০৭:০৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০১ জুলাই ২০২৫, ১৭ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
এ আর সাইফুল ইসলাম ক্রাইম রিপোর্টার :

গরীব স্কুলছাত্রীর জীবন নিয়ে নির্মম খেলা: প্রেম-ভালোবাসার আড়ালে যৌতুক লোভে বর্বরতা, নেপথ্যে স্বামী ফাহাদ ও তার পরিবার

  • প্রকাশিত ০৮:৪০:৪৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ জুলাই ২০২৫
  • ১১১ বার দেখা হয়েছে

জয়া-সুমাইয়ার ফাঁদ, শাশুড়ি-ননদদের হাতিয়াড়, মামা বিল্লালের হুমকি আর পুলিশের নিরবতা—সবমিলিয়ে এক স্কুলছাত্রীর বেঁচে থাকার লড়াই।

একজন স্কুলছাত্রী, যার স্বপ্ন ছিল বই আর পরীক্ষার খাতা নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার—সেই নাছরিন আক্তারের জীবন এখন হয়ে উঠেছে এক ভয়াবহ দুঃস্বপ্ন। প্রেমের ফাঁদে পড়ে, ভালোবাসা আর নিরাপত্তার আশ্বাসে বিয়ে করে এক ‘পাগল স্বামীর’ ঘরে পা রাখে সে। কিন্তু শ্বশুরবাড়ির দরজার ওপারেই লুকিয়ে ছিল এক ভয়ংকর পরিকল্পনা। যৌতুকের দাবি পূরণ না করায় তাকে করা হয় অমানবিক নির্যাতন, গালিগালাজ, শ্বাসরোধ ও মানসিক চাপের নিশংস শিকার।

এই ঘটনায় শুধু মো. ফাহাদ হোসেন নয়, তার পরিবার—মা ফেরদাউস, নানী, বড় ননদ পিংকি, ছোট ননদ, মামা বিল্লাল ও কবির মাষ্টার এবং তার স্ত্রী—এরা প্রত্যেকেই প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িত বলে অভিযোগ উঠেছে।

সর্বশেষ, এই পরিবার শুধু একটি মেয়ের সম্মান কেড়ে নেয়নি, তারা যেন একটি জাতির বিবেকেও প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েছে—“এই সমাজ কি শুধুই পুরুষতন্ত্রের কারাগার, যেখানে মেয়েদের স্বপ্ন, অধিকার ও জীবনের কোনো মূল্য নেই?”

চিহ্নিত অভিযুক্তদের তালিকা (প্রথম সারির হাইলাইট):

মো. ফাহাদ হোসেন (স্বামী): মূল অভিযুক্ত; প্রেমের নামে প্রতারণা ও যৌতুক না পেয়ে জীবন-নাশক নির্যাতন।

ফেরদাউস (শাশুড়ি): নির্যাতনের পরিকল্পনায় সক্রিয় ভূমিকা।

নানী শাশুড়ি: মানসিক নির্যাতন ও অপমানের সহায়তা।

পিংকি (বড় ননদ): একাধিকবার শারীরিক নির্যাতনে নেতৃত্ব; উস্কানি ও অপমানের মুখ।

ছোট ননদ: ঘটনার নীরব প্রত্যক্ষদর্শী হয়ে নির্যাতনকে স্বাভাবিক করার ভূমিকা।

বিল্লাল (মামা): ফোনে গালিগালাজ, মানহানিকর মন্তব্য ও ভয়ভীতির কৌশল।

কবির মাষ্টার ও স্ত্রী: পরিবারকে নির্যাতনে প্ররোচনা ও সামাজিক হেয়তার মাধ্যমে প্রতিবাদ না জানিয়ে উল্টো আমাকে ডাকিনী আমি কিছু বলতে পারিনা। প্রতিদিনের বিষয় ওনি পাশাপাশি বোঝা যায়। তবে ওনি কেন এগিয়ে আসেনি। ওনি শিক্ষক ওনার স্ত্রী শিক্ষিকা। অথচ আমার জীবন তার সামনেই শেষ তার প্রতিবাদ এর অভাবে। এরা কেমন শিক্ষা করেছে আমি নাছরিন আক্তার জানতে চাই। আইনের আওতায় সকল অপরাধী’র শাস্তির দাবি।
এ ঘটনা নিয়ে মোকামঃ বিজ্ঞ মূখ্য মহানগর হাকিম সাহেবের আদালত, ঢাকা। সুএঃ সি. আর মামলা নং ২৫৬/২০২৪, ধারাঃ ২০১৮ সনের যৌতুক নিরোধ আইনের – ৩, আসামী ফাহাদ হোসেনের নামে গ্রেফতারী পরোয়ানা ইস্যূ করা হয় এবং শাহরাস্তি থানা, জেলা -চাঁদ পুর পাঠানো হয়।
থানার অফিসারের সাথে কথা বলে জানা যায় আসামী ফাহাদ হোসেন কে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরন করবেন।

