১০:৫০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৭ নভেম্বর ২০২৫, ২৩ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
নিজস্ব প্রতিবেদক:

গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার ৫নং কচুয়া ইউপিতে খাদ্য বান্ধব ডিলারশিপ নিয়োগে দূর্নীতির অভিযোগ

  • প্রকাশিত ১০:১৮:১৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  • ১৯০ বার দেখা হয়েছে

গাইবান্ধা জেলার সাঘাটা উপজেলার ৫নং কচুয়া ইউনিয়নে খাদ্য বান্ধব ডিলারশিপ নিয়োগে দূর্নীনির অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে উপজেলা খাদ্য বান্ধব কর্মকর্তাসহ খাদ্য মন্ত্রণালয় বরাবর অভিযোগ দায়ের করার পরও উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ রহস্যজনক কারণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করছেন না বলে স্থানীয় সাংবাদিকদের জানান স্থানীয় ব্যবসায়ী মোঃ ছামছুল নামের অভিযোগকারী ব্যক্তি।
ডিলারশিপ নিয়োগে দূর্নীনির বিষয়ে কেন্দ্রীয় ’খাদ্য অধিদপ্তর’ এর মহা-পরিচালক, বিভাগীয় কর্মকর্তা রংপুর, জেলা প্রশাসক গাইবান্দা, জেলা খাদ্য কর্মকর্তা গাইবান্দা এবং সাঘাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা বরাবর বারবার অভিযোগ দাখিল কওে কোন সুরাহা না পেয়ে সাঘাটা উপজেলার ৫নং কচুয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা মৃত কছের আলীর ছেলে ব্যবসায়ী মোঃ ছামছুল জানান, খাদ্যবান্ধব কর্মসূচীর নীতিমালা- ২০২৪ এবং খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সরবরাহ-১শাখার গত ১৪ অক্টোবর ২০২৪ ইং তারিখের ২০৭ নম্বর স্বারক ও থাদ্য অধিদপ্তরের বন্টন শাখার ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ ইং তারিখের ১১৯ নম্বর স্বারকের আলোকে সাঘাটা উপজেলা খাদ্যবান্ধব কমিটির অনুমোদরক্রমে ১০ ইউনিয়নের ২২টি নির্ধারিত বিক্রয় কেন্দ্রের বিপরিতে ডিলার নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ ইং প্রকাশ করা হয়।
উপরোক্ত বিজ্ঞপ্তির নির্দেশনা অনুয়ায়ী মানিকগঞ্জ বাজার কেন্দ্রের জন্য সকল প্রকার শর্ত যথাযথ ভাবে পালন পূর্বক আমি ২ মার্চ ২০২৫ ইং তারিখে আবেদনপত্র দাখিল করি। পরবর্তীতে উপজেলা খাদ্য অফিস কর্তৃক আমার সকল দাখিলকৃত কাগজপত্র যাচাই বাচাই করে সঠিক পাওয়ায় আমাকে লটারির জন্য নির্বাচিত করা হয় এবং জনসম্মূখে উপজেলা খাদ্যবান্ধব কমিটির উপস্থিতিতে উম্মূক্ত লটারিতে আমার নাম উঠে আসে এবং মাইকের মাধ্যমে আমাকে বিজয়ী ঘোষনা করা হয়।
উক্ত লটারি করার সময় দেশের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের স্থানীয় একাধিক সংবাদকর্মীগনসহ অন্যান্য আবেদনকারী ও স্থানীয় গনমান্য ব্যক্তিবর্গ এবং সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
মোঃ ছামছুল আরো জানান, আমি কোন রাজনৈতিক দল বা সংগঠনের সাথে জড়িত নই এবং একজন সাধারণ খাদ্যশষ্য ব্যবসায়ী হিসেবে স্থানীয় ভাবে পরিচিত। অথচ আমাকে গাইবান্দা জেলাধীন সাঘাটা উপজেলার ৫নং কচুয়া ইউপির মানিকগঞ্জ বাজার কেন্দ্রের {কেন্দ্র নং-১০} এর আমার সকল কাগজপত্রাদি যাচাই বাচাই করে লটারির মাধ্যমে ডিলার পদে বিজয়ী/নির্বাচিত হওয়ার পরও বিনা নোটিশে বিনা কারণে রহস্যজনক ভাবে আমার ডিলার নিয়োগ বাতিল করে অদৃশ্য শক্তির প্রভাব খাটিয়ে এবং অন্যায় ভাবে রহস্যজনক অন্য একটি নামে অন্য একজন ডিলার নিযোগ করা হয় এবং তড়িগড়ি করে টেজারা চালান নিয়ে খাদ্যবান্ধব সামগ্রী প্রদান করা হয়। এতে আমি প্রাপ্য হক থেকে বঞ্চিত। যা বৈষম্য বিরোধী নতুন বাংলাদেশের আওতায় পড়েনা। এ বিষয়ে প্রথমে আমি সাঘাটা উপজেলা নির্বাহী অফিসার, সাঘাটা উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক বরাবর লিখিত অভিযোগ প্রদান করি। অভিযোগ প্রদান করা সত্বেও কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন না করায় গাইবান্দা জেলা প্রশাসক, গাইবান্দা জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকসহ বিভাগীয় খাদ্য নিয়ন্ত্রক-রংপুর, মহা-পরিচালক খাদ্য অধিদপ্তর-খাদ্য মন্ত্রণালয়, ঢাকা বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েও কোন প্রকার সুরাহা পাইনি।
বিষয়টি জানতে উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, অভিযোগ পেয়েছি, বিষয়টি আমরা দেখছি।
এ ব্যপারে জেলা খাদ্য কর্মকর্তার মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করে উনাকে পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে খাদ্য অধিদপ্তরের মহা-পরিচালক এ এ এইচ হুমায়ুন কবীরের সাথে সরাসরি যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, কোন ত্রুটি না থাকলে এমনটা হওয়ার কথা নয়। অভিযোগ করলে তদন্ত কমিটি গঠন করে অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হবে। কারো কোন প্রকার দূর্নীতি বা অবহেলা বরদাস্ত করা হবে না।

