রংপুরের গংগাচড়া উপজেলাধীন সাতআনী শেরপুর পুটিমারী (বেতগাড়ী) গ্রামের আয়শা খাতুন মুন্নি (৩৫) নামের এক গৃহবধুকে নির্মমভাবে বেধড়ক পিটিয়ে (ডাং মেরে) হত্যা করার ঘটনাকে পুলিশ বিশেষ স্বার্থের বিনিময়ে ফরেনসিক ডাক্তারের সাথে যোগসাজশ করে আদালতে আত্মহত্যার অভিযোগপত্র দাখিল করেছে।
প্রভাবশালী আওয়ামী লীগ নেতা বেতগাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ মোহাইমিনুল ইসলাম মারুফ ও গংগাচড়ার কতিপয় প্রভাবশালী আওয়ামী লীগ নেতাদের প্রভাবের মুখে প্রভাবিত হয়ে গংগাচড়া মডেল থানার ওসি দুলাল হোসেন, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জনক চন্দ্র রায় ও রংপুর মেডিকেলের ফরেনসিক বিভাগের ডা: আয়েশা পারভীন এর পরস্পর যোগসাজশে এমনটি ঘটেছে। এরা হত্যাকান্ডের আলামত বিনষ্ট করে দূর্নীতির আশ্রয়ে এমনটি করতে সমর্থ হয়েছে।
বিস্তারিত অনুসন্ধানে জানা গেছে, ঘটনার দিন গত ৩০ জুন ২০২৩ তারিখ শুক্রবার (ঈদের পরের দিন) সকাল ১০.৩০ ঘটিকার সময় হইতে একটি গরু বিক্রির ৬২ হাজার টাকার দেনা পাওনাকে ও বড় মেয়ে রাইসা মনিকে শাসন করাকে কেন্দ্র করে স্বামী-স্ত্রীর ঝগড়া ফ্যাসাদ শুরু হয়। এ ঝগড়া ফ্যাসাদ পরবর্তী ২/৩ ঘন্টায় চরম আকার ধারণ করিয়া তাদের নিজ বসত ঘরে আয়শা খাতুন মুন্নিকে তার স্বামী রশিদুল ইসলামের (৪০) সহযোগিতায় দেবর শহিদুল ইসলাম (৩২) ও শ্বাশুড়ী আকলিমা বেগম (৬২) কাঁচা বাঁশের চেলা, রড, লাঠি দিয়ে বেধড়ক পেটাতে (স্থানীয় ভাষায় ডাং-মার) থাকে। এরমধ্যে কয়েকটি আঘাত সজোরে মাথায়, ঘাড়ে ও মেরুদন্ডে দিলে মুন্নি জ্ঞান হারিয়ে ফেলে এবং মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। এসময় অঝোর ধারায় ভারি বৃষ্টিপাত হচ্ছিল বিধায় প্রতিবেশীরা আত্মচিৎকার শুনতে পায়নি। মুন্নির ৩ সন্তানের মধ্যে ২ সন্তান ঘটনা স্থলেই খাটে ঘুমাচ্ছিল। অপর সন্তান রাইসা মনির (১১) চোখের সামনেই হত্যাকান্ড ঘটছিল। তাছাড়া ঘটনা স্থলেই মুন্নির প্রতিবন্ধী মা তহুরা খাতুন খাটের কোনায় বসা ছিল। সে প্রতিবন্ধী বলে হত্যাকান্ড প্রতিরোধ করতে পারেনি। এতে হত্যাকারীদের বাঁচাতে প্রতিবেশি অহিদুল, বাচ্চু মুন্সি, লাল মিয়া গংরা এগিয়ে এলে পরিস্থিতি ভিন্নদিকে মোড় নেয়। প্রথমে হত্যাকারীরাসহ বাড়ির সবাই কিছু সময়ের জন্য আত্মগোপন করে। পরে অ্যাম্বুলেন্স ডেকে মুন্নিকে রংপুর মেডিকেলে নেয়া হলে কর্তব্যরত ডাক্তার মৃত ঘোষণা করেন। তবে ভিন্ন একটি গোপন সুত্র বলছে মুন্নিকে হাসপাতালে নেয়া হয়নি, মাঝপথ থেকে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। হত্যাকারী দেবর শহিদুল ইসলাম, স্বামী রশিদুল ইসলাম গংগাচড়া উপজেলার সাতানি শেরপুর পুটিমারী বেতগাড়ী গ্রামের আজগর মুন্সির ছেলে এবং শাশুড়ি আকলিমা (৬২) আজগর মুন্সির স্ত্রী। এরা পরবর্তীতে তাদের বসত ঘরের অন্তত ১৫ ফুট উঁচু বাঁশের ভুতুরের সাথে মুন্নির পরনের লাল কাপড় দিয়ে মুন্নিকে ফাঁসিতে ঝোলায়। অথচ পরনের কাপড়ে অর্ধেক পরিমাণ মুন্নির পরনেই ছিল।মুন্নির মৃত্যুর খবর পেয়ে পার্শ্ববর্তী ডাংগী পাইছান গ্রামের মুন্নির ধর্মপিতা আজগর আলী ও তার পুত্রবধূ আদুরী বেগম সহ বেশ কয়েকজন নারী-পুরুষ (অন্তত ২০জন) ঘটনাস্থলে দৌড়ে আসে। এরা এসে মুন্নির মৃত দেহ বসত ঘরের বারান্দায় চৌকির উপর দেখতে পায়। ইতিমধ্যে গংগাচড়া মডেল থানার এসআই জনক চন্দ্র রায়ের নেতৃতে নারী কনস্টেবল রিতু রানী সহ পুলিশ ফোর্স উপস্থিত হয়। নারী কনস্টেবল রিতু রানী আদুরী বেগমের সহযোগিতায় মৃতার মৃত দেহ উল্টিয়ে পাল্টিয়ে লাশের সুরতহাল রিপোর্ট প্রস্তুত করে এবং মুন্নির লাশ উদ্ধার করে পুলিশ মর্গে পাঠায়। এসময় বেতগাড়ী ইউনিয়নের নানা গ্রাম থেকে শতশত লোকের ভিড় জমতে থাকে। এরপর মুন্নির মামা সাবেক সেনাবাহিনীর সদস্য মোঃ বেল্লাল হোসেন খবর পেয়ে হাসপাতালের মর্গে আসে এবং লাশ দাফনের ব্যবস্থা নেয়। পরবর্তীতে ১ জুলাই ২০২৩ তারিখে মুন্নির মামা বেল্লাল হোসেন বাদী হয়ে গংগাচড়া মডেল থানায় স্বামী রশিদুল, দেবর শাহিদুল সহ অন্য চারজনকে আসামী করে এ ঘটনায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছে। এরপরই হত্যাকারীরা স্থানীয় প্রভাবশালী আওয়ামী লীগ নেতাদের বিশেষ করিয়া বেতগাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ মোহাইমিনুল ইসলাম মারুফের প্রভাবের মুখে গংগাচড়া মডেল থানার ওসি দুলাল হোসেন, এসআই জনক চন্দ্র রায় ও রংপুর মেডিকেলের ফরেনসিক বিভাগের ডাক্তার আয়েশা পারভীনের সাথে পরস্পর বেআইনি যোগসাজোশ করিয়া মুন্নি হত্যা কান্ডকে আত্মহত্যার ফরেনসিক রিপোর্ট হাসিল করে নিতে সক্ষম হয়েছে। বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের দলীয় প্রভাব খাঁটিয়ে বিশেষ স্বার্থের বিনিময়ে পুলিশ ও ফরেনসিক ডাক্তার মিলে এমনটি করেছে। এরা হত্যাকান্ডের আলামত বিনষ্ট করে সুরতহাল রিপোর্ট-পোস্টমর্টেম রিপোর্ট প্রয়োজন মত উপস্থাপন করেছে জাল-জালিয়াতির আশ্রয়ে। সুরতহাল ও পোস্টমর্টেম রিপোর্টে গুরুতর আঘাতকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। তারপর দুর্নীতিবাজ ওসি দুলাল হোসেনের নির্দেশে