লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে ২ নং নোয়াগাঁও ইউনিয়ন পরিষদে গ্রাম আদালতের কার্যক্রম পরিচালনার জন্য মোহাম্মদ হোসেন বাবুলকে মনোনীত করায় প্রতিবাদে ইউনিয়ন বিএনপি আহবায়ক শেখ নুরুল ইসলামের নেতৃত্বে, ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য সচিব, বিশিষ্ট শিল্পপতি আবুল খায়েরের তত্ত্বাবধায়নে এক বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
৪৩১ নং স্মরাক অনুযায়ী সারাদেশে বিভিন্ন ইউনিয়নে সরকার বিভাগ কর্তৃক বাংলাদেশে গ্রাম আদালত স্বক্রিয়করণ তৃতীয় পর্যায় বাস্তবায়ন চলছে।
তথ্যে পরিপ্রেক্ষিতে উপ-পরিচালক, স্থানীয় সরকার, লক্ষীপুর মহোদয়ের মৌখিক নির্দেশনায় ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যগনের নামের পাশে বর্ধিত ইউনিয়ন পরিষদে গ্রাম আদালতের কার্যক্রম পরিচালনার জন্য
গ্রাম আদালতের চেয়ারম্যান হিসাবে মনোনীত করা হয়েছে রামগঞ্জে দশটি ইউনিয়ন থেকে ১০ জনকে।
তারই ধারাবাহিকতা মোঃ হোসেন বাবুলকে নাম মনোনীত করায়, তার প্রতিবাদে দুই নং নোয়াগাঁও ইউনিয়ন বিএনপি ও সাধারণ জনগণ বিক্ষোভ মিছিল করেন শৈরশৈ বাজারে ও বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করেন। পরে ইউনিয়ন পরিষদের সামনে এক বিক্ষোভ মিছিলের আলোচনার আয়োজন করা হয়।
বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আবুল খায়ের কোম্পানি বলেন এই বাবুল বিভিন্ন অসামাজিক কাজের সাথে জড়িত ছিল,ইউনিয়ন পর্যায়ে বিভিন্ন খাতে চাঁদা তুলে নিজে ভক্ষণ করতো ,এলাকার জনগণ তাকে চায় না, এমন লোককে কিভাবে গ্রাম সালিশি চেয়ারম্যান বানানো হয় ,আমরা গ্রামবাসী তার প্রতিবাদ করছি, আমরা চাই অচিরেই যেন তাকে বাদ দিয়ে নতুন একজনকে গঠন করে।
উপজেলা যুবদলের সাবেক সদস্য মোঃ মান্নান বেপারী বলেন, একজন দুঃচরিত্র, চাঁদাবাজ লোককে যদি ইউনিয়ন পরিষদের দায়িত্ব দেওয়া হয়, তবে বিচারের মানদণ্ডই তো থাকবে না।
বাবুল যে এতগুলো অন্যায় অত্যাচার করলো তার বিচার করবে কে? সে আবার বিচারক হবে?
তাই ইউনিয়নবাসী দুঃচরিত্র, চাঁদাবাজ বাবুলকে চায়না, দ্রুত প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি।
বিক্ষোভ মিছিলে উপস্থিত ছিলেন,
উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ন আহবায়ক ইঞ্জিনিয়ার সাব্বির হোসেন।
ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক নূর হোসেন
ও শাহাদাত হোসেন সাধু
উপস্থিত ছিলেন, ১ নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জয়নাল হোসেন।
৩নং নাম্বার ওয়ার্ড বিএনপি সভাপতি ইদ্রিস মানিক
৮ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আব্দুল হাই
৮ নাম্বার ওয়ার্ড বিএনপির সেক্রেটারি আবু তাহের
৪ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপি’র বর্তমান সিনিয়র সহ-সভাপতি মোহাম্মদ মিজান।
ইউনিয়ন তাতি দলের যুগ্ন আহবায়ক নাজিম হোসেন,
ইউনিয়ন তাঁতি দলের সেক্রেটারি মোখলেসুর রহমামান,
চার নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির নেতা বাচ্চু মিয়া,
তিন নাম্বার ওয়ার্ড যুব দলের নেতা শাহীন ও আব্দুর রহিম।