Tag :
জনপ্রিয়

দৈনিক স্বদেশ বিচিত্রা সম্পাদক ও প্রকাশক কবি অশোক ধর কে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন মঞ্জুর হোসেন ঈসা

এ আর সাইফুল ইসলাম ক্রাইম রিপোর্টার :

গরীব স্কুলছাত্রীর জীবন নিয়ে নির্মম খেলা: প্রেম-ভালোবাসার আড়ালে যৌতুক লোভে বর্বরতা, নেপথ্যে স্বামী ফাহাদ ও তার পরিবার

প্রকাশিত ০৮:৪০:৪৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১ জুলাই ২০২৫

জয়া-সুমাইয়ার ফাঁদ, শাশুড়ি-ননদদের হাতিয়াড়, মামা বিল্লালের হুমকি আর পুলিশের নিরবতা—সবমিলিয়ে এক স্কুলছাত্রীর বেঁচে থাকার লড়াই।

একজন স্কুলছাত্রী, যার স্বপ্ন ছিল বই আর পরীক্ষার খাতা নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার—সেই নাছরিন আক্তারের জীবন এখন হয়ে উঠেছে এক ভয়াবহ দুঃস্বপ্ন। প্রেমের ফাঁদে পড়ে, ভালোবাসা আর নিরাপত্তার আশ্বাসে বিয়ে করে এক ‘পাগল স্বামীর’ ঘরে পা রাখে সে। কিন্তু শ্বশুরবাড়ির দরজার ওপারেই লুকিয়ে ছিল এক ভয়ংকর পরিকল্পনা। যৌতুকের দাবি পূরণ না করায় তাকে করা হয় অমানবিক নির্যাতন, গালিগালাজ, শ্বাসরোধ ও মানসিক চাপের নিশংস শিকার।

এই ঘটনায় শুধু মো. ফাহাদ হোসেন নয়, তার পরিবার—মা ফেরদাউস, নানী, বড় ননদ পিংকি, ছোট ননদ, মামা বিল্লাল ও কবির মাষ্টার এবং তার স্ত্রী—এরা প্রত্যেকেই প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িত বলে অভিযোগ উঠেছে।

সর্বশেষ, এই পরিবার শুধু একটি মেয়ের সম্মান কেড়ে নেয়নি, তারা যেন একটি জাতির বিবেকেও প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েছে—“এই সমাজ কি শুধুই পুরুষতন্ত্রের কারাগার, যেখানে মেয়েদের স্বপ্ন, অধিকার ও জীবনের কোনো মূল্য নেই?”

চিহ্নিত অভিযুক্তদের তালিকা (প্রথম সারির হাইলাইট):

মো. ফাহাদ হোসেন (স্বামী): মূল অভিযুক্ত; প্রেমের নামে প্রতারণা ও যৌতুক না পেয়ে জীবন-নাশক নির্যাতন।

ফেরদাউস (শাশুড়ি): নির্যাতনের পরিকল্পনায় সক্রিয় ভূমিকা।

নানী শাশুড়ি: মানসিক নির্যাতন ও অপমানের সহায়তা।

পিংকি (বড় ননদ): একাধিকবার শারীরিক নির্যাতনে নেতৃত্ব; উস্কানি ও অপমানের মুখ।

ছোট ননদ: ঘটনার নীরব প্রত্যক্ষদর্শী হয়ে নির্যাতনকে স্বাভাবিক করার ভূমিকা।

বিল্লাল (মামা): ফোনে গালিগালাজ, মানহানিকর মন্তব্য ও ভয়ভীতির কৌশল।

কবির মাষ্টার ও স্ত্রী: পরিবারকে নির্যাতনে প্ররোচনা ও সামাজিক হেয়তার মাধ্যমে প্রতিবাদ না জানিয়ে উল্টো আমাকে ডাকিনী আমি কিছু বলতে পারিনা। প্রতিদিনের বিষয় ওনি পাশাপাশি বোঝা যায়। তবে ওনি কেন এগিয়ে আসেনি। ওনি শিক্ষক ওনার স্ত্রী শিক্ষিকা। অথচ আমার জীবন তার সামনেই শেষ তার প্রতিবাদ এর অভাবে। এরা কেমন শিক্ষা করেছে আমি নাছরিন আক্তার জানতে চাই। আইনের আওতায় সকল অপরাধী’র শাস্তির দাবি।
এ ঘটনা নিয়ে মোকামঃ বিজ্ঞ মূখ্য মহানগর হাকিম সাহেবের আদালত, ঢাকা। সুএঃ সি. আর মামলা নং ২৫৬/২০২৪, ধারাঃ ২০১৮ সনের যৌতুক নিরোধ আইনের – ৩, আসামী ফাহাদ হোসেনের নামে গ্রেফতারী পরোয়ানা ইস্যূ করা হয় এবং শাহরাস্তি থানা, জেলা -চাঁদ পুর পাঠানো হয়।
থানার অফিসারের সাথে কথা বলে জানা যায় আসামী ফাহাদ হোসেন কে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরন করবেন।