এসআই জনক চন্দ্র রায় এ বিতর্কিত ফরেনসিক রিপোর্টের উপর ভর করিয়া হত্যার পরিবর্তে আত্মহত্যার অভিযোগপত্র আদালতে দাখিল করেছে। এতে মামলার বাদী বেল্লাল হোসেন এ অভিযোগ পত্রের বিরুদ্ধে আদালতে নারাজীনামা দাখিল করেছে। তাতে আদালত মামলাটি অধিকতর তদন্তের জন্য রংপুরের পিবিআইকে নির্দেশ দিয়েছে। কিন্তু আদালতের এ নির্দেশের ১৫ মাস পরেও পিবিআই তদন্তের উল্লেখযোগ্য কোন অগ্রগতি করেননি। এ বিষয়ে রংপুরের পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার এবিএম জাকির হোসেনের সাথে কথা বললে তিনি আবু সাঈদ হত্যা মামলার ব্যস্ততার কথা জানালেন। আবার এ মামলার তদন্তকারী অফিসার পিবিআইয়ের এসআই ফিরোজ কবির সরকারের সাথে কথা বললে তিনি জানালেন বিস্ময়কর তথ্য। তিনি বললেন আসামীরা তার কাছে সমঝোতার জন্য সময় প্রার্থনা করেছেন।
মামলার বাদী বেল্লাল হোসেনের সাথে কথা বললে তিনি জানালেন, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা জনক চন্দ্র রায় বহুবার তাকে হত্যাকান্ডের ঘটনার সত্যতা রয়েছে বলে জানালেন এবং দু’একবার তাহার মোকাবেলায় হত্যার অভিযোগের সত্যতা রয়েছে মর্মে ওসি দুলাল হোসেনকে জানিয়েছেন। তাছাড়া এসআই জনক চন্দ্র রায় আদালতে প্রেরিত কয়েকটি পত্রে হত্যাকান্ডের সত্যতা স্বীকার করেছে এবং মুন্নিকে বেধড়ক পেটানোর ও নির্যাতন করার সত্যতা স্বীকার করেছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ওসি দুলাল হোসেনের কড়া নির্দেশে ফরেনসিক রিপোর্টের ভিত্তিতে আদালতে মিথ্যা অভিযোগপত্র দাখিল করতে হয়েছে।এছাড়াও স্থানীয় মুন্নির ধর্মপিতা আজগর আলী, তার পুত্রবধু আদুরি বেগম, রুপালী আক্তারসহ বহু মানুষের সাথে কথা বলে ঘটনার ভয়াবহতা নিশ্চিত হওয়া গেছে। আদুরী বেগম জানালেন তার সহযোগিতায় নারী পুলিশ কনস্টেবল রিতু রানী সুরতহাল রিপোর্ট প্রস্তুত করেছে। আদুরী বেগম মুন্নির মৃতদেহের কাপড় সরিয়ে বেধড়ক মারধরের (ডাং-মার) কালো দাগ চিহ্ন দেখতে পেয়েছে। মাথার বাম পাশে নিচে ঘাড়ের উপরের অংশ থেতলে গেছে। বাম কান দিয়ে রক্ত পড়ছিল। ঘাড়ে, পিঠে আঘাতের কালো দাগ। সারা শরীরময় ছোপ ছোপ রক্ত ও নির্যাতনের চিহ্ন। গোপনাঙ্গ ও পায়ুপথে রক্ত ছিল। আদুরী বেগমের এসব বক্তব্যের সাথে একমত পোষণ করলেন অপর পুত্রবধু রুপালী আক্তার। ডাংগী পাইছান গ্রামের মুন্নির ধর্মপিতা আজগর আলী জানালেন, বহুল আলোচিত মুন্নি হত্যাকান্ডকে ধামাচাপা দিতে হত্যাকারীরা ১৫/২০ লাখ টাকা ব্যয় করেছে। তাকেও ৩ লক্ষ টাকা দেয়ার প্রস্তাব করেছে হত্যাকারীরা। তার