০৪:২৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ জুন ২০২৫, ১৬ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
মাহমুদুল হাবিব রিপন :

গাইবান্ধায় জমি দখলকে কেন্দ্র করে বসতবাড়িতে হামলা, ভাংচুর ও লুটপাট

  • প্রকাশিত ০৩:২৯:১৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ জুন ২০২৫
  • ৮৮ বার দেখা হয়েছে

গাইবান্ধা সদর উপজেলার লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের গোবিন্দপুর উত্তর বালাআটা গ্রামে জমি দখলকে কেন্দ্র করে বসতবাড়িতে হামলা, ভাংচুর ও লুটপাটের অভিযোগ।

এ হামলায় উত্তর বালাআটা এলাকার বাসিন্দা নাজমুল মিয়া (৪৫) ও তার স্ত্রী মর্জিনা বেগম (৩৮) আহত হয়। জসিম ও জহুরুলের নেতৃত্বে এ হামলা চালানো হয়। ভুক্তভোগী নাজমুল মিয়া গাইবান্ধা সদর থানায় লিখিত এ বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ করেন।

‎অভিযোগে সুত্রে জানা যায়, ১২ বছর আগে কবলা দলিল মূলে উক্ত জমি ক্রয় করে সেখানে বসতবাড়ি নির্মাণ করে পরিবার নিয়ে বসবাস করে আসছি। জমিটি জোরপূর্বক দখলে নিতে দীর্ঘদিন ধরেই আমাদের ওপর নানাভাবে হয়রানি করে আসছে ঐ এলাকার আব্দুল রশিদের ছেলে জসিম মিয়া ও জহুরুল ইসলাম।

‎অভিযোগে আরও বলা হয়, পরিকল্পিতভাবে জহুরুল, জসিম, রানা, মঞ্জু, আব্দুর রশিদ মন্টুসহ অজ্ঞাতনামা আরও চার-পাঁচজন দেশীয় অস্ত্রসহ হামলা চালায়। তারা ঘরের চারপাশে অনধিকার প্রবেশ করে গালিগালাজ করতে থাকে। বাধা দিলে অভিযুক্তরা নাজমুল ও তার স্ত্রীকে এলোপাতাড়ি মারপিট করে। একপর্যায়ে জসিম ধারালো অস্ত্র দিয়ে নাজমুলের মাথায় আঘাত করতে গেলে তিনি বাঁ হাত দিয়ে ঠেকান। এতে তাঁর হাতের কনুই ও কবজির মাঝখানে গভীর জখম হয় এবং হাড় ভেঙে যায়। পরে নাজমুল মিয়াকে মাটিতে ফেলে তার বুক ও পিঠে লাথি মারা হয়। অভিযুক্ত রানা মিয়া দুই হাত দিয়ে ।

‎পরবর্তীতে ওই ঘটনাস্থলে জহুরুল গঙ্গরা নাজমুলের বাড়িতে হামলা চালায় এবং সেখানে চারটা বাঁশের ঝোপে ১২০০ থেকে ১৪০০ বাঁশ কেটে নিয়ে যায়, এ বিষয়ে এএসআই ওমর ফারুকের সাথে সাংবাদিকদের সাথে মুঠো ফোনে কথা হলে তিনি বলেন, থানায় বসে মীমাংসা করে দিয়েছি যদি এটা করে থাকে অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা নেব।

‎এ বিষয়ে গাইবান্ধা সদর থানার দায়িত্বরত এএসআই ওমর ফারুক বলেন, “ভুক্তভোগী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। বিষয়টি তদন্ত করে উভয় পক্ষকে থানায় ডেকে প্রাথমিকভাবে আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের চেষ্টা করা হয়েছে। অভিযোগে যেসব ব্যক্তি অভিযুক্ত, তদন্তে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Tag :
জনপ্রিয়

আপাতত তেহরানের বিজয় স্বাভাবিক জীবনে ফিরছে ইসরাইলিরা

মাহমুদুল হাবিব রিপন :

গাইবান্ধায় জমি দখলকে কেন্দ্র করে বসতবাড়িতে হামলা, ভাংচুর ও লুটপাট

প্রকাশিত ০৩:২৯:১৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ জুন ২০২৫

গাইবান্ধা সদর উপজেলার লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের গোবিন্দপুর উত্তর বালাআটা গ্রামে জমি দখলকে কেন্দ্র করে বসতবাড়িতে হামলা, ভাংচুর ও লুটপাটের অভিযোগ।

এ হামলায় উত্তর বালাআটা এলাকার বাসিন্দা নাজমুল মিয়া (৪৫) ও তার স্ত্রী মর্জিনা বেগম (৩৮) আহত হয়। জসিম ও জহুরুলের নেতৃত্বে এ হামলা চালানো হয়। ভুক্তভোগী নাজমুল মিয়া গাইবান্ধা সদর থানায় লিখিত এ বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ করেন।

‎অভিযোগে সুত্রে জানা যায়, ১২ বছর আগে কবলা দলিল মূলে উক্ত জমি ক্রয় করে সেখানে বসতবাড়ি নির্মাণ করে পরিবার নিয়ে বসবাস করে আসছি। জমিটি জোরপূর্বক দখলে নিতে দীর্ঘদিন ধরেই আমাদের ওপর নানাভাবে হয়রানি করে আসছে ঐ এলাকার আব্দুল রশিদের ছেলে জসিম মিয়া ও জহুরুল ইসলাম।

‎অভিযোগে আরও বলা হয়, পরিকল্পিতভাবে জহুরুল, জসিম, রানা, মঞ্জু, আব্দুর রশিদ মন্টুসহ অজ্ঞাতনামা আরও চার-পাঁচজন দেশীয় অস্ত্রসহ হামলা চালায়। তারা ঘরের চারপাশে অনধিকার প্রবেশ করে গালিগালাজ করতে থাকে। বাধা দিলে অভিযুক্তরা নাজমুল ও তার স্ত্রীকে এলোপাতাড়ি মারপিট করে। একপর্যায়ে জসিম ধারালো অস্ত্র দিয়ে নাজমুলের মাথায় আঘাত করতে গেলে তিনি বাঁ হাত দিয়ে ঠেকান। এতে তাঁর হাতের কনুই ও কবজির মাঝখানে গভীর জখম হয় এবং হাড় ভেঙে যায়। পরে নাজমুল মিয়াকে মাটিতে ফেলে তার বুক ও পিঠে লাথি মারা হয়। অভিযুক্ত রানা মিয়া দুই হাত দিয়ে ।

‎পরবর্তীতে ওই ঘটনাস্থলে জহুরুল গঙ্গরা নাজমুলের বাড়িতে হামলা চালায় এবং সেখানে চারটা বাঁশের ঝোপে ১২০০ থেকে ১৪০০ বাঁশ কেটে নিয়ে যায়, এ বিষয়ে এএসআই ওমর ফারুকের সাথে সাংবাদিকদের সাথে মুঠো ফোনে কথা হলে তিনি বলেন, থানায় বসে মীমাংসা করে দিয়েছি যদি এটা করে থাকে অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা নেব।

‎এ বিষয়ে গাইবান্ধা সদর থানার দায়িত্বরত এএসআই ওমর ফারুক বলেন, “ভুক্তভোগী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। বিষয়টি তদন্ত করে উভয় পক্ষকে থানায় ডেকে প্রাথমিকভাবে আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের চেষ্টা করা হয়েছে। অভিযোগে যেসব ব্যক্তি অভিযুক্ত, তদন্তে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।