রক্তচরণ, বুক চিতিয়ে
নেমেছিল রাজপথে,
স্লোগানে তার কেঁপে উঠেছে
নরকেরই দুর্গম গর্তে।
রক্ত দিল, দিলও আশা,
নতুন সূর্য ওঠার,
স্বপ্ন ছুঁয়ে চেয়েছিল সে
দেশটা হোক সত্যিকার।
কিন্তু তখন ছায়ার নিচে
ঘুঘু মাওলা বসে,
বুকের ভেতর রাজাকারী
চোখে তার ধূর্ত হসে।
মুখে বুলি, শান্তির বুলি,
ভেতরে শুধু ভয়,
ঘুঘু মাওলা লুটে খায় যে
দেশপ্রেমের অঙ্কুরময়।
রক্তচরণের স্বপ্ন লুটে
গড়তে চায় সে সিংহাসন,
চাটুকারের মিছিলে তার
সাধু সাজে বিষবাসন।
ওরে মাওলা, দালাল মাওলা,
ভুলে যাস না হুঁশ,
রক্তচরণ জেগে উঠলে
কাঁপবে তোর রাজপ্রাসাদ-মূর্ছ!
একুশ, ছয়ষট্টি, বাষট্টি,
ঊনসত্তর, একাত্তর —
এসব তোর মতো ঘুঘুরা
কখনোই বুঝতে না পার।
তবু বলি, ফিরে আয় তুই
মানুষ যদি হইস,
নইলে কিন্তু এ মাটিতে
ঘুঘুর ঠাঁই নাই রইস।