বাড়িতে ৩ লাখ টাকার বান্ডিল নিয়ে এসেছে। কিন্তু সে তা নিতে অস্বীকার করেছে। মুন্নি হত্যা মামলা ধামাচাপা দিতে হত্যাকারীদের লক্ষ লক্ষ টাকা ব্যয়ের কথা বেতগাড়ী ইউনিয়নের আম জনতার মুখে মুখে। মোহাইমিনুল ইসলাম মারুফ চেয়ারম্যান, স্থানীয় মেম্বার, ওসি দুলাল হোসেন, এসআই জনক চন্দ্র রায়, ডাক্তার আয়েশা পারভীন সহ রাজনৈতিক প্রভাবশালীদের মধ্যে টাকা লেনদেনের ছড়াছড়ি হয়েছে বলে অত্যন্ত বিশ্বস্ত গোপন সুত্রে জানা গেছে। কিন্তু এসব লেনদেন কে কখন কোথায় করেছে তার কোন সুনির্দিষ্ট তথ্য প্রমান নাই। লেনদেন হয়েছে অতি গোপনে। মামলার বাদী বেল্লাল হোসেনকেও ১২ লক্ষ টাকা দিয়ে মামলা প্রত্যাহার করে নেয়ার প্রস্তাব দিয়েছিল হত্যাকারীরা। কিন্তু বাদী বেল্লাল হোসেন নীতির প্রশ্নে অন্যায়ের কাছে মাথা নত করেননি।
জানা গেছে, এ আয়েশা খাতুন মুন্নি একজন অসহায় ভাগ্য বিড়ম্বিত দরিদ্র নারী। বর্তমানে তার পিতা-মাতা ভাই বোন কেহ নাই। মামলার বাদী তার মামা বেল্লাল হোসেনই মাতৃকুলের রক্তের সম্পর্কের একমাত্র অভিভাবক। মুন্নির বাপের বাড়ী ফেনী জেলার দাগনভূঁইয়া থানাধীন হীরাপুর গ্রামে। রংপুরের গংগাচড়া থানাধীন ডাংগীর পাইছান গ্রামের জনৈক আজগর আলী কবিরাজী ব্যবসার সুবাদে মুন্নির বাড়ির পাশের সিলনিয়া বাজারে বহু বছরের বসবাস। সেই সুত্রে তার মামা বেল্লাল হোসেনের সাথে তার পরিচয় ও ঘনিষ্টতা। সে হিসেবে আজগর আলীর মধ্যস্ততায় বিগত ১৪ বছর আগে মুন্নির সাথে এ রশিদুলের বিবাহ হয়। সেই থেকে আজগর আলী মুন্নির ধর্মপিতা হিসেবে গণ্য হয়। বিবাহের সময় মামা বেল্লাল হোসেন মুন্নির সুখের কথা চিন্তা করিয়া ৩ লক্ষ টাকা নগদ উপটৌকন ও দেড়ভরি ওজনের স্বর্ণালংকার প্রদান করেন। এসময় বাবলু মিয়া নামে তার একটা বড় ভাই ছিল সে স্কুলের সামনে চটপটি বিক্রয় করিত। তার এই ব্যবসায়ের আয়ের একটা অংশ মুন্নির পরিবারের উন্নয়নের জন্য গংগাচড়ায় পাঠানো হতো। এভাবে মুন্নি তার বাপের বাড়ীর সহযোগিতায় প্রায় তিন বিঘা জমি বন্ধক নেয়, লালন পালনের জন্য দু’টি গরু কিনে, টিউবয়েল বসায় এবং বসবাসের জন্য পাকা দালান ঘর নির্মান করে ও পাকঘর নির্মান করে। এসময় রশিদুল ও মুন্নি উভয়ই গার্মেন্টেসে চাকুরি করত। পরে এক পর্যায়ে বড় ভাই বাবলু বিয়ে করে এবং মুন্নি মারা যাওয়ার ৪/৫ বছর পূর্বে আকস্মিকভাবে অসুস্থ্য হয়ে মারা যায়। এতে মুন্নির মা তহুরা খাতুন মানুষিকভাবে ভেঙ্গে পড়ে এবং একপর্যায়ে সে ব্রেনস্ট্রক করে মানুষিক প্রতিবন্ধী হয়ে যায়। এমতাবস্থায় তাকে দেকভাল ও চিকিৎসার