরম ভয়ও উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয়দের তথ্য মতে চট্টগ্রাম কক্সবাজার রোডে
ঐস্থানে সুপ্রাচীন কালথেকে সবচেয়ে বেশি সড়ক দুর্ঘটনা সংঘটিত হয়েছে বলে জানা যায়। অনেকের মতে তাদের বুদ্ধি বয়স থেকে শোনা উক্ত স্থানে সড়ক দুর্ঘটনার তথ্য, কিন্তু তার রহস্য এখনো অজানা।
এর প্রকৃত রহস্য উদঘাটন করতে গিয়ে শোনা যায় স্থানীয় সহ অন্যান্যদের বিভিন্ন রহস্যজনক তথ্য। স্থানীয়দের মতে উক্ত স্থানে এক অজানা মাজার বা কবরস্থান রয়েছে যা লোকমুখে প্রচলিত আছে।তার পরিপ্রেক্ষিতে ওই স্থানে কোন ড্রাইভার যদি অনিয়ন্ত্রিত গাড়ি পরিচালনা করে তবেই দুর্ঘটনা ঘটে।এছাড়াও অনেকে বলেন কোন এক অজানা কারণে ঐ স্থানে গেলে বিভিন্ন ড্রাইভার এর মতিভ্রম হয়ে দুর্ঘটনার ঘটে বলে প্রবাদ শোনা যায়।
তবে উপরে আলোচিত বিভিন্ন বিষয় সমূহ সচেতন মহল কিংবা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ মানতে নারাজ। তাদের মতে ঐ সমস্ত অবৈজ্ঞানিক ও ভিত্তিহীন বিষয় গুজব এবং অবাস্তব। তাহাদের ব্যাখ্যা মতে, ঐস্থানে খুব কম দূরত্বে দুটি ঝুঁকিপূর্ণ বাঁক রয়েছে, যার ফলশ্রুতিতে ওভারটেক বা অনিয়ন্ত্রিত কোন গাড়ি মুখোমুখি অবস্থানে আসলে তখনই দুর্ঘটনা ঘটে। তাছাড়া ও টেকনাফ- কক্সবাজার থেকে আগত লবণ বোঝাই বিভিন্ন গাড়ির লবণাক্ত পানি রাস্তাকে পিচ্ছিল করে তোলে। এছাড়াও ওই স্থানে প্রচুর গাছপালা হওয়ার কারণে রোদের প্রভাব মুক্ত থাকে সবসময়ই, যার পরিপ্রেক্ষিতে স্যাতসেতে ভেজা ভাব থাকায় গাড়ির গতি যদি বেশী থাকে প্রয়োজনে ব্রেক করে নিয়ন্ত্রণে নিতে পারেনা কোন কোন ড্রাইভার। ফলশ্রুতিতে যদি কোন সময় বিপরীত মুখ থেকে গাড়ি আসে কিংবা ওভারটেক বা দ্রুত সাইট দিতে যাই তবে যদি গাড়ির নিয়ন্ত্রণ হীনথাকে বলেই ঐ সময় দুর্ঘটনার সম্ভাবনা বেশি থাকে। এভাবেই ঘটে চলেছে নিয়মিত ঐ স্থানে দীর্ঘদিন ধরে মারাত্মক সড়ক দুর্ঘটনা। এ বিষয়ে দীর্ঘদিন ধরে চালিত পরিবহন চালকদের দেওয়া তথ্য মতে উক্ত বৈজ্ঞানিক ও অবৈজ্ঞানিক বিষয় বা মতামতের সাথে তাহাদের সহমত পাওয়া যায়।তাহাদের মতে কোন বিষয়কে উপেক্ষা বা অবহেলা করা উচিত নয়। সত্য মিথ্যা যাই হোক না কেন ঐ স্থান আসলেই দুর্ঘটনা কবলিত স্থান হিসেবে আতঙ্কিত।
প্রসঙ্গত উল্লেখ করতে হয়, ঈদের সমসাময়িক তিন দিনের মধ্যে বড় দুটি, তিনটি দুর্ঘটনার পরিপেক্ষিতে সাড়া বাংলাদেশের মানুষের বিবেককে নাড়া দিয়েছে। সাথে সাথে স্থানীয়দের মধ্যে ও ক্ষোভ এবং ভয়ের সঞ্চার সৃষ্টি হয়েছে।তার পরিপ্রেক্ষিতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল,স্থানীয় সংগঠন, সুশীল সমাজের ব্যক্তিবর্গরা সম-সাময়িক সময়ে মানববন্ধন ও রাস্তায় দাঁড়িয়ে প্রতীকি ভাবে তীব্র প্রতিবাদ ও ক্ষোভ প্রকাশ করেন। স্থানীয়রা সহ উক্ত রোডে চলাচলকারী সকলের প্রত্যাশা বর্তমান অন্তবর্তী কালীন সরকার দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রস্তাবিত চট্টগ্রাম কক্সবাজার ছয় লাইনের প্রকল্প বাস্তবায়ন করে উক্ত রোডের সকল প্রকার যুকি ও দুর্ঘটনা রোদের প্রয়োজনে সকল পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।উনারা আরো দাবী করেন উক্ত দুর্ঘটনা কবলিত এলাকায় একটি অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম স্থাপনেরও। না হয় তাহারা নতুন করে বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে ছয় লাইনের প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য সরকারকে বাধ্য করতে মাঠে নামবে। প্রসঙ্গত বলতে হয় দীর্ঘ সময়ের মর্মান্তিক দুর্ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে সড়ক ও জনপদ অধিদপ্তরের হঠাৎ তড়ক নড়ে।ঐ সরকারি প্রতিষ্ঠানটি তাড়াহুরি করে ঘটনা কবলিত এলাকায় বেশ কয়েকটি অপরিকল্পিত স্পিড বেকার বা গতিরোধ দিয়ে দায়সারা দায়িত্ব পালন করতে দেখা যায়।