Tag :
জনপ্রিয়

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আশ্বাসে অনশন ভঙ্গ ১৮ তম নিবন্ধন প্রত্যাশীরা

নিজস্ব প্রতিবেদক:

গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার ৫নং কচুয়া ইউপিতে খাদ্য বান্ধব ডিলারশিপ নিয়োগে দূর্নীতির অভিযোগ

প্রকাশিত ১০:১৮:১৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫

গাইবান্ধা জেলার সাঘাটা উপজেলার ৫নং কচুয়া ইউনিয়নে খাদ্য বান্ধব ডিলারশিপ নিয়োগে দূর্নীনির অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে উপজেলা খাদ্য বান্ধব কর্মকর্তাসহ খাদ্য মন্ত্রণালয় বরাবর অভিযোগ দায়ের করার পরও উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ রহস্যজনক কারণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করছেন না বলে স্থানীয় সাংবাদিকদের জানান স্থানীয় ব্যবসায়ী মোঃ ছামছুল নামের অভিযোগকারী ব্যক্তি।
ডিলারশিপ নিয়োগে দূর্নীনির বিষয়ে কেন্দ্রীয় ’খাদ্য অধিদপ্তর’ এর মহা-পরিচালক, বিভাগীয় কর্মকর্তা রংপুর, জেলা প্রশাসক গাইবান্দা, জেলা খাদ্য কর্মকর্তা গাইবান্দা এবং সাঘাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা বরাবর বারবার অভিযোগ দাখিল কওে কোন সুরাহা না পেয়ে সাঘাটা উপজেলার ৫নং কচুয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা মৃত কছের আলীর ছেলে ব্যবসায়ী মোঃ ছামছুল জানান, খাদ্যবান্ধব কর্মসূচীর নীতিমালা- ২০২৪ এবং খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সরবরাহ-১শাখার গত ১৪ অক্টোবর ২০২৪ ইং তারিখের ২০৭ নম্বর স্বারক ও থাদ্য অধিদপ্তরের বন্টন শাখার ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ ইং তারিখের ১১৯ নম্বর স্বারকের আলোকে সাঘাটা উপজেলা খাদ্যবান্ধব কমিটির অনুমোদরক্রমে ১০ ইউনিয়নের ২২টি নির্ধারিত বিক্রয় কেন্দ্রের বিপরিতে ডিলার নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি ১৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ ইং প্রকাশ করা হয়।
উপরোক্ত বিজ্ঞপ্তির নির্দেশনা অনুয়ায়ী মানিকগঞ্জ বাজার কেন্দ্রের জন্য সকল প্রকার শর্ত যথাযথ ভাবে পালন পূর্বক আমি ২ মার্চ ২০২৫ ইং তারিখে আবেদনপত্র দাখিল করি। পরবর্তীতে উপজেলা খাদ্য অফিস কর্তৃক আমার সকল দাখিলকৃত কাগজপত্র যাচাই বাচাই করে সঠিক পাওয়ায় আমাকে লটারির জন্য নির্বাচিত করা হয় এবং জনসম্মূখে উপজেলা খাদ্যবান্ধব কমিটির উপস্থিতিতে উম্মূক্ত লটারিতে আমার নাম উঠে আসে এবং মাইকের মাধ্যমে আমাকে বিজয়ী ঘোষনা করা হয়।