জন্য ৩ লক্ষ টাকা সহ মুন্নির কাছে পাঠানো হয়। অতি লোভী রশিদুল এ টাকা দিয়ে শাশুড়ির চিকিৎসা না করে জমি বন্ধক রাখে। বিগত ২০২৩ সালের কোরবানী ঈদের সময় একটি গরু ৬২ হাজার টাকা বিক্রয় করলে সেই টাকা দিয়ে মুন্নির মায়ের চিকিৎসা করাতে চাইতে গেলে তাদের মধ্যে চরম বিরোধ বাধে এবং পরিণতিতে হত্যাকান্ড ঘটে। এ বিষয়ে ধর্মপিতা আজগর আলী, আদুরী বেগম, রুপালী বেগম গংরা আরও জানালেন, মুন্নি হত্যাকান্ডের পর প্রথমে প্রত্যক্ষ স্বাক্ষী তার বড় মেয়ে রাইসা মনি পুলিশ ও তাদের জানালেন, তার চাচা শহিদুল, বাবা রশিদুল লাঠি দিয়ে পিটিয়ে (ডাং মেরে) তাকে মেরে ফেলেছে। এ হত্যা কান্ডের বড় গুরুত্বপূর্ণ স্বাক্ষী তার মেয়ে রাইসা মনি। যার জন্য হত্যাকারীরা তাকে আগলে রেখেছে। সাংবাদিকরা রাইসা মনির সাথে কথা বলতে তার মাদ্রাসায় গেলে সাংবাদিকরা মাদ্রাসায় পৌঁছিবার ১০ মিনিট আগে রাইসাকে সরিয়ে ফেলে শহিদুল ইসলাম।
প্রথমে মুন্নি হত্যা মামলা ধামাচাপা দিতে গরু বিক্রির ৬২ হাজার টাকা ব্যয় করা হয়। ষড়যন্ত্রকারীদের ঘুষ দিতে বাকী আর একটি গরুও বিক্রি করা হয়। এভাবে মুন্নির সঞ্চিত সহায় সম্পদ টাকা-পয়সা তার হত্যা মামলা ধামাচাপা দিতে ব্যবহার করা হয়েছে। এ বিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জনক চন্দ্র রায়ের সাথে কথা বললে, সে বক্তব্য দিতে অস্বীকার করে। মুন্নির স্বামী রশিদুল ইসলামের মোবাইলে সংযোগ পাওয়া যায়নি। দেবর সাহিদুল ইসলামের সাথে কথা বললে, সে তার অপরাধ স্বীকার করেনি। সে অত্র প্রতিবেদককে যে কোনভাবে ক্ষতিসাধন করার হুমকি দিয়েছে। মুন্নির শ্বশুর আজগর মুন্সির সাথে কথা বললে, প্রকারান্তরে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছে। সে তার সন্তানদের মানুষ করতে পারেনি বলে দাবী করেছে। তাদের বাঁচাতে সাংবাদিকদের অনুরোধ করেছে। মুন্নির শাশুড়ি আকলিমা বেগমের সাথে কথা বললে, সে হলফ করে মুন্নিকে ফাঁসি দিতে ও কে দরজা খুলে তাকে উদ্ধার করলো তা নিজ চোখে দেখেনি বলে দাবী করলো। তবে শাশুড়ী আকলিমা বেগম অনেক মিথ্যার আশ্রয় নিয়েছে। প্রতিবেশি অহেদ আলীর ছেলে সাইফুল ইসলামের সাথে কথা বললে সে বলল দেবর সাহেদুল তাকে পেটানোতে মানুষিকভাবে ভেঙ্গে পড়াতে মুন্নি আত্মহত্যা করেছে।
তবে ১৫ফুট উঁচু বাঁশের ভুতুরের সাথে পরনের শাড়ী দিয়ে আত্মহত্যা এবং দরজা না ভেঙ্গে মুন্নিকে উদ্ধার রহস্যজনক। এদিকে অ্যাম্বুলেন্সের ড্রাইভার গ্যাটো জানালেন, মুন্নিকে মেডিকেলে নেয়া হয়নি। মেডিকেলের কাছাকাছি পথ থেকে ফিরিয়ে আনা হয়েছে।