১০:৪৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ০১ জুন ২০২৫, ১৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
‎গাইবান্ধা থেকে মাহমুদুল হাবিব রিপন : ‎

গাইবান্ধায় পাওনাদারকে অপহরণ ও আটক রেখে মারপিটের অভিযোগ

  • প্রকাশিত ০৩:১৭:৪০ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩১ মে ২০২৫
  • ১৩ বার দেখা হয়েছে

‎গাইবান্ধায় প্রকাশ্যে দিবালোকে পাওনাদারকে অপহরণ ও আটক রেখে মারপিটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে গাইবান্ধা সদর উপজেলার সাহাপাড়া ইউনিয়নের তুলসীঘাট বাজারে।
‎অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সাহাপাড়া ইউনিয়নের সাতানী সাদেকপুর গ্রামের ডাবলু সরকারের ছেলে পাপুল সরকার জেলা শহরের সবুর এন্ড সন্স নামের একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে ডেলিভেরীম্যানের চাকুরী করতো। ৩/৪ মাস পূর্বে পাপুল প্রতিষ্ঠানের দেনা-পাওনার হিসাব বুঝে না দিয়ে এবং মালিক পক্ষকে না জানিয়ে চাকুরী ছেড়ে পালিয়ে যায়। প্রতিষ্ঠানটির মালিক পক্ষের দাবী চাকুরী ছেড়ে যাওয়ার সময় পাপুল প্রায় নগদ ৬০ হাজার টাকাসহ ডেলিভেরী কাজে ব্যবহৃত অটোবাইকের ব্যাটারি বিক্রি করে অটোবাইকটি রেখে পালিয়েছে। পাওনা টাকা উদ্ধারে পাপুলের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ ও বাড়িতে গিয়ে সাক্ষাত করতে কয়েক দফা ব্যর্থ হয়ে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেলেন প্রতিষ্ঠানটির মালিক। এমতাবস্থায় ঘটনার দিন ২৭ মে মঙ্গলবার ওই প্রতিষ্ঠানটির ম্যানেজার নবীর হোসেন মন্ডল তুলসীঘাট বাজার এলাকায় মার্কেটিংয়ের কাজ করতে গেলে আকর্ষিকভাবে পাপুলের সাথে দেখা হয়। এ সময় নবীর পাপুলকে প্রতিষ্ঠানের টাকা ফেরত প্রদানের কথা বলে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে পাপুল ৪/৫ জন সহযোগীসহ নবীরকে তুলসীঘাট বাজার হতে জোরপূর্বক অটোযোগে নিজ বাড়ির এলাকায় নিয়ে যায় এবং সাহাপাড়া ইউনিয়নের প্রাক্তন চেয়ারম্যান ভাজনের খামার গ্রামের মরহুম আব্দুল গফুর সরকারের বাড়ির ভেতরে আটকে রেখে কিলঘুষি মেরে শারীরিক নির্যাতন করতে থাকে। নিরুপায় হয়ে নবীর প্রতিষ্ঠানের মালিক, সহকর্মী ও বন্ধুবান্ধবকে মোবাইল ফোনে বিষয়টি জানায়। খবর পেয়ে রাজীবসহ ২/৩ জন বন্ধু ঘটনাস’লে উপস্থিত হয়ে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় নবীরকে উদ্ধার করে গাইবান্ধায় নিয়ে আসেন। অপহরণ ও আটকের বিষয়ে সবুর এন্ড সন্সের মালিক রাশেদ সরকার রাজীবরে সাথে কথা হলে তিনি বলেন, পাপুল ২০২৪ সালের শেষের দিকে তার প্রতিষ্ঠানে যোগদান করে ২ মাস চাকুরী করার পর টাকা নিয়ে পালিয়েছে। অন্য এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, তিনি ওই এলাকার কয়েকজন আত্মীয়ের সহায়তায় তার ম্যানেজার নবীরকে উদ্ধার করে নিয়ে এসেছেন। এদিকে পাপুল বলেন, ভালো লাগে নাই, তাই ইচ্ছায় চাকুরী ছেড়ে দিয়েছি।
‎এ ব্যাপারে সদর থানার অফিসার ইনচার্জ শাহিনুর ইসলাম তালুকদার জানান, অভিযোগ পেয়েছি বিষয়টা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