উক্ত লটারি করার সময় দেশের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের স্থানীয় একাধিক সংবাদকর্মীগনসহ অন্যান্য আবেদনকারী ও স্থানীয় গনমান্য ব্যক্তিবর্গ এবং সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
মোঃ ছামছুল আরো জানান, আমি কোন রাজনৈতিক দল বা সংগঠনের সাথে জড়িত নই এবং একজন সাধারণ খাদ্যশষ্য ব্যবসায়ী হিসেবে স্থানীয় ভাবে পরিচিত। অথচ আমাকে গাইবান্দা জেলাধীন সাঘাটা উপজেলার ৫নং কচুয়া ইউপির মানিকগঞ্জ বাজার কেন্দ্রের {কেন্দ্র নং-১০} এর আমার সকল কাগজপত্রাদি যাচাই বাচাই করে লটারির মাধ্যমে ডিলার পদে বিজয়ী/নির্বাচিত হওয়ার পরও বিনা নোটিশে বিনা কারণে রহস্যজনক ভাবে আমার ডিলার নিয়োগ বাতিল করে অদৃশ্য শক্তির প্রভাব খাটিয়ে এবং অন্যায় ভাবে রহস্যজনক অন্য একটি নামে অন্য একজন ডিলার নিযোগ করা হয় এবং তড়িগড়ি করে টেজারা চালান নিয়ে খাদ্যবান্ধব সামগ্রী প্রদান করা হয়। এতে আমি প্রাপ্য হক থেকে বঞ্চিত। যা বৈষম্য বিরোধী নতুন বাংলাদেশের আওতায় পড়েনা। এ বিষয়ে প্রথমে আমি সাঘাটা উপজেলা নির্বাহী অফিসার, সাঘাটা উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক বরাবর লিখিত অভিযোগ প্রদান করি। অভিযোগ প্রদান করা সত্বেও কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন না করায় গাইবান্দা জেলা প্রশাসক, গাইবান্দা জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকসহ বিভাগীয় খাদ্য নিয়ন্ত্রক-রংপুর, মহা-পরিচালক খাদ্য অধিদপ্তর-খাদ্য মন্ত্রণালয়, ঢাকা বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েও কোন প্রকার সুরাহা পাইনি।
বিষয়টি জানতে উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, অভিযোগ পেয়েছি, বিষয়টি আমরা দেখছি।
এ ব্যপারে জেলা খাদ্য কর্মকর্তার মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করে উনাকে পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে খাদ্য অধিদপ্তরের মহা-পরিচালক এ এ এইচ হুমায়ুন কবীরের সাথে সরাসরি যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, কোন ত্রুটি না থাকলে এমনটা হওয়ার কথা নয়। অভিযোগ করলে তদন্ত কমিটি গঠন করে অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হবে। কারো কোন প্রকার দূর্নীতি বা অবহেলা বরদাস্ত করা হবে না।