Tag :
জনপ্রিয়

৮ বছরের লড়াইয়ের ফসল — ব্ল্যাক বেল্ট অর্জন করলেন ‘স্টিং বোরহান’, সামনে নিজস্ব মার্শাল আর্ট একাডেমির ঘোষণা

‎গাইবান্ধা থেকে মাহমুদুল হাবিব রিপন : ‎

গাইবান্ধায় পাওনাদারকে অপহরণ ও আটক রেখে মারপিটের অভিযোগ

প্রকাশিত ০৩:১৭:৪০ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩১ মে ২০২৫

‎গাইবান্ধায় প্রকাশ্যে দিবালোকে পাওনাদারকে অপহরণ ও আটক রেখে মারপিটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে গাইবান্ধা সদর উপজেলার সাহাপাড়া ইউনিয়নের তুলসীঘাট বাজারে।
‎অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সাহাপাড়া ইউনিয়নের সাতানী সাদেকপুর গ্রামের ডাবলু সরকারের ছেলে পাপুল সরকার জেলা শহরের সবুর এন্ড সন্স নামের একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে ডেলিভেরীম্যানের চাকুরী করতো। ৩/৪ মাস পূর্বে পাপুল প্রতিষ্ঠানের দেনা-পাওনার হিসাব বুঝে না দিয়ে এবং মালিক পক্ষকে না জানিয়ে চাকুরী ছেড়ে পালিয়ে যায়। প্রতিষ্ঠানটির মালিক পক্ষের দাবী চাকুরী ছেড়ে যাওয়ার সময় পাপুল প্রায় নগদ ৬০ হাজার টাকাসহ ডেলিভেরী কাজে ব্যবহৃত অটোবাইকের ব্যাটারি বিক্রি করে অটোবাইকটি রেখে পালিয়েছে। পাওনা টাকা উদ্ধারে পাপুলের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ ও বাড়িতে গিয়ে সাক্ষাত করতে কয়েক দফা ব্যর্থ হয়ে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেলেন প্রতিষ্ঠানটির মালিক। এমতাবস্থায় ঘটনার দিন ২৭ মে মঙ্গলবার ওই প্রতিষ্ঠানটির ম্যানেজার নবীর হোসেন মন্ডল তুলসীঘাট বাজার এলাকায় মার্কেটিংয়ের কাজ করতে গেলে আকর্ষিকভাবে পাপুলের সাথে দেখা হয়। এ সময় নবীর পাপুলকে প্রতিষ্ঠানের টাকা ফেরত প্রদানের কথা বলে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে পাপুল ৪/৫ জন সহযোগীসহ নবীরকে তুলসীঘাট বাজার হতে জোরপূর্বক অটোযোগে নিজ বাড়ির এলাকায় নিয়ে যায় এবং সাহাপাড়া ইউনিয়নের প্রাক্তন চেয়ারম্যান ভাজনের খামার গ্রামের মরহুম আব্দুল গফুর সরকারের বাড়ির ভেতরে আটকে রেখে কিলঘুষি মেরে শারীরিক নির্যাতন করতে থাকে। নিরুপায় হয়ে নবীর প্রতিষ্ঠানের মালিক, সহকর্মী ও বন্ধুবান্ধবকে মোবাইল ফোনে বিষয়টি জানায়। খবর পেয়ে রাজীবসহ ২/৩ জন বন্ধু ঘটনাস’লে উপস্থিত হয়ে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় নবীরকে উদ্ধার করে গাইবান্ধায় নিয়ে আসেন। অপহরণ ও আটকের বিষয়ে সবুর এন্ড সন্সের মালিক রাশেদ সরকার রাজীবরে সাথে কথা হলে তিনি বলেন, পাপুল ২০২৪ সালের শেষের দিকে তার প্রতিষ্ঠানে যোগদান করে ২ মাস চাকুরী করার পর টাকা নিয়ে পালিয়েছে। অন্য এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, তিনি ওই এলাকার কয়েকজন আত্মীয়ের সহায়তায় তার ম্যানেজার নবীরকে উদ্ধার করে নিয়ে এসেছেন। এদিকে পাপুল বলেন, ভালো লাগে নাই, তাই ইচ্ছায় চাকুরী ছেড়ে দিয়েছি।
‎এ ব্যাপারে সদর থানার অফিসার ইনচার্জ শাহিনুর ইসলাম তালুকদার জানান, অভিযোগ পেয়েছি বিষয়টা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।